সিদ্ধিরগঞ্জে চাঁদাবাজিসহ সংগঠন বিরোধী কর্মকান্ডের প্রতিবাদে সভা
Published: 2nd, April 2025 GMT
বাংলাদেশ আন্ত: জিলা ট্রাক কাভার্ডভ্যান মিনি ট্রাক চালক-শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজি: নং-বি-১৬৬৫), সাইলো শাখার নামে পন্যবাহী ট্রাক থেকে লাগামহীন চাঁদাবাজিসহ সংগঠন বিরোধী কর্মকান্ড এবং কার্যালয়ে অবৈধভাবে তালা দেয়ার অভিযোগে প্রতিবাদ সভা করেছে ইউনিয়নের চালকরা।
বুধবার (২ এপ্রিল) বিকালে সিদ্ধিরগঞ্জের সাইলো এলাকায় অত্র ইউনিয়নের কার্যালয় প্রাঙ্গণে এ প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ আন্ত: জিলা ট্রাক কাভার্ডভ্যান মিনি ট্রাক চালক-শ্রমিক ইউনিয়ন সিদ্ধিরগঞ্জ সাইলো শাখার কার্যকরী সদস্য আব্দুল মান্নানের সভাপতিত্বে এবং আনোয়ার হোসেন মেম্বারের সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন, অত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি হাজী মো: নাছির উদ্দিন, সাবেক সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম রিপন, কার্যকরী সভাপতি হাজী আব্দুস সোবহান, যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হোসেন কালু, সহ-সম্পাদক নুর নবী, দপ্তর সম্পাদক নুর হোসেন মুরব্বী, কার্যকরী সদস্য আনোয়ার হোসেন, চালক সাব্বির, বিপ্লব, খোকন, আবু কালাম, তরুন, ফালান।
এসময় পন্য পরিবহনে লাগামহীন চাঁদাবাজিসহ সংগঠন বিরোধী কর্মকান্ড এবং কার্যালয়ে অবৈধভাবে তালা দেয়ায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বক্তারা বলেন, বিগত সরকারের আমলে ১৫টি বছর কমিটিকে পুঁজি করে সভাপতি-সম্পাদক নিজেদের আখের ঘুচিয়ে নিজেদের পকেট ভারী করেছেন।
৫ আগষ্টে দেশ নতুন করে স্বাধীন হলেও ১৬৬৫ সাইলো শাখা স্বাধীন হয় নাই। অত্র কমিটির সভাপতি-সম্পাদক পালিয়ে গেলেও একটি পক্ষ বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে আমাদের কার্যালয়টি দখল করেছিল। তারা নিজেরা একটা পকেট কমিটি বানিয়ে গত ৮ মাস ধরে সাইলো এলাকায় ব্যাপক চাঁদাবাজি করেছে।
ইউনিয়নের কার্যালয়ে আমাদের শ্রমিক ভাইদের প্রবেশ করতে দেয় নাই। নানান ধরনের হুমকি-ধমকি দিয়ে তারা অপকর্ম চালিয়ে গেছে। তারা ঈদের আগেই আমাদের কার্যালয়ে ডাবল তালা মেরে রেখেছে। আমারা তাদের এই ন্যাক্কারজনক কাজের তীব্র প্রতিবাদ জানাই। আমরা কোন বহিরাগত লোকদেরকে এই সংগঠন ব্যবহার করতে দিব না।
আমাদের কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সাধারণ সভা এবং নির্বাচন বাস্তায়ন চাই। গত ৮/৯ বছর ধরে কোন নির্বাচন দেয়া হচ্ছে না। আমাদের সংগঠন আমরাই চালাব। আমাদের কার্যালয়ে আমরা বসতে না পারলে কেউ বসতে পারবে না।
তালা ভেঙ্গে আমরা আমাদের শ্রমিক ইউনিয়নে প্রবেশ করব। শ্রমিকরা রাজনীতি বুঝে না। শ্রমিকরা কাজ করে ভাত খায়।
প্রতিবাদ সভায় সবার সম্মতিতে অত্র সংগঠনের সাবেক সভাপতি মো: জাহাঙ্গীর আলম রিপনকে আহ্বায়ক এবং মো: খোরশেদ আলমকে সদস্য সচিব করে ২১ সদস্য বিশিষ্ট সাধারণ সভা বাস্তবায়ন উপ-কমিটি গঠন করা হয়।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন- খোরশেদ, আবুল বাশার, কুটুন, সাদেক মেম্বার ও আবু কালামসহ প্রমূখ।
আরো পড়ুন
ঈদের ছুটিতে সোনারগাঁয়ে পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়
বন্দরে পঞ্চায়েত কমিটির দ্বন্দ্বে ঈদগায় হলনা ঈদ জামাত
রূপগঞ্জে ৫ বছরের শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ
আড়াইহাজারে পরিত্যক্ত অবস্থায় অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার
সিদ্ধিরগঞ্জে ফার্নিচার মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড, ১৪ দোকান ভস্মিভূত
“মাদক ব্যবসায়ীরা রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের টাকা দিয়ে মাদক ব্যবসা করে”
বন্দরে গণমাধ্যম কর্মীকে কুপিয়ে জখম, বিএনপি অফিস ভাংচুর
বিএনপি নেতা তাজুলের মৃত্যুতে রিয়াজ’র শোক
২৩১/১ বঙ্গবন্ধু সড়ক (৬ষ্ঠ তলা, লিফটের ৫)
নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব ভবন, নারায়ণগঞ্জ
নির্বাহী সম্পাদক: মোশতাক আহমেদ (শাওন)
ফোন:+৮৮০১৯৩৩-৩৭৭৭২৪
ইমেইল : [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ বা ব্যবহার করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
© ২০২৫ | সকল স্বত্ব নারায়ণগঞ্জ টাইমস কর্তৃক সংরক্ষিত | উন্নয়নে ইমিথমেকারস.
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ আম দ র ক কম ট র সদস য ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
স্ত্রীকে হত্যা করে লাশের পাশেই বসেছিলেন স্বামী
স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যার পর ছুরি হাতে লাশের পাশেই বসেছিলেন স্বামী। পরে স্থানীয়রা তাঁকে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে।
বুধবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারের হাইজাদী ইউনিয়নের নারান্দী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সুলেখা বেগম (৩৫) ওই গ্রামের কাপড় ব্যবসায়ী আব্দুর রব মিয়ার (৫০) স্ত্রী।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, প্রায় ২০ বছর আগে উপজেলার হাইজাদী ইউনিয়নের টোটারবাগ গ্রামের নয়াপাড়া এলাকার আবদুল মিয়ার মেয়ে সুলেখার সঙ্গে একই ইউনিয়নের নারান্দী গ্রামের মৃত চান্দু মিয়ার ছেলে রবের বিয়ে হয়। স্ত্রীর সঙ্গে রবের পারিবারিক কলহ দীর্ঘদিনের। বুধবার সকালে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে তর্ক হয়। পরে সকালে নাশতা খেয়ে সুলেখা ঘুমিয়ে পড়লে রব তাঁকে গলা কেটে হত্যা করেন। এর পর ছুরি হাতে লাশের পাশেই তাঁকে বসে থাকতে দেখা যায়। এ সময় এলাকাবাসী রবকে গণপিটুনি দিয়ে ঘরে আটকে রাখে। খবর পেয়ে নিহত সুলেখার স্বজনরা রবকে ঘর থেকে বের করে হত্যার চেষ্টা করেন। পরে পুলিশ গিয়ে ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।
আবদুর রব মিয়ার দাবি, সুলেখা তাঁকে দীর্ঘদিন ধরে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করেছেন। তাই তিনি সুলেখাকে হত্যা করেন। পুলিশের কাছে তিনি হত্যার দায় স্বীকার করেছেন।
আড়াইহাজার থানার ওসি এনায়েত হোসেন জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে আবদুর রব মিয়াকে গ্রেপ্তার করে থানায় নেওয়া হয়েছে। সুলেখার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রক্রিয়া চলছে।