দানি ওলমো ও পাউ ভিক্তরকে নিবন্ধন করাতে প্রতারণা করেছে বার্সেলোনা—এমন অভিযোগ করেছে লা লিগা কর্তৃপক্ষ। আজ এক বিবৃতিতে লা লিগা কর্তৃপক্ষ বলেছে এই দুই খেলোয়াড়কে নিবন্ধন করতে যে আর্থিক সক্ষমতা দরকার ছিল, বার্সেলোনার সেটি কখনোই ছিল না। এ বিষয়ে স্পেনের স্পোর্টস কাউন্সিল (সিএসডি) সিদ্ধান্ত দেওয়ার কিছুদিন আগেই এমন অভিযোগ করল লা লিগা। তবে বার্সা দাবি করেছে তাদের মাঠের বাইরে হারানোর চেষ্টা চলছে।

গত জানুয়ারিতে বার্সেলোনা জানায় ন্যু ক্যাম্পে নতুন করে বানানো ভিআইপি বক্স বিক্রি করে পাওয়া অর্থ দিয়েই ওলমো ও ভিক্তরকে নিবন্ধন করানোর আর্থিক শর্ত পূরণ করেছে তারা। তখন জানা গিয়েছিল ১০ কোটি ইউরোতে বক্সগুলো বিক্রি করে খেলোয়াড় কেনার নতুন লাইসেন্স পেয়েছে।

এখন লা লিগা বলছে বার্সা অজ্ঞাত এক নিরীক্ষক প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দিয়েছিল ২০২৪ সালের ৩১ জানুয়ারি থেকে ২০২৫ সালের ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত ক্লাবের আর্থিক হিসাব রাখার। সেই প্রতিষ্ঠানের কাগজপত্র ব্যবহার করেই সে সময় ওলমো ও ভিক্তরকে নিবন্ধন করায় বার্সা।

দানি ওলমোকে নিবন্ধন করাতে গিয়েই ঝামেলায় জড়িয়েছে বার্সেলোনা.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

রংপুরে ফরম পূরণ করেও প্রবেশপত্র পায়নি ৭৩ এসএসসি পরীক্ষার্থী, মানববন্ধন

রংপুরে দুই শিক্ষকের দ্বন্দ্বে ফরম পূরণ করেও এসএসসি পরীক্ষার প্রবেশপত্র পায়নি ৭৩ পরীক্ষার্থী। এতে ১০ এপ্রিল শুরু হতে যাওয়া এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ নিয়ে অনিশ্চয়তায় পড়েছে শিক্ষার্থীরা।

রংপুর সদর উপজেলার সদ্যপুস্করিনী ইউনিয়নের পালিচড়া এম এন উচ্চবিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার প্রতিবাদে আজ শনিবার দুপুরে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে মানববন্ধন করেছে পরীক্ষার্থীরা।

শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবার মোট ৭৩ শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষা দেবে। গত ডিসেম্বরে আড়াই হাজার টাকা ফি দিয়ে পরীক্ষার জন্য ফরম পূরণ করে শিক্ষার্থীরা। তখন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে ছিলেন সহকারী শিক্ষক রেজাউল ইসলাম। তিনি ব্যাংকে টাকা জমা না দেওয়ায় প্রবেশপত্র দিচ্ছে না শিক্ষা বোর্ড।

তামান্না আখতার নামের এক পরীক্ষার্থী বলে, ‘পরীক্ষার মাত্র পাঁচ দিন আছে। কিন্তু এখনো প্রবেশপত্র হাতে পাইনি। এখন পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়ার সময়। অথচ পরীক্ষা দিতে পারব কি না, তা নিয়ে অনিশ্চয়তায় ভুগছি।’

বিদ্যালয় সূত্র জানায়, গত ১১ মার্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পান আমিনুর রহমান নামের এক শিক্ষক। তাঁর দাবি, রেজাউল ইসলাম প্রধান শিক্ষক থাকাকালে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের টাকা নেন। কিন্তু টাকা ব্যাংকে জমা না রাখায় তাঁরা প্রবেশপত্র আনতে পারছেন না, রেজাউল ইসলামও কোনো যোগাযোগ রাখছেন না। তবে এ বিষয়ে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে রেজাউল ইসলামের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

রংপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, তিনি বিষয়টি জেনেছেন। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও প্রধান শিক্ষককে আগামীকাল রোববারের মধ্যে এ সমস্যার সমাধান করতে বলেছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ