আড়াইহাজারে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।

ঈদের দিন সোমবার পরের দিন মঙ্গলবার ও বুধবার উপজেলার মেঘনা বেষ্টিত কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নের খালিয়ারচর গ্রামে যুবদল নেতা জহির ও বিএনপির নেতা কবিরের লোকদেও মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। 

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি  কবির হোসেন ও ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি  জহিরের মধ্যে রাজনৈতিক  বিরোধ দীর্ঘদিনের। এই বিরোধকে কেন্দ্রে করে  ঈদের দিন উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। 

পরবর্তীতে ঈদের পরের দিন মঙ্গলবার বিএনপির একটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ সফল করার লক্ষে সংঘর্ষ বন্ধ করে উভয় পক্ষকেই শান্ত থাকার আহ্বান জানান বিএনপির নেতৃবৃন্দ। এতে সাময়িক সময়ের জন্য তা বন্ধ থাকে। 

সভাশেষে কবিরের লোকজন জহির ও তার বোনের  বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এতে জহিরের লোকজন একত্রিত হয়ে পুনরায় কবিরের বাড়িতে হামলা চালায় এবং বিএনপির পার্টি অফিসসহ বেশ কিছু বাড়িঘর ভাঙচুর করে। এই ঘটনা নিয়ে বুধবার বিকালে ও রাতে আবারো সংঘর্ষ হয়। 

যুবদল নেতা জহির জানান, বুধবার সন্ধ্যায় কবিরের আত্মীয় হিসেবে কদমিরচরের সাবেক ছাত্রদল নেতা মোবারক হোসেনের লোকজন স্পিডবোটে হামলা চালানো চেষ্টা করে কিন্তু গ্রামের লোকজনের প্রতিরোধে তা ব্যর্থ হয়। ৩দিনের সংঘর্ষে উভয় পক্ষের একটি পাটি অফিস, ইদ্রিস আলী, জাহেদ আলীর, জহির ও তার বোনের  বাড়ি  ভাংচুর করা হয়। 

সাবেক ছাত্রদল নেতা মোবারক বলেন, এখানে দ্বন্দ মূলত জহির ও কবিরের মধ্যে। আমাকে উদ্দেশ্যপ্রনীত ভাবে জাড়ানো হচ্ছে। 

আড়াইহাজার থানার ওসি এনায়েত হোসেন জানান, খালিয়ারচরে আধিপত্য নিয়ে কয়েক দিন ধরে উত্তেজনা ও সংঘর্ষ হয়েছে। আমরা অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করেছি। 
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: স ঘর ষ ব এনপ ন র য়ণগঞ জ র ল কজন ব এনপ র স ঘর ষ

এছাড়াও পড়ুন:

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহালের দাবি

হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার এবং চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানকে স্মারকলিপি দিয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা–কর্মচারী। 

বৃহস্পতিবার ২৮ হাজার ৩০৭ কর্মীর সই করা এক হাজার ৪২৮ পৃষ্ঠার এই স্মারকলিপি উপদেষ্টার দপ্তরে জমা দেওয়া হয়। 

এতে বলা হয়, সংস্কার দাবির কারণে মাঠপর্যায়ে কোনো কর্মসূচি না থাকা সত্ত্বেও গত ১৬ অক্টোবর পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) ১০ জন কর্মকর্তাকে বিনা নোটিশে চাকরিচ্যুত করে। একই দিন তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। পরদিন সকাল থেকে শুরু হয় কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তার এবং আরও ১৪ জনকে চাকরিচ্যুত করা হয়। এই ঘটনায় সমিতির কর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও হতাশার জন্ম দেয়, যার ফলে কিছু এলাকায় সাময়িক বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটে।

স্মারকলিপি আরও বলা হয়, আরইবি এখনও মামলা, চাকরিচ্যুতি, বদলি, সাসপেন্ড বিভিন্ন হয়রানিমূলক পদক্ষেপ অব্যাহত রেখেছে। শুধু স্মারকলিপিতে সই দেওয়ার কারণেও সম্প্রতি মাদারীপুর ও রাজশাহীর কর্মকর্তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। প্রায় অর্ধশতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সংযুক্ত করে তদন্তের নামে হয়রানি ও শাস্তি দেওয়ার চেষ্টা চলছে। চাকরি হারিয়ে, মামলা ও জেল-জুলুমের শিকার হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো খুবই মানবেতর জীবনযাপন করছে। এমনকি ক্ষতিগ্রস্তদের ছেলেমেয়ের পড়াশোনাও চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। এর আগে গত ২৫ জানুয়ারি সমিতির ৩০ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীর সই করা স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। 

স্মারকলিপিতে মামলা প্রত্যাহার ও চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহালের দাবি জানানো হয়েছে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ