জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ তাহমিদের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে ছাত্রদল। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় ছাত্রদলের পক্ষ থেকে শহীদ তাহমিদের পরিবারকে ঈদ শুভেচ্ছা উপহার দেওয়া হয়েছে। বুধবার ছাত্রদলের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী শহীদ তাহমিদ ছাত্রদলের কর্মী ছিল। শেখ হাসিনা সরকারবিরোধী আন্দোলনে গত বছরের ১৮ জুলাই নরসিংদীর ভেলানগরের জেলখানা মোড় এলাকায় পুলিশের গুলিতে সে নিহত হয়।

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা শহীদ তাহমিদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এ সময় তাহমিদের কবর জিয়ারত করে গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ হওয়া অন্যদের জন্য দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের প্রচার সম্পাদক শরীফ প্রধান বলেন, ছাত্রদল সব সময় জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে শহীদদের পরিবারের পাশে রয়েছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা আহত ও শহীদদের পরিবারের সবার খোঁজখবর রাখছেন। এরই ধারাবাহিকতায় শহীদ পরিবারের জন্য ঈদের উপহারসামগ্রী পৌঁছে দিয়েছে। পাশাপাশি যাঁরা চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আছেন, তাদের সঙ্গেও সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: দ র পর ব র র ছ ত রদল র

এছাড়াও পড়ুন:

গৃহকর নিয়ে প্রশাসকের সঙ্গে বাসিন্দাদের হট্টগোল

গৃহকর (হোল্ডিং ট্যাক্স) ধার্যের বিষয়টি নিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজের সঙ্গে হট্টগোল করেছেন অঞ্চল-৭-এর আওতাধীন বিভিন্ন ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে উত্তরার ৬ নম্বর সেক্টরে উত্তরা কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত গণশুনানির শেষের দিকে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গণশুনানি শেষ করে ওই অঞ্চলের চারটি ওয়ার্ডের প্রতিনিধিদের নিয়ে অঞ্চল-৭-এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তার কক্ষে আলোচনায় বসেন প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ। সেখানে গৃহকর কীভাবে আদায় হবে, কী ছাড় পাওয়া যাবে—এসব বিষয়ে বাসিন্দাদের বুঝিয়ে বলা হয়। হট্টগোলকারীরা বিষয়টি বুঝতে পেরে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য প্রশাসকের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন।

গণশুনানিতে দেখা যায়, নাগরিক সেবা নিয়ে চারটি ওয়ার্ডের বাসিন্দারা বিভিন্ন সংকট, সমস্যা ও অভিযোগ জানান। তাঁদের দাবি, তাঁরা ২০১৮ সাল থেকে নয়, ২০২৪ সাল থেকে গৃহকর পরিশোধ করবেন। প্রশাসক তাঁর বক্তব্যে বাসিন্দাদের বলা অভিযোগগুলোর সমাধান, পদক্ষেপ ও করপোরেশনের উদ্যোগ নিয়ে কথা বলেন। বক্তব্যের শেষ পর্যায়ে তিনি হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় নিয়ে বাসিন্দাদের দাবিদাওয়ার বিষয়ে কথা বলছিলেন।

প্রশাসকের বক্তব্য ছিল, আইন অনুযায়ী ২০১৮ সাল থেকেই গৃহকর পরিশোধ করতে হবে। তবে গৃহকরের সঙ্গে পরিচ্ছন্নতা ও সড়ক বাতি বাবদ যে কর আদায় করা হয়, সেই ৫ শতাংশ কর আপাতত আদায় বন্ধ থাকবে। এ ছাড়া বিধিমালা অনুযায়ী গৃহকরে একজন গ্রাহক যেসব ছাড় পান, সেসব ছাড়ের ব্যবস্থাও করা হবে বলেও জানান। সেই হিসেবে ২০২৪-২৫ অর্থবছর থেকে যে টাকা কর আসবে, ২০১৮ থেকে একই পরিমাণ কর দিতে হবে।

কিন্তু প্রশাসকের এই বক্তব্যের সঙ্গে একমত হননি শুনানিতে অংশ নেওয়া বাসিন্দারা। তাঁরা চিৎকার-চেঁচামেচি করে এর প্রতিবাদ করতে শুরু করেন। একপর্যায়ে সামনের সারিতে বসা কিছু ব্যক্তি উত্তেজিত হয়ে মঞ্চে থাকা প্রশাসকের সামনে গিয়ে বলতে থাকেন, তাঁরা এই সিদ্ধান্ত মানেন না। তাঁরা ২০২৪ সাল থেকেই কর দেবেন।

মিনিট পাঁচেক এমন হট্টগোল আর চেঁচামেচি চলে। ঢাকা উত্তর সিটির ওই অঞ্চলের কর্মকর্তা ও স্থানীয় বিএনপির নেতারা উত্তেজিত হওয়া ব্যক্তিদের শান্ত করেন।

ঢাকা উত্তর সিটির ওই অঞ্চলের কর্মকর্তা ও স্থানীয় বিএনপির নেতারা উত্তেজিত ব্যক্তিদের শান্ত করার চেষ্টা করেন

সম্পর্কিত নিবন্ধ