নাটক ইন্ডাস্ট্রিতে এবার শতাধিক নতুন নাটক নির্মাণ হয়েছে। প্রতিবারের মতো এবারের ঈদেও চয়নিকা চৌধুরী নির্মাণ করেছেন নাটক। ঈদ উপলক্ষে তিনি চারটি নাটক নির্মাণ করেছেন। নাটকগুলো হল ‘কোনো একদিন’, ‘ভালো থেকো মেঘ’ ‘কাজল ভোমরা’। এই তিনটি নাটকই প্রচার হবে ৩ এপ্রিল, দেশের তিনটি ভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে।

‘কোনো একদিন’
চয়নিকা চৌধুরীর নাটক মানেই সেখানে সম্পর্ক ও ব্যক্তি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। বলা যায় গল্পনির্ভর কাজ করতেই পছন্দ করেন এই নির্মাতা। ‘কোন একদিন’ নাটকটিও এর ব্যতিক্রম নয়। এখানে স্বামী-স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন আফজাল হোসেন ও সাদিয়া ইসলাম মৌ। ৩ বছর পর তাদেরকে জুটি করে কাজ করলেন চয়নিকা।

রঙ্গন মিউজিকের ব্যানারে ‘কোনো একদিন’ নাটকটি রচনা করেছেন ফারিয়া হোসেন। ‘কোনো একদিন’ নাটকে আফজাল হোসেন ও সাদিয়া ইসলাম মৌ ছাড়াও আরও অভিনয় করেছেন সৌম্য জ্যোতি, তন্নী মাহমিদ তৃণা, আজম খান প্রমুখ।

এটি প্রচার হবে বৈশাখী টেলিভিশনে, রাত ৯টা ৫৫ মিনিটে। তবে নাটকটি পরবর্তীতে ‘রঙ্গন মিউজিক’-এর ইউটিউব চ্যানেলেও দেখা যাবে।

‘ভালো থেকো মেঘ’
তানজিন তিশা, সজল নূর এবং প্রান্তর দস্তিদারকে নিয়ে এই নির্মাতার আরেকটি নাটক ‘ভালো থেকো মেঘ’। আসিফ ইকবালের গল্পে চিত্রনাট্য তৈরি করেছেন ইফফাত আরেফিন মাহমুদ। সজল নূর, তানজিন তিশা ছাড়াও এই নাটকে অভিনয় করেছেন ডলি জহুর, প্রান্তর দস্তিদার,ওয়াজিহা হক,আজম খান প্রমুখ। নাটকটি প্রযোজনা করেছে ‘গাংচিল মিউজি’। প্রচার হবে ‘গাংচিল মিউজিক’-এর ইউটিউব চ্যানেলে, দুপুর ১টায়। 
পোস্টার

‘কাজল ভোমরা’
বেশ দীর্ঘ সময় পর ঈদের নাটক লিখেছেন চয়নিকা চৌধুরী। নাটকটির নাম ‘কাজল ভোমরা’। ‘কাজল ভোমরা’ নাটকে অভিনয় করেছেন সামিরা খান মাহি, জুনায়েদ বোগদাদি, মিলিবাশার, আজম খান প্রমুখ। নাটকটি প্রযোজনা করেছে আঁকা চিত্রগল্প। এটি প্রচার হবে এনটিভিতে, দুপুর ২টা ২০ মিনিটে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স দ য় ইসল ম ম আফজ ল হ স ন চয়ন ক একদ ন ন টকট

এছাড়াও পড়ুন:

রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা কমানো নিয়ে দরকষাকষি

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণ কর্মসূচির শর্ত অনুযায়ী চলতি অর্থবছরের শেষ তিন মাসে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) দুই লাখ কোটি টাকার বেশি রাজস্ব আহরণ করতে হবে। একই সঙ্গে আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরে সংস্থাটির অতিরিক্ত আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৫৭ হাজার কোটি টাকা। বর্তমান প্রেক্ষাপটে এ দুই লক্ষ্যমাত্রার কোনোটিই অর্জন সম্ভব নয়। তাই এ বিষয়ে যুক্তি তুলে ধরে রাজস্বের লক্ষ্যমাত্রা কমানোর অনুরোধ জানিয়েছেন এনবিআরের কর্মকর্তারা। 

গতকাল বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এনবিআর ভবনে সংস্থাটির চেয়ারম্যানসহ কাস্টমস, আয়কর ও ভ্যাট অনুবিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন সফররত আইএমএফ প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। এসব বৈঠকে কর্মকর্তারা জানান, আইএমএফের শর্তের কথা মাথায় রেখে কিছু ক্ষেত্রে করহার বাড়ানো, কর অব্যাহতি তুলে দেওয়াসহ নীতিতে পরিবর্তন নিয়ে আসা হচ্ছে। এতে আশা করা হচ্ছে, রাজস্ব আহরণ বেশ বাড়বে। তবে যে লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছে তা সার্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে বাস্তবসম্মত নয়। তাই এ লক্ষ্যমাত্রা যৌক্তিক পর্যায়ে নামিয়ে আনার অনুরোধ করেন তারা। এ বিষয়ে আইএমএফ প্রতিনিধি দলের সদস্যরা বেশ ইতিবাচক বলেও বৈঠক সূত্রে জানা গেছে। 

বৈঠকের বিষয়ে এনবিআরের কর্মকর্তারা সমকালকে বলেন, গত জুন শেষে দেশের কর-জিডিপি অনুপাত ছিল ৭ দশমিক ৪ শতাংশ। এটি চলতি অর্থবছর শেষে বাড়িয়ে ৭ দশমিক ৯ শতাংশে উন্নীত করার শর্ত দিয়েছিল আইএমএফ। এর জন্য রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ লাখ ৫৫ হাজার কোটি টাকা। তবে চলতি অর্থবছরের মার্চ মাস পর্যন্ত রাজস্ব আদায় হয়েছে ২ লাখ ৫২ হাজার কোটি টাকা। অর্থবছরের পরবর্তী তিন মাসে লক্ষ্যমাত্রার বাকি রাজস্ব আদায় করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। তারা আরও বলেন, লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাড়তি ৫৭ হাজার কোটি টাকা আদায় করতে হবে। এসব বাড়তি রাজস্ব কীভাবে আদায় হবে তা জানতে চেয়েছে আইএমএফ প্রতিনিধি দল। এনবিআরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এটি অসম্ভব। তাই লক্ষ্যমাত্রা কমানোর অনুরোধ করা হয়েছে।

কর্মকর্তারা আরও বলেন, দেশের রাজস্ব খাত সংস্কারে উদ্যোগী মনোভাবের কথাও তাদের জানানো হয়েছে। আইএমএফ প্রতিনিধি দল বিষয়টি অনুধাবন করতে পেরেছে। সামনে আরও বৈঠক হবে। আশা করা হচ্ছে, রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে আনবে আইএমএফ।

আইএমএফের ঋণের চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তি ছাড়ের আগে বাংলাদেশ কতটা শর্ত পূরণ করেছে, তা পর্যালোচনায় ঢাকা সফর করছে প্রতিনিধি দলটি। এ দুই কিস্তির জন্য গত ডিসেম্বর পর্যন্ত কর রাজস্বের যে লক্ষ্যমাত্রা ছিল, তার চেয়ে প্রায় ৫২ হাজার কোটি টাকা পিছিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। আইএমএফ গবেষণা বিভাগের ডেভেলপমেন্ট ম্যাক্রোইকোনমিকসের প্রধান ক্রিস পাপাজর্জিওর নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলটি গত রোববার থেকে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থার সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছে। মিশনটি আগামী ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ