বঙ্গোপসাগরের দীর্ঘ উপকূলরেখা ভারতের, দাবি এস জয়শঙ্করের
Published: 3rd, April 2025 GMT
সম্প্রতি চীন সফরে গিয়ে ভারতের ‘সেভেন সিস্টার্স’ খ্যাত উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সাতটি রাজ্য নিয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের করা মন্তব্যে ভারতজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। এর ধারাবাহিকতায় দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর দাবি করেছেন বঙ্গোপসাগরে দীর্ঘতম উপকূলরেখা ভারতের।
বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় এনডিটিভি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বলছে, বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড.
জয়শঙ্কর বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি সেক্টোরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো অপরেশন (বিমসটেক)-এ ভারতের কৌশলগত ভূমিকা তুলে ধরে, ভারতের সাড়ে ৬ হাজার কিলোমিটার উপকূলরেখা এবং বিমসটেকের পাঁচ সদস্যের সঙ্গে ভারতের ভৌগোলিক সংযোগের ওপর আলোকপাত করেন।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সর্বোপরি, আমাদের বঙ্গোপসাগরে দীর্ঘতম উপকূলরেখা রয়েছে, যা প্রায় ৬ হাজার ৫০০ কিলোমিটার। ভারত কেবল পাঁচটি বিমসটেক সদস্যের সঙ্গেই সীমান্ত ভাগ করে না, তাদের বেশিরভাগকে সংযুক্তও করে। ভারতীয় উপমহাদেশ ও আসিয়ানের মধ্যে সংযোগের একটি বড় অংশও প্রদান করে।’
জয়শঙ্কর বলেন, বিশেষ করে আমাদের উত্তর-পূর্ব অঞ্চল বিমসটেকের জন্য একটি ‘সংযোগ কেন্দ্র হিসেবে’ আবির্ভূত হচ্ছে, যেখানে সড়ক, রেলপথ, পানিপথ, গ্রিড এবং পাইপলাইনের অসংখ্য নেটওয়ার্ক রয়েছে।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা সচেতন যে— এই বৃহত্তর ভৌগোলিক ক্ষেত্রে পণ্য, পরিষেবা এবং মানুষের সুষ্ঠু প্রবাহের জন্য আমাদের সহযোগিতা এবং সুবিধা প্রদান একটি অপরিহার্য পূর্বশর্ত। এই ভূ-কৌশলগত বিষয়কে মাথায় রেখে, আমরা গত দশকে বিমসটেক-কে শক্তিশালী করার জন্য ক্রমবর্ধমান শক্তি এবং মনোযোগ নিবেদিত করেছি। আমরা আরও বিশ্বাস করি যে— সহযোগিতা একটি সমন্বিত দৃষ্টিভঙ্গি, চেরি-পিকিং (পক্ষপাতদুষ্ট) বিষয় নয়।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: পরর ষ ট রমন ত র র পরর ষ ট রমন ত র ব মসট ক
এছাড়াও পড়ুন:
সৌদি আরব সফর সংক্ষিপ্ত করে দেশে ফিরে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করলেন মোদি
ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর সৌদি আরব সফর সংক্ষিপ্ত করে আজ বুধবার ভোরে দেশে ফিরেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
নয়াদিল্লিতে পৌঁছানোর পরপর বিমানবন্দরে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল ও পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রির সঙ্গে বৈঠক করে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।
সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে আজ মন্ত্রিসভার নিরাপত্তাবিষয়ক কমিটির সঙ্গেও মোদির একটি বৈঠক করার সম্ভাবনা রয়েছে। বৈঠকে ওই হামলায় ভারতের প্রতিক্রিয়া ও প্রতিরক্ষাকৌশল নির্ধারিত হবে।
নরেন্দ্র মোদি গতকাল মঙ্গলবার পেহেলগামের সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা এবং যাঁরা স্বজন হারিয়েছেন, তাঁদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে মোদি বলেছেন, ‘আমি প্রার্থনা করছি, আহত ব্যক্তিরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুক। ক্ষতিগ্রস্তদের সব রকম সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। এই জঘন্য কাজের পেছনে যারা রয়েছে, তাদের বিচার নিশ্চিত করা হবে। তাদের রেহাই দেওয়া হবে না। তাদের অশুভ পরিকল্পনা কখনো সফল হবে না। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আমাদের সংকল্প অটল ও আরও দৃঢ় হবে।’
মন্ত্রিসভার নিরাপত্তাবিষয়ক কমিটির সদস্য অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ প্রধানমন্ত্রী মোদি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর মতো যুক্তরাষ্ট্র ও পেরু সফর সংক্ষিপ্ত করে দেশে ফিরছেন। অর্থমন্ত্রীর দপ্তর এক্সে এক পোস্টে বলেছে, এই কঠিন ও শোকাবহ সময়ে দেশের মানুষের পাশে থাকতে তিনি দ্রুত দেশে ফিরছেন।
হামলায় দুজন বিদেশি নাগরিক নিহত হওয়ার খবরও পাওয়া যাচ্ছে। এর মধ্যে একজন নেপাল ও একজন সংযুক্ত আরব আমিরাতের নাগরিক বলে জানা গেছে।
নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি বলেছেন, পেহেলগামে হামলায় নেপালের কোনো নাগরিক নিহত হয়েছেন কি না, যাচাইয়ের চেষ্টা চলছে। এক বার্তায় তিনি এ হামলায় নিহত ব্যক্তিদের প্রতি গভীর শোক ও তাঁদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
এদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েন, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ ও অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজসহ বিশ্বের বিভিন্ন নেতা এ হামলার নিন্দা জানিয়ে বার্তা দিয়েছেন।
পেহেলগামের জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র বৈসারানে গতকাল বন্দুকধারীরা পর্যটকদের লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি চালালে কমপক্ষে ২৬ জন নিহত এবং আরও অনেকে আহত হন। হামলার পর জম্মু অঞ্চলে উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। হামলার প্রতিবাদে বিভিন্ন স্থানে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ।