নাটোরের লালপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর পশ্চিমপাড়া মসজিদের ডিজিটাল সাইনবোর্ডে ‘জয় বাংলা’ স্লোগানসহ উসকানিমূলক বার্তা প্রদর্শিত হওয়ার ঘটনায় এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে তাকে নাটোরের আদালতে পাঠানো হয়।

লালপুর থানার ওসি নাজমুল হক গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি উপজেলার রামকৃষ্ণপুর গ্রামের ইসাহাক আলীর ছেলে ইমদাদুল হক লিটন।

স্থানীয়রা জানান, বুধবার (২ এপ্রিল) সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে ওই মসজিদের ডিজিটাল সাইনবোর্ডে ‘বাংলা আমার অহংকার, বাংলার দিকে যে তাকাবে তার চোখ উপড়ে নেওয়া হবে, জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ লেখা ভেসে ওঠে। ঘটনাটি নজরে আসার পর স্থানীয়রা দ্রুত সাইনবোর্ডটি খুলে ফেলেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত শুরু করে এবং ওই সাইনবোর্ডের ডিভাইস অপারেটর ইমদাদুল হক লিটনকে রাতে নিজ বাড়িতে থেকে আটক করে পুলিশ।

আরো পড়ুন:

নড়াইলে ছাত্র আন্দোলনে হামলা: আ.

লীগ নেতা গ্রেপ্তার 

বাগেরহাটে আসামি ছিনিয়ে নিতে পুলিশের ওপর হামলা, গ্রেপ্তার ১৬

মসজিদ কমিটির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা বজলুর রহমান জানান, এ ঘটনা শোনার পরপরই সাইনবোর্ডটি খুলে রাখা হয়। কীভাবে এটি ঘটল, তা এখনো বোঝা যাচ্ছে না।

এ বিষয়ে লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক জানান, এ ঘটনায় ডিভাইসটির অপারেটর ইমদাদুল হক লিটনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

ঢাকা/আরিফুল/বকুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আওয় ম ল গ স ইনব র ড মসজ দ

এছাড়াও পড়ুন:

নাটোরে যুবকের দুই হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন 

নাটোরের সিংড়া উপজেলায় ইসরাফিল নামে এক যুবককে কুপিয়ে দুই হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন করেছে দুর্বৃত্তরা। 

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) সিংড়া উপজেলার হাতিয়ানদহ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ইসরাফিল ওই এলাকার তাইজুল ইসলামের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, ইসরাফিলের বাবা তাইজুল ইসলাম বহুদিন পূর্বে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে সিংড়া উপজেলার হাতিয়ানদহ এলাকায় এসে বাড়ি করেন। তারা রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। বৃহস্পতিবার সকালে এলাকাবাসী ইসরাফিলের চিৎকারে এগিয়ে গিয়ে তাকে রাস্তার ধারে দুই হাত কাটা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে নাটোর সদর হাসপাতাল এবং পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

নাটোর সদর হাসপাতালের ইমারজেন্সি মেডিকেল অফিসার ডা. সুব্রত বলেন, “রোগীর দুই হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন ছিল। ধারালো অস্ত্র দিয়ে কাটা হয়েছে বলে মনে হলো। সকাল ৭টার দিকে রোগীকে গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেই সময় তার প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।”

সিংড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসমাউল হক জানান, ঘটনার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

এ বিষয়ে নাটোরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আমজাদ হোসাইন বলেন, “রাজনৈতিক কোনো বিষয় নিয়ে ঘটনাটি ঘটেনি। পরকীয়া সংক্রান্ত একটা বিষয় থাকতে পারে, সেই বিষয়টাও যাচাই-বাছাই করছি। যারা ঘটনাটি ঘটিয়েছে তাদেরকে শনাক্তসহ গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলমান রয়েছে।”

ঢাকা/আরিফুল/টিপু

সম্পর্কিত নিবন্ধ