ট্রেবল জয়ের সম্ভাবনা নিয়ে চলতি মৌসুমে এর আগে কিছুই বলেননি হান্সি ফ্লিক। মুখ খুললেন মাদ্রিদের মেত্রোপলিতানো স্টেডিয়ামে গতকাল রাতে শেষ বাঁশি বাজার পর সংবাদ সম্মেলনে। বার্সেলোনা ততক্ষণে কোপা দেল রে ফাইনালে।

‘স্বপ্ন তো দেখাই যায়। স্বপ্ন দেখার অনুমতিটা আছে। কিন্তু আমাদের মনোযোগি থাকতে হবে। কঠোর পরিশ্রমও করতে হবে, যেটা আমরা করব। এটা সহজ না।’

আরও পড়ুনহামজার পথ ধরে অনেক বিদেশিই আসছেন বাংলাদেশের ফুটবলে১ ঘণ্টা আগে

ট্রেবল জয় অবশ্যই কঠিন, খুব কঠিন। কিন্তু ফ্লিকের বার্সেলোনা চলতি মৌসুমে সেই পথেই আছে। হাতে ৯ ম্যাচ রেখে দ্বিতীয় রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে ৩ পয়েন্ট ব্যবধানে লা লিগা টেবিলের শীর্ষে ফ্লিকের দল। চ্যাম্পিয়নস লিগ কোয়ার্টার ফাইনালের টিকিটও মিলেছে। আর গতকাল রাতে কোপা দেল রে সেমিফাইনাল ফিরতি লেগে আতলেতিকো মাদ্রিদকে ১–০ গোলে হারিয়ে নিশ্চিত হয়েছে ফাইনাল। দুই লেগ মিলিয়ে ৫–৪ গোলে জিতেছে বার্সা।

সেভিয়ায় আগামী ২৬ এপ্রিল কোপা দেল রে ফাইনালে বার্সার প্রতিপক্ষ রিয়াল মাদ্রিদ। অর্থাৎ, আরেকটি এল ক্লাসিকো দ্বৈরথ। স্পেনের বার্ষিক এ ফুটবল প্রতিযোগিতার ফাইনালে যা দেখা যাবে ১১ বছর পর। ২০১৪ সালের সেই ফাইনালে জেরার্দো মার্তিনোর বার্সাকে ২–১ গোলে হারিয়েছিল কার্লো আনচেলত্তির রিয়াল।

আতলেতিকোও গোলের সুযোগ নষ্ট করেছে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ফ ইন ল

এছাড়াও পড়ুন:

এই কঠিন সময়ে ঐক্য ধরে রাখা প্রয়োজন: ঢাবি উপাচার্য

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে জাতির ঐক্য রক্ষার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান।

উপাচার্য বলেন, ‘আমরা একটি কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করছি। এক অর্থে জাতির জন্য এটি একটি ক্রান্তিকাল। এই সময়ে আমাদের ঐক্য ধরে রাখা একান্তই প্রয়োজন।’

আজ রোববার সকালে রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের কাছে নিয়াজ আহমেদ খান এ কথা বলেন।

ঢাবি উপাচার্য বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস জাতির জন্য পরম শ্রদ্ধা, কৃতজ্ঞতা ও মমতার দিন। এক গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, চিন্তাবিদ ও বুদ্ধিজীবীরা নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন। তাঁদের সেই চূড়ান্ত আত্মত্যাগ ইতিহাসে চিরভাস্বর হয়ে আছে।

নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, যুগে যুগে ও প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ এ জাতিকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ঐক্যবদ্ধ করেছে এবং সাহস জুগিয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় জাতি ১৯৯০ ও ২০২৪ সালের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে অগ্রসর হয়েছে।

উপাচার্য আরও বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ আজও জাতির ঐক্য ধরে রাখার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোকবর্তিকা। একই সঙ্গে ১৯৫২, ১৯৬৮, ১৯৬৯, মহান মুক্তিযুদ্ধসহ প্রতিটি আন্দোলন–সংগ্রামে যাঁরা রক্ত ও জীবন দিয়ে দেশের স্বাধীনতা ও মর্যাদা রক্ষা করেছেন, তাঁদের সবার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা।

নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, ১৯৫২ থেকে ২০২৪—এর প্রতিটি দিন ও ঘটনাপ্রবাহ জাতির মৌলিক পরিচয়ের মাইলফলক। এর কোনো অংশ বাদ দেওয়ার সুযোগ নেই। এ ইতিহাসই যুগে যুগে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ রেখেছে, আর বর্তমান সময়ে সেই ঐক্য ধরে রাখাই সবচেয়ে বড় প্রয়োজন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ