রোবোটিক্স ল্যাব প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিল ভিভো। বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়া অ্যানুয়াল কনফারেন্স ২০২৫-এ ঘোষণা দেয় প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া একই অনুষ্ঠানে উন্মোচন করা হয়েছে প্রথম মিক্সড রিয়েলিটি (এমআর) হেডসেট “ভিভো ভিশন”।

মঙ্গলবার চীনের বোয়াও হাইনানে চার দিনব্যাপী বার্ষিক এ সম্মেলন শুরু হয়।

বোয়াও ফোরামের চতুর্থ সম্মেলনের কৌশলগত অংশীদার হিসেবে ভিভো তাদের ব্লু টেকনোলজি ম্যাট্রিক্স (ব্লুইমেজ, ব্লুএলএম, ব্লুওএস, ব্লুচিপ, ব্লুভোল্ট), সিক্সজি  প্রযুক্তির অগ্রগতি এবং বাজারে আসতে যাওয়া নতুন স্মার্টফোন ভিভো এক্স২০০ আল্ট্রা প্রদর্শন করেছে। ভিভো এক্স২০০ ফোনটিকে এবারের সম্মেলনের অফিসিয়াল স্মার্টফোন হিসেবেও ঘোষণা করা হয়েছে।

ভিভোর এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট, চিফ অপারেটিং অফিসার ও ভিভো সেন্ট্রাল রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রেসিডেন্ট হু বেইশান ‘ভিভো রিলিজ মোমেন্ট’ সেশনে ’হিউম্যানিটি ইন দ্য ফিউচার অব টেকনোলজি বাই ভিভো’ শীর্ষক বক্তব্য দেন। ভিভোর গত তিন দশকের অগ্রযাত্রা তুলে ধরেন তিনি।

হু বেইশান বলেন, ভিভো এখন ৬০টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চলে ৫০ কোটি ব্যবহারকারীকে সেবা দিচ্ছে। গত চার বছর ধরে চীনের সবচেয়ে জনপ্রিয় স্মার্টফোন ব্র্যান্ড এটি। মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি, সহযোগিতা ও দূরদর্শিতা নিয়ে কাজ করে চলেছে ভিভো।

তিনি বলেন, বর্তমানে মোবাইল ফোন শিল্প প্রযুক্তির নতুন উদ্ভাবনের অন্যতম কেন্দ্র হিসেবে কাজ করছে। বিশেষ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এবং রোবোটিক্সের ক্ষেত্রে। এআই ডিজিটাল জগতে অনেক অগ্রগতি নিয়ে এসেছে। তবে রোবোটিক্স এখনও শারীরিক কাজকর্মের মধ্যেই  সীমাবদ্ধ।

তিনি বলেন, উন্নত এআই, শক্তিশালী হার্ডওয়্যার ও বিভিন্ন অ্যাপ দিয়ে সাজানো স্মার্টফোনগুলো এআই এবং রোবোটিক্সের মধ্যে সংযোগ সাধন করতে পারে। এর ফলে নতুন প্রজন্মের জন্য ইন্টেলিজেন্ট ডিভাইস তৈরি করা সম্ভব হবে।

এ সম্পর্কিত পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ভিভো রোবটিক্স ল্যাবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন হু বেইশান। এই ল্যাবে রোবটের মস্তিষ্ক এবং চোখ তৈরি করতে ভিভোর এআই এবং বিশেষ কম্পিউটিংয়ের দক্ষতা ব্যবহার করা হবে।

এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়ে হু বেইশান বলেন, এআইভিত্তিক বড় মডেল ও ইমেজিংয়ে প্রায় এক দশকের অভিজ্ঞতার পাশাপাশি ভিভো ভিশন থেকে অর্জিত রিয়েল-টাইম স্পেসিয়াল কম্পিউটিং ক্ষমতা রোবটিক্সে নতুন উদ্ভাবন আনবে। ভিভো শিল্প রোবোটিক্সের পরিবর্তে ব্যক্তিগত ও বাসাবাড়িতে ব্যবহারের জন্য রোবটিক সমাধান তৈরি করতে চায়, যা মানুষের দৈনন্দিন জীবনকে সহজ করবে। কোম্পানির লক্ষ্য হলো রোবটিক্সকে গবেষণাগার থেকে বের করে বাস্তব জীবনে ব্যবহার করা, যাতে বিভিন্ন মানুষের চাহিদা পূরণ হয়।

হু বেইশান ভিভোর প্রথম মিক্সড রিয়েলিটি হেডসেট ভিভো ভিশন উন্মোচন করেন। এটি মিক্সড রিয়েলিটি (এমআর) প্রযুক্তির একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

এ সময় হু বলেন, ভিভো তার ইমেজিং দক্ষতা, এআই এবং রিয়েল-টাইম স্পেসিয়াল কম্পিউটিংয়ের মাধ্যমে আরও বাস্তবসম্মত ডিজিটাল অভিজ্ঞতা দিতে চায়। আগামী মাসে ভিভোর সর্বশেষ ইমেজিং টেকনোলজির ভিভো এক্স২০০ আল্ট্রা উদ্বোধন করা হবে বলেও জানান তিনি। 

স্মার্টফোন, এআই ও রোবোটিক্সের সংমিশ্রণে মানুষের দৈনন্দিন জীবনকে আরও উন্নত করতে ভিভো সামনের দিনগুলোতে কাজ করতে আগ্রহী বলে জানান হু বেইশান। তিনি জানান, ভিভো ব্লুটেক, সিক্সজি, এআই এবং মিক্সড রিয়েলিটিতে নিয়মিতভাবে বিনিয়োগ করতে চায়। এ ছাড়া পরবর্তী প্রজন্মের গ্রাহক প্রযুক্তিতে নেতৃত্ব দিতে চায় ভিভো। ভিভো তার শিল্প অংশীদারদের সঙ্গে সহযোগিতার মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী ঘরে ঘরে ইন্টেলিজেন্ট রোবোটিক্স নিয়ে আসতে চায়, যাতে প্রযুক্তি মানুষের জীবনে আরও অর্থপূর্ণভাবে ও বাস্তবিক অর্থে কাজে লাগে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব যবহ র

এছাড়াও পড়ুন:

এই কঠিন সময়ে ঐক্য ধরে রাখা প্রয়োজন: ঢাবি উপাচার্য

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে জাতির ঐক্য রক্ষার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান।

উপাচার্য বলেন, ‘আমরা একটি কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করছি। এক অর্থে জাতির জন্য এটি একটি ক্রান্তিকাল। এই সময়ে আমাদের ঐক্য ধরে রাখা একান্তই প্রয়োজন।’

আজ রোববার সকালে রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের কাছে নিয়াজ আহমেদ খান এ কথা বলেন।

ঢাবি উপাচার্য বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস জাতির জন্য পরম শ্রদ্ধা, কৃতজ্ঞতা ও মমতার দিন। এক গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, চিন্তাবিদ ও বুদ্ধিজীবীরা নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন। তাঁদের সেই চূড়ান্ত আত্মত্যাগ ইতিহাসে চিরভাস্বর হয়ে আছে।

নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, যুগে যুগে ও প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ এ জাতিকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ঐক্যবদ্ধ করেছে এবং সাহস জুগিয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় জাতি ১৯৯০ ও ২০২৪ সালের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে অগ্রসর হয়েছে।

উপাচার্য আরও বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ আজও জাতির ঐক্য ধরে রাখার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোকবর্তিকা। একই সঙ্গে ১৯৫২, ১৯৬৮, ১৯৬৯, মহান মুক্তিযুদ্ধসহ প্রতিটি আন্দোলন–সংগ্রামে যাঁরা রক্ত ও জীবন দিয়ে দেশের স্বাধীনতা ও মর্যাদা রক্ষা করেছেন, তাঁদের সবার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা।

নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, ১৯৫২ থেকে ২০২৪—এর প্রতিটি দিন ও ঘটনাপ্রবাহ জাতির মৌলিক পরিচয়ের মাইলফলক। এর কোনো অংশ বাদ দেওয়ার সুযোগ নেই। এ ইতিহাসই যুগে যুগে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ রেখেছে, আর বর্তমান সময়ে সেই ঐক্য ধরে রাখাই সবচেয়ে বড় প্রয়োজন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ