দানি ওলমো ও পাউ ভিক্তরকে নিবন্ধন করাতে প্রতারণা করেছে বার্সেলোনা—এমন অভিযোগ করেছে লা লিগা কর্তৃপক্ষ। আজ এক বিবৃতিতে লা লিগা কর্তৃপক্ষ বলেছে এই দুই খেলোয়াড়কে নিবন্ধন করতে যে আর্থিক সক্ষমতা দরকার ছিল, বার্সেলোনার সেটি কখনোই ছিল না। এ বিষয়ে স্পেনের স্পোর্টস কাউন্সিল (সিএসডি) সিদ্ধান্ত দেওয়ার কিছুদিন আগেই এমন অভিযোগ করল লা লিগা। তবে বার্সা দাবি করেছে তাদের মাঠের বাইরে হারানোর চেষ্টা চলছে।

গত জানুয়ারিতে বার্সেলোনা জানায় ন্যু ক্যাম্পে নতুন করে বানানো ভিআইপি বক্স বিক্রি করে পাওয়া অর্থ দিয়েই ওলমো ও ভিক্তরকে নিবন্ধন করানোর আর্থিক শর্ত পূরণ করেছে তারা। তখন জানা গিয়েছিল ১০ কোটি ইউরোতে বক্সগুলো বিক্রি করে খেলোয়াড় কেনার নতুন লাইসেন্স পেয়েছে।

এখন লা লিগা বলছে বার্সা অজ্ঞাত এক নিরীক্ষক প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দিয়েছিল ২০২৪ সালের ৩১ জানুয়ারি থেকে ২০২৫ সালের ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত ক্লাবের আর্থিক হিসাব রাখার। সেই প্রতিষ্ঠানের কাগজপত্র ব্যবহার করেই সে সময় ওলমো ও ভিক্তরকে নিবন্ধন করায় বার্সা।

দানি ওলমোকে নিবন্ধন করাতে গিয়েই ঝামেলায় জড়িয়েছে বার্সেলোনা.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

এক লাখ টাকা ঘুষ দাবির অভিযোগ, ওসি ও এসআইয়ের বিরুদ্ধে নালিশি

এক লাখ টাকা ঘুষ দাবির অভিযোগে বরিশালের গৌরনদী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ইউনুছ মিঞা ও উপ-পরিদর্শক (এসআই) নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে আদালতে নালিশি দায়ের করেছেন এক নারী।

গত সোমবার (২৮ এপ্রিল) বরিশাল সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে নালিশি দায়ের করেন গৌরনদীর বাটাজোর ইউনিয়নের নোয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা প্রবাসী আজাদ সরদারের স্ত্রী সুমা বেগম। বিচারক নালিশি অভিযোগটি শুনানি শেষে আদেশের জন্য রেখেছেন।

আদালতে দাখিল করা নথি সূত্রে জানা গেছে, গত ১১ এপ্রিল সুমা বেগমের শ্বশুরবাড়ির পারিবারিক কবরস্থান ভাঙচুর করে জমি দখলের চেষ্টা করে প্রতিপক্ষের লোকজন। এ সময় ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে পুলিশের সহায়তা চান সুমা। খবর পেয়ে গৌরনদী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নজরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে আসেন। এসময় তিনি বিরোধীপক্ষের অবস্থান নেন এবং অভিযোগকারী সুমা বেগমসহ তিন জনকে থানায় নিয়ে যান। পরে সুমা বেগমের পক্ষে কাজ করার জন্য এক লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন থানার ওসি ইউনুছ মিঞা ও এসআই নজরুল ইসলাম। তাদের দাবিকৃত ঘুষের টাকা দিকে অপারগতা প্রকাশ করলে মামলায় জড়ানোর হুমকি দিয়ে ওসি এবং এসআই রাত ৯টা পর্যন্ত আটককৃতদের বেআইনিভাবে থানা হেফাজতে রাখেন। দীর্ঘ সময় থানা হেফাজতে রাখায় প্রতিপক্ষের লোকজন বাধাহীনভাবে কবরস্থান ভাঙচুর করে জমি দখল করেন। এ ঘটনায় গত ১৩ এপ্রিল দুর্নীতি দমন কমিশন, বরিশাল কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন সুমা বেগম। সেখান থেকে কার্যকরী কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় ভুক্তভোগী আদালতে নালিশি দায়ের করেছেন।

আরো পড়ুন:

হত্যাচেষ্টা মামলা: আসামি সুবর্ণা-অপুসহ ১৭ অভিনয়শিল্পী

ধামরাইয়ে চালক-হেলপারকে মারধর করে তেলবাহী ট্রাক ছিনতাই 

এ বিষয়ে সুমার আইনজীবী অ্যাডভোকেট নাজিম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘‘ওসি মো. ইউনুছ মিঞা ও এসআই নজরুল ইসলাম ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছেন। এ কারণে ভুক্তভোগী আদালতে নালিশি দাখিল করেছেন। আদালত নালিশকারীর অভিযোগ শুনেছেন এবং আদেশের জন্য রেখেছেন।’’

তবে, অভিযোগের বিষয়ে নাকচ করেছেন গৌরনদী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. নজরুল ইসলাম ও অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ইউনুছ মিঞা।

নজরুল ইসলাম বলেন, ‘‘৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। রাস্তা নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে বিরোধ ছিল। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। এ ঘটনায় কাউকে থানায় এনে আটক করে রাখা বা টাকা দাবি করা হয়নি।’’

ওসি ইউনুছ মিঞা বলেন, ‘‘ওই নারী সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ করছেন।’’

ঢাকা/পলাশ/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ