শাকিব খানকে বলব—প্লিজ, এটা নিয়ে আপনি মনে কষ্ট রাখবেন না: নিশো
Published: 3rd, April 2025 GMT
ঘটনাটি দুই বছর আগের। আফরান নিশোর অভিষিক্ত সিনেমা ‘সুড়ঙ্গ’মুক্তি পাওয়ার সময়। সে সময় সিনেমার প্রচারণায় বিভিন্ন সময়ে শাকিব খানকে নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন আফরান নিশো। যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়। তবে এ বিষয়ে একেবারে চুপচাপ থেকেছেন সাকিব খান। যা বলার ভক্তরাই যেনো বলে দিয়েছিলেন। কিন্তু নিশো সম্ভবত মানসিক অশান্তিতেই ছিলেন বিষয়টি নিয়ে। তাই দুই বছর হলেও বিষয়টি ক্লিয়ার করলেন। কৌশলী হয়ে এক প্রকার ভুলও স্বীকার কলে নিলেন!
সম্প্রতি এক স্বাক্ষাৎকারে সে সময়ের ঘটনা নিয়ে কথা বলেছেন আফরান নিশো। অভিনেতা বলেন ‘সে সময়ে যেটা ঘটেছিল, এটা একটা ভুল-বোঝাবুঝি। এইটা খুবই অনাঙ্খিত। আমি শাকিব খানকে বলব—প্লিজ, এটা নিয়ে আপনি মনে কষ্ট রাখবেন না’
এটা কোনো ক্ল্যারিফিকেশন দিচ্ছি না, আমি খুব স্পষ্ট এবং দায়িত্ব নিয়ে বলতে চাই এইটা ভুল বোঝাবুঝি। কোনো একজন মানুষকে কেন্দ্র করে কটূক্তি করা কখনোই ইনটেনশন ছিল না। সেটা এখনও নেই, সামনেও থাকবে না। অনেক সময় প্রাসঙ্গিক বা অপ্রাসঙ্গিক অনেক কিছুই কথাতে চলে আসে। সেই কথার রেশ ধরে কেউ হয়তো চাইল যে ঝগড়াটা একটু বাড়িয়ে দিই বা একটু কমিয়ে দিই। আমার জায়গা থেকে কারো ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে কথা বলার ধৃষ্টতা আমার নেই। কখনও আমি দেখাইও না।’
এরপর শাকিব খানের কথা টেনে আফরান নিশো বলেন, “যাকে নিয়ে কথা হচ্ছে সে আমার অগ্রজ। ইন্ডাস্ট্রিতে আমার সিনিয়র। তাকে আমি যথেষ্ট সম্মান করি।
আমার যখন ‘সুড়ঙ্গ’ রিলিজ হয় তখনো তার প্রতি যথেষ্ট সম্মান দেখিয়ে অনেক কথা বলেছি। একজন মানুষ যার এত দীর্ঘ ক্যারিয়ার, এত কিছু দিয়েছে ইন্ডাস্ট্রিকে, বিনিময়ে সে সম্মানটুকু ডিজার্ভ করেন।
নিশো আরও করেন, এর বিনিময়ে তিনি সম্মান ছাড়া আর কিছু চান না। আমার তরফ থেকে তিনি সম্মানের তুঙ্গেই থাকবেন সব সময়। তার পরও যদি এই বিষয়টা তিনি (শাকিব খান) মনে নিয়ে থাকেন তাহলে বলব, আপনি এটা একদমই মনে রাখবেন না। দায়িত্ব নিয়ে বলছি, এটা একদমই ভুল-বোঝাবুঝি।
সাক্ষাৎকারের একেবারে শেষে এসে প্রশ্ন করা হয় শাকিব খান এবং আফরান নিশো দুই অভিনেতা একসঙ্গে সিনেমাতে পাওয়া যাবে কি না? উত্তেরে নিশো বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমার কাছে এমন কোনো প্রস্তাব আসেনি। এ রকম কিছু এলে আমি বরং খুশিই হবো।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আফর ন ন শ আফর ন ন শ
এছাড়াও পড়ুন:
বাবার ঠিকাদারির লাইসেন্স ছিল, জানিয়ে ক্ষমা চাইলেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ
বাবার ঠিকাদারি লাইসেন্স থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করে ‘বাবার ভুলের জন্য’ ক্ষমা চেয়েছেন অন্তবর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। তিনি আজ বৃহস্পতিবার নিজের ফেসবুক পেজে দেওয়া পোস্টে ক্ষমা চান।
আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার বাবার ঠিকাদারি লাইসেন্স থাকার বিষয়টি জানিয়ে গতকাল বুধবার রাতে ফেসবুকে পোস্ট দেন এক গণমাধ্যম কর্মী। তিনি বিষয়টির সত্যাসত্য জানতে চান আসিফ মাহমুদের কাছে। আসিফ মাহমুদ খোঁজ করে জানান যে, তাঁর বাবার লাইসেন্স নেওয়ার বিষয়টি সঠিক। আর বিষয়টি তাঁকে জানান বলেও ওই গণমাধ্যম কর্মী তাঁর পোস্টে উল্লেখ করেন। এরপরই আজকে আসিফ মাহমুদ বিষয়টি নিয়ে পোস্ট দিলেন। সেটি হুবুহু তুলে ধরা হলো:
‘প্রথমেই আমার বাবার ভুলের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করছি।
গতকাল রাত ৯ টার দিকে একজন সাংবাদিক কল দিয়ে আমার বাবার নামে ইস্যুকৃত ঠিকাদারি লাইসেন্সের বিষয়ে জানতে চাইলেন। বাবার সাথে কথা বলে নিশ্চিত হলাম তিনি জেলা পর্যায়ের (জেলা নির্বাহী ইঞ্জিনিয়ার এর কার্যালয় থেকে ইস্যুকৃত) একটি লাইসেন্স করেছেন। বিষয়টি উক্ত সাংবাদিককে নিশ্চিত করলাম। তিনি পোস্ট করলেন, নিউজও হলো গণমাধ্যমে। নানা আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে তাই ব্যাখ্যা দেয়ার প্রয়োজনবোধ করলাম।
আমার বাবা একজন স্কুল শিক্ষক। আকুবপুর ইয়াকুব আলী ভুঁইয়া পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। স্থানীয় একজন ঠিকাদার কাজ পাওয়ার সুবিধার্থে বাবার পরিচয় ব্যবহার করার জন্য বাবাকে লাইসেন্স করার পরামর্শ দেন। বাবাও তার কথায় জেলা নির্বাহী ইঞ্জিনিয়ার থেকে একটি ঠিকাদারি লাইসেন্স করেন। রাষ্ট্রের যেকোন ব্যক্তি ব্যবসা করার উদ্দেশ্যে যেকোন লাইসেন্স করতেই পারে। তবে আমি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বরত থাকা অবস্থায় বাবার ঠিকাদারি ব্যবসায় জড়ানো স্পষ্টভাবেই কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট। বিষয়টি বোঝানোর পর আজ বাবার আবেদনের প্রেক্ষিতে লাইসেন্সটি বাতিল করা হয়েছে।
বাবা হয়তো কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্টের বিষয়টি বুঝতে পারেন নি, সেজন্য বাবার পক্ষ থেকে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।
উল্লেখ্য, মধ্যবর্তী সময়ে উক্ত লাইসেন্স ব্যবহার করে কোনো কাজের জন্য আবেদন করা হয়নি।’