যতই টাই-স্যুট পরা হোক। আইন হাতে নিলে কাউকে কোনো প্রকার ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.)। আজ বৃহস্পতিবার রাঙামাটিতে বিজিবি সদর সেক্টর সদরদপ্তরে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে বড় সমস্যা হচ্ছে চাঁদাবাজি। এ অঞ্চলে যত সহিংসতার ঘটনা ঘটছে তার মূলে রয়েছে চাদাবাজি। এটি বন্ধ করা না গেলে কোনোদিনই এখানে সমস্যা সমাধান হবে না। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পাহাড় ও সমতলে অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার বন্ধের পদক্ষেপ নিতে হবে। ৫ আগস্টের সময় সমতলে অনেক থানা থেকে অস্ত্র লুট হয়েছে, সেগুলো এখনো উদ্ধার হয়নি। এগুলো উদ্ধার করা গেলে অনেক সমস্যা সমাধান হবে। তবে এ ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে; কোনো অবস্থাতে চাঁদাবাজকে ছাড় দেওয়া না হয়। সে যতই টাই-স্যুট পরা হোক। আইন হাতে নিলে কাউকে কোনো প্রকার ছাড় দেওয়া হবে না।

জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ভারতীয় মিডিয়া মিথ্যা সংবাদ, গুজবের জন্য দায়ী। তাদের কয়েকটি মিডিয়া রয়েছে; তাদের কাজ হলো শুধু গুজব রটানো। তাই, আপনাদের (সাংবাদিকরা) সঠিক সংবাদ দিয়ে গুজবকে হটাতে হবে। আপনাদের ভালো ভালো সংবাদ দিয়ে ওদের মুখ বন্ধ করে আনছেন। সঠিক সংবাদ আমাদের জন্য ভালো, দেশের জন্যও ভালো।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, পার্বত্যাঞ্চলের জীবনমানের উন্নয়ন দরকার। গরীবের জন্য যে টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়, সেগুলো ডেনো সঠিকভাবে পৌঁছে। তার জন্য মনিটরি করা হবে। কোনো অবস্থাতেই দুর্নীতি টলারেট করা হবে না। তবে এখানে সাধারণ মানুষের জীবনমান যতটুক উন্নতি হয়েছে সেনাবাহিনীর দ্বারা হয়েছে। উন্নয়ন হয়েছে শহরকেন্দ্রিক। এ অঞ্চলে যে বনাঞ্চল ছিল; তা আজ মরুভূমিতে পরিণত হয়েছে।

এর আগে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা চট্টগ্রাম রিজিয়নের আওতাধীন বিজিবির বাঘাইহাট ব্যাটালিয়ন, সাজেক বিওপি এবং রাঙামাটি সেক্টর সদরদপ্তর পরিদর্শন করবেন। এছাড়া স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সম্প্রতি আগুনে পুড়ে সাজেক পর্যটন কেন্দ্র ও ফায়ার সার্ভিস স্টেশন নির্মাণের স্থান পরিদর্শন করেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা ও বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকীসহ ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তারা।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহালের দাবি

হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার এবং চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানকে স্মারকলিপি দিয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা–কর্মচারী। 

বৃহস্পতিবার ২৮ হাজার ৩০৭ কর্মীর সই করা এক হাজার ৪২৮ পৃষ্ঠার এই স্মারকলিপি উপদেষ্টার দপ্তরে জমা দেওয়া হয়। 

এতে বলা হয়, সংস্কার দাবির কারণে মাঠপর্যায়ে কোনো কর্মসূচি না থাকা সত্ত্বেও গত ১৬ অক্টোবর পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) ১০ জন কর্মকর্তাকে বিনা নোটিশে চাকরিচ্যুত করে। একই দিন তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। পরদিন সকাল থেকে শুরু হয় কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তার এবং আরও ১৪ জনকে চাকরিচ্যুত করা হয়। এই ঘটনায় সমিতির কর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও হতাশার জন্ম দেয়, যার ফলে কিছু এলাকায় সাময়িক বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটে।

স্মারকলিপি আরও বলা হয়, আরইবি এখনও মামলা, চাকরিচ্যুতি, বদলি, সাসপেন্ড বিভিন্ন হয়রানিমূলক পদক্ষেপ অব্যাহত রেখেছে। শুধু স্মারকলিপিতে সই দেওয়ার কারণেও সম্প্রতি মাদারীপুর ও রাজশাহীর কর্মকর্তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। প্রায় অর্ধশতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সংযুক্ত করে তদন্তের নামে হয়রানি ও শাস্তি দেওয়ার চেষ্টা চলছে। চাকরি হারিয়ে, মামলা ও জেল-জুলুমের শিকার হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো খুবই মানবেতর জীবনযাপন করছে। এমনকি ক্ষতিগ্রস্তদের ছেলেমেয়ের পড়াশোনাও চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। এর আগে গত ২৫ জানুয়ারি সমিতির ৩০ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীর সই করা স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। 

স্মারকলিপিতে মামলা প্রত্যাহার ও চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহালের দাবি জানানো হয়েছে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ