মাদারীপুরের শিবচর উপজেলায় সাইদ মোল্লা (৬০) নামের এক চালককে হত্যার পর তার ভ্যান ছিনতাই করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় ভ্যানসহ ছিনতাইকারী চক্রের এক সদস্যকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে এলাকাবাসী। 

বুধবার (২ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টার দিকে শিবচর উপজেলার কাঠালবাড়ি ইউনিয়নের তালতলা বাজারের পাশে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ভ্যানচালক একই উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের বড় কেশবপুর গ্রামের হামেদ মোল্লার ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, যাত্রী বেশে ভ্যানে ওঠে ছিনতাই চক্রের সদস্যরা। রাত সাড়ে ১০টার দিকে ভ্যান কাঠালবাড়ির তালতলা এলাকায় এলে প্রথমে ভ্যানচালক সাইদ মোল্লাকে কুপিয়ে হত্যা করে ছিনতাইকারীরা। পরে ভ্যান নিয়ে সটকে পড়ে। ছিনতাইকারীরা ভ্যান নিয়ে কাঠালবাড়ি এলাকা অতিক্রম করার সময় এলাকাবাসীর সন্দেহ হলে তাদের গতি রোধ করা হয়। এ সময় ছিনতাই চক্রের এক সদস্যকে আটক করে এলাকাবাসী। অন্যরা পালিয়ে যায়।

শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রতন শেখ বলেছেন, খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে। মরদেহের সুরতহাল করে মাদারীপুর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ছিনতাই চক্রের এক সদস্যকে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় আটক করা হয়েছে। 

ঢাকা/বেলাল/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর এল ক ব স ছ নত ই

এছাড়াও পড়ুন:

পারভেজ হত্যার প্রধান আসামি মেহেরাজ পাঁচ দিনের রিমান্ডে

রাজধানীর বনানীতে প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার প্রধান আসামি মেহেরাজ ইসলামের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

শুক্রবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেরা মাহবুবের আদালত এ আদেশ দেন।

এদিন তাকে আদালতে হাজির করে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বনানী থানার পরিদর্শক এ কে এম মাইন উদ্দিন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড নামঞ্জুর ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক তার জামিন আবেদন নাকচ করে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেন। গত বুধবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে গাইবান্ধা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

প্রসঙ্গত, গত শনিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের দোকানে সিঙ্গারা খাচ্ছিলেন দুই তরুণী। তাদের একজন প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পিয়াসের বান্ধবী। তখন পারভেজ সেখানে বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলার সময় হাসছিলেন। তিনি কেন হাসলেন–এ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন পিয়াসের বান্ধবী। এরপর পিয়াস, মেহেরাজ ও মাহাথিরের সঙ্গে পারভেজদের বাকবিতণ্ডা ও ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। পরবর্তী সময়ে দু’পক্ষের মধ্যে বিষয়টি মীমাংসা করে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

এরপর ক্যাম্পাস থেকে বের হলে পারভেজকে একদল তরুণ ঘিরে ধরে। এ সময় তার বুকে ছুরিকাঘাত করলে গুরুতর আহত হন পারভেজ। পরে উদ্ধার করে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় নিহতের মামাতো ভাই হুমায়ুন কবীর একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের দুই নেতাসহ আটজনের নাম উল্লেখ ও ২৫ থেকে ৩০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ