কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার গোপগ্রাম ইউনিয়নের খদ্দোসাধুয়া গ্রামে ৮ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে আফজাল কাজী (৬৫) নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।

বুধবার সন্ধ্যায় ঘটনার প্রায় ২০ ঘণ্টা পর জানাজানি হলে রাতেই ক্ষুব্ধ গ্রামবাসী অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের দাবিতে বাড়ি ঘেরাও করে। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে আটক করে।

আটক আফজাল কাজী খদ্দোসাধুয়া গ্রামের মৃত ইমান আলী কাজীর ছেলে।

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকালে ৮ বছর বয়সী ওই শিশুসহ বেশ কয়েকজনকে পেঁয়াজ কাটার জন্য আফজাল কাজী তার বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। অন্য শিশুরা বাড়ি ফিরলেও ওই শিশুটি সেখানে রয়ে যায়। রাত ৮টার দিকে শিশুকে নিরাপদে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কথা বলেন আফজাল কাজী। পরে তাকে নিয়ে রওনা হয়ে রাস্তার পাশে নির্জন স্থানে ধর্ষণ করেন আফজাল কাজী।

পরদিন বুধবার দুপুরে শিশুটি পেটের ব্যথায় অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। এরপর ধর্ষনের ঘটনা জানাজানি হয়। খবরটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে রাতেই ক্ষুদ্ধ গ্রামবাসী আফজাল কাজীর বাড়ি ঘেরাও করে। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে আটক করে।

শিশুটির চাচা বাদী হয়ে তাৎক্ষণিকভাবে এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

শিশুটির চাচা জানান, আফজাল কাজী সম্পর্কে শিশুটির দাদা। তিনি এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন। 

খোকসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মঈনুল ইসলাম বলেন, পুলিশের গাড়িতে করে শিশুটিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়েছে। সেখানে ওই শিশুর চিকিৎসার ব্যবস্থা না থাকায় বুধবার রাতেই তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। 

তিনি আরও জানান, খবর শোনার পর সেদিন রাতেই অভিযুক্ত আফজাল কাজীকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। শিশুটির চাচা বাদী হয়ে তাৎক্ষণিকভাবে এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করেছেন। তাকে আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।      

ছবি: খোকসা (কুষ্টিয়া) পুলিশের হাতে আটক ধর্ষক আফজাল কাজী।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আটক আফজ ল ক জ

এছাড়াও পড়ুন:

ডিপিএল ছেড়েই ‘মানসিক প্রস্তুতিতে’ টেস্ট খেলবেন বিজয়? 

‘মানসিক প্রস্তুতি’। বাংলাদেশের ক্রিকেটে বেশ পরিচিত শব্দ হয়ে ওঠার কথা। গত ফেব্রুয়ারিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে যাওয়ার আগে প্রস্তুতির এই বিশেষ ধরনের কথা বলেছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। টি-২০ ফরম্যাটের বিপিএল শেষ করেই ওয়ানডে ফরম্যাটের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে অসুবিধা হবে কিনা এমন প্রশ্নে মানসিক প্রস্তুতি থাকার কথা বলেছিলেন জাতীয় দলের অধিনায়ক।

আবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ শুরুর আগেও একই কথা বলেন শান্ত, ‘সিরিজের জন্য মানসিক প্রস্তুতি নিয়েছি আমরা।’ এবারো প্রকৃত প্রস্তুতির বদলে মানসিক প্রস্তুতি নেওয়ার পেছনে কারণ পরিষ্কার। ডিপিএল খেলতে ব্যস্ত ছিলেন জিম্বাবুয়ে সিরিজের প্রথম টেস্টের দলে ডাক পাওয়া সব ক্রিকেটার।

টেস্টের জন্য এক সপ্তাহ আগে সিলেটে ক্যাম্প শুরু হয়েছিল। তবে ১৩ এপ্রিলের ওই ক্যাম্পে ছিলেন মাত্র ৮ ক্রিকেটার। বিপিএলের পর ফেব্রুয়ারির চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, এরপর ডিপিএল; সব মিলিয়ে টানা সাদা বলের ক্রিকেটের পর টেস্টের জন্য এক সপ্তাহ ক্যাম্প করার সময়ও হয়নি বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তিভুক্ত জাতীয় দলের সব ক্রিকেটারের। মানসিক প্রস্তুতিই তাই ভরসা ছিল। যা সিলেট টেস্টে কাজে দেয়নি।

এনামুল হক বিজয়ের জন্য এই ‘মানসিক প্রস্তুতি’ হতে যাচ্ছে আরও কঠিন। ডিপিএলে দারুণ ছন্দে আছেন তিনি। সেঞ্চুরির রেকর্ড করেছেন। বুধবার আবাহনীর বিপক্ষে সেঞ্চুরি দিয়ে স্বীকৃত ক্রিকেটে তার শতকের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫১। বিজয়ের মাথায় নিশ্চয় ২৬ এপ্রিল ডিপিএলে মোহামেডানের বিপক্ষে সুপার লিগের ম্যাচ ঘুরপাক খাচ্ছিল।

মোহামেডান ম্যাচের জন্যই মানসিকভাবে প্রস্তুত হওয়ার কথা ছিল গাজী গ্রুপের ব্যাটার বিজয়ের। অথচ হুট করে তাকে ডাকা হলো জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টের দলে। বিসিবির প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু জানিয়েছেন, বিজয় তাদের প্রক্রিয়ার মধ্য ছিলেন, ভাবনায় ছিলেন। প্রক্রিয়া বলতে, গত বছর পাকিস্তানে ‘এ’ দলের হয়ে দুটি চার দিনের ম্যাচ খেলেছেন তিনি।

যদিও ওই সফরের তিন ইনিংসে ১৮ রান করেছিলেন বিজয়। প্রক্রিয়ায় মধ্যে থাকায় বলা নেই, কওয়া নেই, ক্যাম্প করার সুযোগ নেই, ডিপিএল থেকে মোহামেডান ম্যাচের আগে ডেকে পাঠানো হলো জাতীয় দলে। দুই ওপেনার সাদমান ইসলাম ও মাহমুদুল হাসান জয় অফ ফর্মে আছেন। তাদের একজনকে বসিয়ে এনামুলকে একাদশ নিলে প্রস্তুতির জন্য মাত্র তিনদিন পাবেন তিনি। লম্বা বিরতির পর মাত্র তিনদিনে প্রকৃত প্রস্তুতি নাকি মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে টেস্ট খেলতে নামবেন বিজয়?  

সম্পর্কিত নিবন্ধ