বাড়ি ফিরে এখনো কেঁদে ফেলি: ঋতুপর্ণা
Published: 3rd, April 2025 GMT
ভারতীয় বাংলা সিনেমার অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। খুব শিগগির মুক্তি পাবে তার অভিনীত-প্রযোজিত সিনেমা ‘পুরাতন’। আপাতত সিনেমাটির প্রচারের কাজে দারুণ ব্যস্ত সময় পার করছেন এই অভিনেত্রী। ফলে ভীষণ চিন্তিত এই নায়িকা।
ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত বলেন, “আপাতত খুব চিন্তায় আছি, রাতে ঘুম আসছে না। সামনেই ‘পুরাতন’ সিনেমার মুক্তি।”
৩৬ বছরের অভিনয় ক্যারিয়ার ঋতুপর্ণার। অসংখ্য সিনেমায় অভিনয় করেছেন। ক্যারিয়ারের এ পর্যায়ে এসেও সিনেমা মুক্তির সময়ে চিন্তার ভাঁজ পড়ে কপালে। ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত বলেন, “এখন আরো বেশি চিন্তা হয়। সেটা আমি কাউকে বুঝতে দিই না। আসলে কোন কাজটা হলো আর কোনটা মিস করে গেলাম, এই ভাবতে-ভাবতে দিন-রাত এক হয়ে যাচ্ছে। এটা শুধু প্রযোজনা বলে নয়, আমি যেখানে অভিনয় করি, সেখানেও একই রকমের টেনশন হয়।”
আরো পড়ুন:
নায়িকা হিসেবে বড় পর্দায় পা রাখছে মহেশ বাবুর কন্যা?
পরমদা তো ইমরান হাশমি, দারুণ চুমু খায়: কৌশানী
অভিনেত্রী ঠিক কতটা আবেগপ্রবণ? এ প্রশ্নের উত্তরে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত বলেন, “এখনো কোনো ডিসার্ভিং অ্যাওয়ার্ড না পেলে বাড়ি ফিরে কেঁদে ফেলি। কিছুদিন আগেই তেমনটা হয়েছে। ভীষণ কষ্ট পেয়েছিলাম। অন্য কেউ অ্যাওয়ার্ডটা পেয়েছেন বলে নয়। তবে আমার মনে হয়েছিল কাজের বিচারে আমি অ্যাওয়ার্ডটা পাওয়ার যোগ্য। কাছের অনেকেই বোঝান, তবে নিজেকে একেবারেই বদলে ফেলতে পারিনি। আমি অন্যদের মতো হতে পারি না। ওটাই আমার দুর্বলতা অথবা আমার শক্তি।”
গত বছরের নভেম্বরে মারা গেছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর মা নন্দিতা। ঋতুপর্ণার পরবর্তী সিনেমার গল্পও গড়ে উঠেছে মা-মেয়েকে কেন্দ্র করে। এ বিষয়ে ঋতুপর্ণা বলেন, “পুরাতন’ সিনেমার শুটিং করার সময়ে মা বেঁচে ছিলেন। সিনেমাটা মাকে দেখানোর ইচ্ছা ছিল, তা আর হলো কই! হাজার চেষ্টা করলেও আর তো ফিরে পাব না।”
এরপর খানিক আবেগপ্রবণ হয়ে এই অভিনেত্রী বলেন, “আজও মায়ের ভয়েস নোটগুলো খুলে শুনি। আসলে আমি ভীষণ প্রাচীনপন্থী। আঁকড়ে বাঁচতে ভালোবাসি। অনেক প্রতারিত হয়েছি, কিন্তু নিজের ভিতরটাকে বদলাব কী করে?”
‘পুরাতন’ সিনেমার মাধ্যমে দীর্ঘদিন পর বাংলা সিনেমায় অভিনয় করলেন বলিউড অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুর। সিনেমাটির বিশেষ একটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত। এটি পরিচালনা করেছেন সুমন ঘোষ।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
চীনের সঙ্গে সম্পর্ক রেখেই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তিতে যেতে ইইউ
ইউরোপীয় কমিশন জানিয়েছে, চীনের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন না করেই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তিতে যেতে চায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। ব্রাসেলস ও ওয়াশিংটনের মধ্যে চলমান আলোচনা প্রসঙ্গে এ কথা জানিয়েছে সংস্থাটি । চীনের সংবাদমাধ্যম সিএমজি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
সম্প্রতি ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, ৭০টির বেশি দেশের সঙ্গে শুল্ক আলোচনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। বেইজিংয়ের সঙ্গে তাদের বাণিজ্য সীমিত করার একটি পরিকল্পনা চলছে।
দ্য আইরিশ টাইমস জানিয়েছে, ওয়াশিংটনের চাওয়া- ইইউ যেন চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একটি পক্ষ বেছে নেয়। তবে ইউরোপীয় কমিশনের উপমুখপাত্র আরিয়ানা পোদেস্তা স্পষ্টভাবে বলেছেন, চীনের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক থেকে যুক্তরাষ্ট্রের এই আলোচনা সম্পূর্ণ ভিন্ন। আমাদের চীন নীতিতে কোনো পরিবর্তন আসেনি।
তিনি জানান, চীন-ইইউ সম্পর্ক নিয়ে বক্তব্য রেখেছেন কমিশন প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লায়েন। তাঁর পক্ষ থেকে বেইজিংয়ের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগও বজায় রাখা হচ্ছে। আমাদের লক্ষ্য ঝুঁকি হ্রাস করা। বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া নয়।
ইউরোপের ভ্যাট এবং টেক জায়ান্টদের বিভিন্ন নিয়মকে অন্যায্য সুবিধা মনে করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর জবাবে কমিশন বলেছে, ইউরোপের নাগরিকদের নিরাপত্তা ও সুস্থতার প্রশ্নে কোনো আপস হবে না।
ভন ডার লায়েন জানান, বিশ্ব ব্যবস্থা যত অনিশ্চিত হচ্ছে, ইউরোপের পাশে দাঁড়াতে আগ্রহী দেশের সংখ্যাও বাড়ছে। অন্যদিকে, যুক্তরাজ্য ও ইইউকে বহুপক্ষীয় বাণিজ্য ব্যবস্থার পক্ষে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। ব্রুগেলের সিনিয়র ফেলো আন্দ্রে সাপিরও বলেছেন, মার্কিন শুল্কের প্রতিক্রিয়ায় ইইউর একটি আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত বাণিজ্য জোট গঠন করা উচিত।
তিনি বলেন, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার দ্বারা প্রকাশিত উন্মুক্ত ও নিয়মভিত্তিক বাণিজ্যের জন্য ইইউ নেতাদের জি-২০ এবং জি-২০-বহির্ভূত দেশগুলোর নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত।