আরাধ্যা বিশ্বাস। ঈদের ছুটিতে মা-বাবার সঙ্গে যাচ্ছিল কক্সবাজার। আশা ছিল স্বপ্নের কক্সবাজারে বেশ ক’দিন মা-বাবার সঙ্গে আনন্দ উল্লাসে কাটাবে সে। তবে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়ে তার স্থান হয়েছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে। দুর্ঘটনায় মাইক্রোবাসে থাকা তার বাবা দিলীপ বিশ্বাস আর মা সাধনা রাণী চলে গেছেন পরপারে। অলৌকিকভাবে বেঁচে গেছে আরাধ্যা। তবে মা-বাবা যে আর বেঁচে নেই তা এখনও জানে না সে। জ্ঞান ফেরার পর থেকেই তাই মা-বাবাকেই খুঁজছে ছোট্ট আরাধ্যা। 

চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে বুধবার গুরুতর আহত হয় আরাধ্যা বিশ্বাসসহ আরও বেশ কয়েকজন। ঘটনার পর তাদের উদ্ধার করে মুমূর্ষু অবস্থায় চমেক হাসপাতালে আনা হয়। পরে আরাধ্যাকে হাসপাতালের ২৮ নম্বর নিউরো সার্জারি বিভাগে ভর্তি করা হয়। দুর্ঘটনায় তার দুই পায়ের হাড় ভেঙে গেছে। আঘাত পেয়েছে মাথা, হাতসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে। চিকিৎসকরা বলছেন, জ্ঞান ফিরলেও এখনও ঝুঁকিমুক্ত নয় আরাধ্যা। 

জানতে চাইলে চমেক হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা.

মো. সাইফুল সমকালকে বলেন, শিশু আরাধ্যার পা ভেঙে গেছে। মাথা, হাত, চোখসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ মারাত্মকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। জ্ঞান ফিরলেও শঙ্কামুক্ত নয় সে।

চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. তসলিম উদ্দিন সমকালকে বলেন, চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় বুধবার হাসপাতালে পাঁচজনকে আনা হয়। এরমধ্যে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। বাকি তিনজনকে হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। মা-বাবার মৃত্যু হলেও শিশু আরাধ্য অলৌকিকভাবে বেঁচে গেছে। মা-বাবা যে আর বেঁচে নেই তা এখনও জানে না শিশুটি। ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক। তাকে সুস্থ করে তুলতে সবাই আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। 

এর আগে একমাত্র মেয়ে আরাধ্যা, স্ত্রী সাধনা রানীসহ কয়েকজন নিকট আত্মীয়কে নিয়ে কক্সবাজার যাচ্ছিলেন দিলীপ কুমার (৪২)। বুধবার ভোরে টঙ্গী থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দিলেও আনন্দের সেই যাত্রা থমকে যায় চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলা চুনতি জাঙ্গালিয়া এলাকায়। সেখানে নিয়ন্ত্রণ হারানো একটি বাসের সঙ্গে তাদের বহনকারী মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে মৃত্যু হয় দিলীপ কুমার, তার স্ত্রী সাধনা রানীসহ ১০ জনের।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সড়ক দ র ঘটন ন হত দ র ঘটন আর ধ য

এছাড়াও পড়ুন:

হঠাৎ চারজনকে উদ্ধারের আলোচনা, নিশ্চিত নয় পুলিশ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অপহৃত পাঁচ শিক্ষার্থীর মধ্যে চারজনের খোঁজ মিলেছে– সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন আলোচনা থাকলেও এখনও নিশ্চিত নয় পুলিশ। তাদের ভাষ্য, আজকালের মধ্যে এমন তথ্যের বিষয়টি আরও পরিষ্কার হতে পারে। 

খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল সমকালকে বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কয়েকজনের খোঁজ মিলেছে– এমন প্রচার আছে। তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। আমরা এখনও উদ্ধার বিষয়ে নিশ্চিত নই। আজকালের মধ্যে পরিষ্কার হতে পারব। 

পাহাড়ের বিজু উৎসব শেষে খাগড়াছড়ি থেকে চবি ক্যাম্পাসে যাওয়ার পথে জেলা সদরের গিরিফুল এলাকা থেকে ১৬ এপ্রিল সকালে পাঁচ শিক্ষার্থীকে দুর্বৃত্তরা অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে। অপহৃত শিক্ষার্থীদের মধ্যে রিশন চাকমা, দিব্যি চাকমা ও মৈত্রীময় চাকমা রাঙামাটি এবং অন্য দু’জন লংঙি ম্রো ও অলড্রিন ত্রিপুরা বান্দরবানের বাসিন্দা। তারা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

সন্তু লারমা সমর্থিত পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের সভাপতি নিপণ ত্রিপুরা এ অপহরণের ঘটনায় ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টকে (ইউপিডিএফ) দায়ী করেছেন। তবে ইউপিডিএফের খাগড়াছড়ি জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। 

একাধিক অসমর্থিত সূত্রে জানা গেছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে চাপের মুখে অপহৃত পাঁচ শিক্ষার্থীর মধ্যে চারজনকে গত সোমবার রাতে খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলার সর্বোসিদ্ধিপাড়া এলাকা থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • হঠাৎ চারজনকে উদ্ধারের আলোচনা, নিশ্চিত নয় পুলিশ
  • নবীনগরে হেফাজতের কমিটি নিয়ে মুখোমুখি দু’পক্ষ
  • ফেসবুক লাইভে এসে নিরাপত্তা চাইলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতা
  • ফরিদপুরে যুবককে কুপিয়ে জখম, থানায় মামলা না নেওয়ার অভিযোগ পরিবারের
  • বাংলাদেশকে হারানোর সুবর্ণ সুযোগ দেখছে জিম্বাবুয়ে
  • লেনিন কেন এখনও জরুরি
  • মিয়ানমার জান্তার মরিয়া চেষ্টা
  • হাওরে হাওরে ধান কাটার ধুম