চোট কাটিয়ে মাঠে ফিরে আগের ম্যাচেই জয়সূচক গোল করেছিলেন লিওনেল মেসি। তবে এবার লস অ্যাঞ্জেলেস এফসির বিপক্ষে তার ছন্দহীন পারফরম্যান্সের কারণে হারের স্বাদ পেয়েছে ইন্টার মায়ামি। কনকাকাফ চ্যাম্পিয়ন্স কাপের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে ১-০ গোলের ব্যবধানে হারে মেসির দল।
ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলছিল ইন্টার মায়ামি। ১৭ মিনিটে ফ্রি-কিক থেকে গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন মেসি, তবে তার বাঁ পায়ের শট বার ছাড়িয়ে বাইরে চলে যায়। এরপর ৩৭ মিনিটে আরও একটি সুযোগ পান তিনি, তবে লস অ্যাঞ্জেলেসের গোলরক্ষক হুগো লরিস দারুণ সেভে তাকে আটকে দেন। প্রথমার্ধে গোলের সুযোগ তৈরি করেও ব্যর্থ হয় উভয় দল। লুইস সুয়ারেজও সহজ সুযোগ নষ্ট করেন।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ম্যাচের একমাত্র গোলটি আসে। ৫৭ মিনিটে মার্কো দেলগাদোর অ্যাসিস্ট থেকে গোল করেন নাথান ওর্দাজ। এরপর সমতায় ফেরার জন্য মরিয়া হয়ে উঠে মায়ামি। কিন্তু দুর্বল ফিনিশিং ও প্রতিপক্ষের গোলরক্ষকের দৃঢ়তায় গোলের দেখা পায়নি তারা।
শেষ দিকে আরও দুটি ভালো সুযোগ পেয়েছিলেন মেসি। ৭৯ মিনিটে ইয়ানিক ব্রাইটের পাস থেকে শট নিয়েও গোল আদায় করতে পারেননি। ৮৬ মিনিটে তার আরেকটি প্রচেষ্টা আটকে দেন লরিস। ফলে পুরো ৯০ মিনিট খেলেও দলকে জয় এনে দিতে ব্যর্থ হন মেসি।
আগামী ১০ এপ্রিল কনকাকাফ চ্যাম্পিয়ন্স কাপের কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে লস অ্যাঞ্জেলেসের বিপক্ষে মাঠে নামবে ইন্টার মায়ামি। এর আগে এমএলএসে ৭ এপ্রিল টরন্টোর বিপক্ষে খেলবে তারা। বাংলাদেশ সময় ভোর ৫টায় চেজ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে সেই ম্যাচ।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ইন ট র ম য ম
এছাড়াও পড়ুন:
তৃতীয় দিনটা বৃষ্টি আর নাজমুলের
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আলোকস্বল্পতায় খেলা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর মাঠেই ছিলেন আম্পায়াররা। আকাশ পরিষ্কার হয়ে আলোর সংকট কাটে কিনা সেটি দেখতে মিনিট দশেক অপেক্ষা করেছেন তাঁরা। এরপর ঘোষণা দিয়েছেন আজ আর খেলা সম্ভব নয়।
দেরিতে শুরু আর আগেভাগেই শেষ হওয়া সিলেট টেস্টের তৃতীয় দিনটা বাংলাদেশ শেষ করেছে ৪ উইকেটে ১৯৪ রান নিয়ে। জিম্বাবুয়ের চেয়ে এখন ১১২ রানে এগিয়ে নাজমুল হোসেনের দল। দলের ভরসা হয়ে টিকে আছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন। আগামীকাল চতুর্থ দিনটা ৬০ রানে শুরু করবেন নাজমুল। অবিচ্ছিন্ন পঞ্চম উইকেটে তাঁর সঙ্গী জাকের আলী অপরাজিত ২১ রানে।
বৃষ্টির কারণে দিনের খেলা শুরু হয় দুপুর ১টা। এরপর খেলা হতে পারে ৪৪ ওভার। ১ উইকেট ৫৭ রান নিয়ে দিন শুরু করা বাংলাদেশ যোগ করতে পেরেছে ১৩৭ রান।
বৃষ্টিভেজা দিনে ইনিংসের শুরুতে নাজমুল বোলারদের ওপর চড়াও হলেও ধীরে ধীরে ফিরেছেন প্রথাগত টেস্টে মুডে। বিশেষ করে ২৬ রানের একবার জীবন পাওয়ার পর। জিম্বাবুয়ের দুই পেসার ব্লেসিং মুজারাবানি ও ভিক্টর নিয়াউচি নাজমুলকে আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠার প্ররোচনা দিয়েছেন বারবারই।
উদাহরণ হিসেবে ইনিংসের ৩৫তম ওভারের কথা বলা যেতে পারে। নিয়াউচির করা সেই ওভারে ষষ্ঠ-সপ্তম স্টাম্পের পাঁচ–পাঁচটি বল ছেড়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। পুরো ইনিংসে অফ স্টাম্পের বেশ বাইরের বলগুলোতে ছিলেন বাড়তি সতর্ক। ভুল যে করেননি তা নয়!
৩৮তম ওভারে মুজারাবানির অফ স্টাম্পের বাইরের বল তাড়ায় দ্বিতীয় স্লিপের পাশ দিয়ে বল যায় বাউন্ডারিতে। তৃতীয় স্লিপ থাকলে অনায়াসে হতে পারত ক্যাচ। তবে দ্বিতীয় স্লিপে থাকা শন উইলিয়ামসের হাতে লেগে বল চলে যায় বাউন্ডারিতে। এরপর ব্যাট ছুড়ে নাজমুল যে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন, তাতেই বোঝা গেছে নাজমুলের আজ ভুল করতে মানা! প্রথম ইনিংসে মুজারাবানির অফ স্টাম্পের বাইরের বলে মারতে গিয়ে ৪০ রানে আউটের পরই হয়তো এই উপলব্ধি তাঁর।
নাজমুল যা পেরেছেন সিলেটে আজ তা পারেননি মুমিনুল হক ও মুশফিকুর রহিম। দুজনের বিষয়টি অবশ্য ভিন্ন। বাঁহাতি মুমিনুল সকাল থেকে বাংলাদেশের স্কোরবোর্ড টেনেছেন। তবে ব্যক্তিগত ৪৭ রানে মনযোগ হারান এই ব্যাটসম্যান। নিয়াউচির অফ স্টাম্পের বাইরে পাতা ফাঁদে ধরা পড়েন মুমিনুল।হক। ক্যাচ দেন নিয়াশা মায়াভোর গ্লাভসে।
অফ স্টাম্পের বাইরের শর্ট বল ঠিকঠাক খেলতে পারেননি মুমিনুল। ব্যাটে লেগে ক্যাচ যায় উইকেটরক্ষক মায়াভোর কাছে। ভাঙে ৯১ বল স্থায়ী ৬৫ রানের জুটি।
মুশফিক ফেরেন এর পরপরই। ব্লেসিং মুজারাবানির অফ স্টাম্পের বাইরের বলে খোঁচা মেরে বসেন মুশফিক। ৪ রান করা মুশফিকের সহজ ক্যাচ নেন আরভিন।
দিনের বাকি যে সময়টুকুতে খেলা হয়েছে, তাতে ভালোভাবেই সামলেছেন নাজমুল ও জাকের আলী। ১০৩ বলে ৭ চারে ৬০ রানে খেলছেন নাজমুল । ৩ চারে ৬০ বলে জাকের আলীর রান ২১।
সংক্ষিপ্ত স্কোরবাংলাদেশ: ১৯১ ও ৫৭ ওভারে ১৯৪/৪ (সাদমান ৪, মাহমুদুল ৩৩, মুমিনুল ৪৭, নাজমুল ৬০*, মুশফিক ৪, জাকের ২১*; মুজারাবানি ৩/৫১, নিয়াউচি ১/২৮)।জিম্বাবুয়ে ১ম ইনিংস: ২৭৩।
(তৃতীয় দিন শেষে)