আধিপত্য বিস্তার নিয়ে পাবনা পৌর এলাকার অনন্ত অঞ্চলের হরিজন কলোনিতে ছুরিকাঘাতে আরাফাত‌ হোসেন (১৮) নামের এক কিশোর নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় প্রতিপক্ষের বাড়ি-ঘরে ভাঙচুর ও আগুন ধরিয়ে দিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা।

বুধবার দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আরাফাত পৌর এলাকার দক্ষিণ রাঘবপুরের ওমর আলীর ছেলে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বেশ কিছুদিন ধরে স্থানীয় শহিদুল মেম্বারের সঙ্গে আরাফাতদের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে একাধিকবার ছোটোখাটো মারামারির ঘটনাও ঘটেছে। বুধবার মধ্যরাতে কলোনি এলাকায় আরাফাতকে একা পেয়ে কুপিয়ে জখম করে শহীদুলের লোকজন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনার পর পরই শহীদ মেম্বারের বাড়ি-ঘরে ভাঙচুর ও আগুন ধরিয়ে দেয় আরাফাতের লোকজন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মশিউর রহমান মন্ডল জানান, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এ ঘটনা ঘটে। মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্তসাপেক্ষে ঘটনার মূল কারণ পরে জানানো হবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প বন আর ফ ত এ ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহালের দাবি

হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার এবং চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানকে স্মারকলিপি দিয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা–কর্মচারী। 

বৃহস্পতিবার ২৮ হাজার ৩০৭ কর্মীর সই করা এক হাজার ৪২৮ পৃষ্ঠার এই স্মারকলিপি উপদেষ্টার দপ্তরে জমা দেওয়া হয়। 

এতে বলা হয়, সংস্কার দাবির কারণে মাঠপর্যায়ে কোনো কর্মসূচি না থাকা সত্ত্বেও গত ১৬ অক্টোবর পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) ১০ জন কর্মকর্তাকে বিনা নোটিশে চাকরিচ্যুত করে। একই দিন তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। পরদিন সকাল থেকে শুরু হয় কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তার এবং আরও ১৪ জনকে চাকরিচ্যুত করা হয়। এই ঘটনায় সমিতির কর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও হতাশার জন্ম দেয়, যার ফলে কিছু এলাকায় সাময়িক বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটে।

স্মারকলিপি আরও বলা হয়, আরইবি এখনও মামলা, চাকরিচ্যুতি, বদলি, সাসপেন্ড বিভিন্ন হয়রানিমূলক পদক্ষেপ অব্যাহত রেখেছে। শুধু স্মারকলিপিতে সই দেওয়ার কারণেও সম্প্রতি মাদারীপুর ও রাজশাহীর কর্মকর্তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। প্রায় অর্ধশতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সংযুক্ত করে তদন্তের নামে হয়রানি ও শাস্তি দেওয়ার চেষ্টা চলছে। চাকরি হারিয়ে, মামলা ও জেল-জুলুমের শিকার হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো খুবই মানবেতর জীবনযাপন করছে। এমনকি ক্ষতিগ্রস্তদের ছেলেমেয়ের পড়াশোনাও চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। এর আগে গত ২৫ জানুয়ারি সমিতির ৩০ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীর সই করা স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। 

স্মারকলিপিতে মামলা প্রত্যাহার ও চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহালের দাবি জানানো হয়েছে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ