চট্টগ্রামে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত যুবদল কর্মীর মৃত্যু
Published: 3rd, April 2025 GMT
চট্টগ্রামে ঈদ শুভেচ্ছা ব্যানার টাঙানো নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ও ছুরিকাহত হয়ে যুবদলের এক কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। তাঁর নাম জিহাদুর রহমান। আজ বৃহস্পতিবার সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
২১ মার্চ নগরের খুলশী থানার কুসুমবাগ আবাসিক এলাকায় ঈদ শুভেচ্ছা ব্যানার টাঙানো নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে জিহাদুরসহ দুজন গুলিবিদ্ধ ও একজন ছুরিকাহত হন।
নগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল হালিম শাহ আলমের অনুসারী ও নগর ছাত্রদলের সদস্যসচিব শরিফুল ইসলামের অনুসারীদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। শরিফুল বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিনের অনুসারী।
গুলিবিদ্ধ দুজন হলেন জিহাদুর রহমান ও আনোয়ার হোসেন। তাঁরা শাহ আলমের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। আর ছুরিকাঘাতে আহত হন রমিজ দারোয়ান। তিনি শরিফুলের অনুসারী।এ ঘটনায় খুলশী থানায় পাল্টাপাল্টি দুটি মামলা হয়। ঘটনার দিন খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমানকে তাৎক্ষণিক প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।
জানতে চাইলে খুলশী থানার ওসি আফতাব হোসেন আজ দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জিহাদুর রহমান নামের একজনের মৃত্যু হয়েছে। তিনি গুলিবিদ্ধ ও ছুরিকাহত ছিলেন। সংঘর্ষের ঘটনায় করা মামলায় আদালতে আবেদন করে ৩০২ ধারা যুক্ত করা হবে। এক প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুনব্যানার টাঙানো নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, দুজন গুলিবিদ্ধ২১ মার্চ ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র অন স র র রহম ন স ঘর ষ
এছাড়াও পড়ুন:
বাবার ভুলের জন্য ক্ষমা চাইলেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ
বাবার ঠিকাদারি লাইসেন্স নিয়ে মুখ খুলেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টার পর নিজ ফেসবুকে পেইজে বাবার ভুলের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন তিনি।
ফেসবুকে আসিফের দেওয়া পোস্টটি তুলে দেওয়া হলো- প্রথমেই আমার বাবার ভুলের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করছি। গতকাল রাত ৯টার দিকে একজন সাংবাদিক কল দিয়ে আমার বাবার নামে ইস্যুকৃত ঠিকাদারি লাইসেন্সের বিষয়ে জানতে চাইলেন। বাবার সাথে কথা বলে নিশ্চিত হলাম তিনি জেলা পর্যায়ের (জেলা নির্বাহী ইঞ্জিনিয়ার এর কার্যালয় থেকে ইস্যুকৃত) একটি লাইসেন্স করেছেন। বিষয়টি উক্ত সাংবাদিককে নিশ্চিত করলাম।
তিনি পোস্টে আরও উল্লেখ করেন, নিউজও হলো গণমাধ্যমে। নানা আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে তাই ব্যাখ্যা দেওয়ার প্রয়োজনবোধ করলাম। আমার বাবা একজন স্কুলশিক্ষক। আকুবপুর ইয়াকুব আলী ভুঁইয়া পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। স্থানীয় একজন ঠিকাদার কাজ পাওয়ার সুবিধার্থে বাবার পরিচয় ব্যবহার করার জন্য বাবাকে লাইসেন্স করার পরামর্শ দেন। বাবাও তার কথায় জেলা নির্বাহী ইঞ্জিনিয়ার থেকে একটি ঠিকাদারি লাইসেন্স করেন। রাষ্ট্রের যেকোনো ব্যক্তি ব্যবসা করার উদ্দেশ্যে যেকোন লাইসেন্স করতেই পারে। তবে আমি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বরত থাকা অবস্থায় বাবার ঠিকাদারি ব্যবসায় জড়ানো স্পষ্টভাবেই কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট। বিষয়টি বোঝানোর পর আজ বাবার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে লাইসেন্সটি বাতিল করা হয়েছে। উল্লেখ্য, মধ্যবর্তী সময়ে উক্ত লাইসেন্স ব্যবহার করে কোন কাজের জন্য আবেদন করা হয়নি।