নড়াইলে ছাত্র আন্দোলনে হামলা: আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার
Published: 3rd, April 2025 GMT
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার লক্ষ্মীপাশা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান ওরফে খোকন চৌধুরী (৫৬) কে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে লোহাগড়া থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে উলা গ্রামের তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে। মামলার পর তিনি দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ৪ আগস্ট সকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার কর্মসূচি চলাকালে লোহাগড়ার সিএন্ডবি চৌরাস্তায় হামলা চালানো হয়। এ সময় শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি ছোড়া এবং ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এতে নড়াইল জেলার মুখ্য সংগঠক কাজী ইয়াজুর রহমানসহ আরো ১৩ জন শিক্ষার্থীকে রামদা, বাঁশের লাঠি, লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করা হয় বলে মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
সিলেটে ছাত্রলীগের মিছিলের পর দুই আ.
নোয়াখালীতে বিনোদনকেন্দ্রে হামলা, পুলিশসহ আহত ৭
এ ঘটনায় গত বছরের ৯ ডিসেম্বর রাতে কাজী ইয়াজুর রহমান বাদী হয়ে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ২৯৫ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত আরো ৩০০ থেকে ৩৫০ জনকে আসামি করে লোহাগড়া থানায় মামলা করেন। এই মামলায় মিজানুর রহমান ওরফে খোকন চৌধুরী কে ৬২ নম্বর আসামি করা হয়।
লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশিকুর রহমান জানান, দুপুরে ছাত্র আন্দোলনে হামলার মামলায় এজাহারনামীয় আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
ঢাকা/শরিফুল/বকুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আওয় ম ল গ র রহম ন ত র কর
এছাড়াও পড়ুন:
এই কঠিন সময়ে ঐক্য ধরে রাখা প্রয়োজন: ঢাবি উপাচার্য
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে জাতির ঐক্য রক্ষার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান।
উপাচার্য বলেন, ‘আমরা একটি কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করছি। এক অর্থে জাতির জন্য এটি একটি ক্রান্তিকাল। এই সময়ে আমাদের ঐক্য ধরে রাখা একান্তই প্রয়োজন।’
আজ রোববার সকালে রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের কাছে নিয়াজ আহমেদ খান এ কথা বলেন।
ঢাবি উপাচার্য বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস জাতির জন্য পরম শ্রদ্ধা, কৃতজ্ঞতা ও মমতার দিন। এক গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, চিন্তাবিদ ও বুদ্ধিজীবীরা নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন। তাঁদের সেই চূড়ান্ত আত্মত্যাগ ইতিহাসে চিরভাস্বর হয়ে আছে।
নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, যুগে যুগে ও প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ এ জাতিকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ঐক্যবদ্ধ করেছে এবং সাহস জুগিয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় জাতি ১৯৯০ ও ২০২৪ সালের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে অগ্রসর হয়েছে।
উপাচার্য আরও বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ আজও জাতির ঐক্য ধরে রাখার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোকবর্তিকা। একই সঙ্গে ১৯৫২, ১৯৬৮, ১৯৬৯, মহান মুক্তিযুদ্ধসহ প্রতিটি আন্দোলন–সংগ্রামে যাঁরা রক্ত ও জীবন দিয়ে দেশের স্বাধীনতা ও মর্যাদা রক্ষা করেছেন, তাঁদের সবার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা।
নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, ১৯৫২ থেকে ২০২৪—এর প্রতিটি দিন ও ঘটনাপ্রবাহ জাতির মৌলিক পরিচয়ের মাইলফলক। এর কোনো অংশ বাদ দেওয়ার সুযোগ নেই। এ ইতিহাসই যুগে যুগে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ রেখেছে, আর বর্তমান সময়ে সেই ঐক্য ধরে রাখাই সবচেয়ে বড় প্রয়োজন।