রামপুরা থানা এলাকায় নারী সাংবাদিককে শ্লীলতাহানি ও হেনস্থার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত সোয়েব রহমান জিসানসহ তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে র‌্যাবের সদর দপ্তরের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (মিডিয়া) সনদ বড়ুয়া এ তথ্য জানান।

র‌্যাব জানায়, বুধবার (২ এপ্রিল)  রাতে ঢাকার রামপুরা এলাকায় যৌন হয়রানি সংক্রান্ত একটি ঘটনা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত হলে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে। বিষয়টি র‍্যাব-৩ এর নজরে আসলে তাৎক্ষণিক ছায়া তদন্ত শুরু করে। এ বিষয়ে  রামপুরা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় উল্লেখিত এজাহার নামীয় ও অজ্ঞাতনামা অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে র‍্যাব সদর দপ্তর গোয়েন্দা শাখা ও র‍্যাব-৩ এর একাধিক গোয়েন্দা ও অপারেশনাল টিম মাঠ পর্যায়ে কাজ শুরু করে। গোয়েন্দা সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় মামলার প্রধান আসামি সোয়েব রহমান জিসানকে রামপুরা থানার মেরাদিয়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তীতে তার দেওয়া তথ্যে রমনা থানার বেইলি রোড এলাকা থেকে মো.

রাইসুল ইসলাম ও গেন্ডারিয়া এলাকা থেকে মো. কাউসার হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গতকাল রাত পৌনে আটটার দিকে একটি ইংরেজি দৈনিকের নারী সংবাদকর্মী তার ছোট ভাইকে নিয়ে বনশ্রী ই-ব্লকের ৩ নম্বর রোডের মুখে একটি জুসের দোকানে যান। এ সময় স্থানীয় কয়েকজন যুবক তাকে উত্ত্যক্ত করেন। এতে তার ভাই প্রতিবাদ করলে তারা তাকে মারধর করেন। এ সময় ওই নারী সংবাদকর্মী বাধা দিতে গেলে তারা তাকে মারধর ও শ্লীলতাহানি করেন। গতকাল রাতে ওই ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

ঢাকা/এমআর/ইভা 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

এই কঠিন সময়ে ঐক্য ধরে রাখা প্রয়োজন: ঢাবি উপাচার্য

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে জাতির ঐক্য রক্ষার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান।

উপাচার্য বলেন, ‘আমরা একটি কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করছি। এক অর্থে জাতির জন্য এটি একটি ক্রান্তিকাল। এই সময়ে আমাদের ঐক্য ধরে রাখা একান্তই প্রয়োজন।’

আজ রোববার সকালে রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের কাছে নিয়াজ আহমেদ খান এ কথা বলেন।

ঢাবি উপাচার্য বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস জাতির জন্য পরম শ্রদ্ধা, কৃতজ্ঞতা ও মমতার দিন। এক গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, চিন্তাবিদ ও বুদ্ধিজীবীরা নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন। তাঁদের সেই চূড়ান্ত আত্মত্যাগ ইতিহাসে চিরভাস্বর হয়ে আছে।

নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, যুগে যুগে ও প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ এ জাতিকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ঐক্যবদ্ধ করেছে এবং সাহস জুগিয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় জাতি ১৯৯০ ও ২০২৪ সালের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে অগ্রসর হয়েছে।

উপাচার্য আরও বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ আজও জাতির ঐক্য ধরে রাখার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোকবর্তিকা। একই সঙ্গে ১৯৫২, ১৯৬৮, ১৯৬৯, মহান মুক্তিযুদ্ধসহ প্রতিটি আন্দোলন–সংগ্রামে যাঁরা রক্ত ও জীবন দিয়ে দেশের স্বাধীনতা ও মর্যাদা রক্ষা করেছেন, তাঁদের সবার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা।

নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, ১৯৫২ থেকে ২০২৪—এর প্রতিটি দিন ও ঘটনাপ্রবাহ জাতির মৌলিক পরিচয়ের মাইলফলক। এর কোনো অংশ বাদ দেওয়ার সুযোগ নেই। এ ইতিহাসই যুগে যুগে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ রেখেছে, আর বর্তমান সময়ে সেই ঐক্য ধরে রাখাই সবচেয়ে বড় প্রয়োজন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ