কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে এক প্রবাসীর স্ত্রীর (৩০) গোসলের ভিডিও ধারণ করে চাঁদা দাবির অভিযোগে দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বুধবার সকালে উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের জয়নাবাদ চরপাড়া এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এছাড়াও ভিডিওসহ দুটি স্মার্টফোন জব্দ করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তাররা হলেন, উপজেলা চাপড়া ইউনিয়নের জয়নাবাদ চরপাড়া এলাকার রিয়াজ আলীর ছেলে রেজাউল ইসলাম (৩০) ও বিষু শেখের ছেলে মারুফ হোসেন (১৮)। তারা সম্পর্কে চাচাতো-ফুফাতো ভাই ও পেশায় দিনমজুর।

এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.

সোলায়মান শেখ।

পুলিশ জানায়, গত সোমবার নিজবাড়ি থেকে এক কাতার প্রবাসীর স্ত্রীর গোসলের ভিডিও ধারণ করে রেজাউল ও মারুফ। বুধবার সকালে ওই নারীকে ধারণ করা ভিডিও দেখিয়ে চাঁদা দাবি করেন তারা। সকালে ওই নারী কুমারখালী থানায় পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা করেন এবং পুলিশ অভিযান চালিয়ে রেজাউল ও মারুফকে গ্রেপ্তা‌র করে। আসামি ও মামলার বাদী সম্পর্কে আপন চাচি-ভাতিজা বলে জানা গেছে।

মামলার বাদী ওই নারী বলেন, রেজাউল ও মারুফ গোপনে ভিডিও ধারণ করে চাঁদা দাবি করেছিল। সুষ্ঠু বিচারের আশায় থানায় মামলা করেছি।

কুমারখালী থানার ওসি মো. সোলায়মান শেখ বলেন, চাচির ভিডিও ধারণ করার অভিযোগে পর্নোগ্রাফি মামলায় দুইজনকে গ্রেপ্তা‌র করা হয়েছে। বাদী ও আসামি সম্পর্কে চাচি-ভাতিজা।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র জ উল

এছাড়াও পড়ুন:

গণ-অভ্যুত্থানোত্তর বাংলাদেশে সংস্কার কার্যক্রমে নেতৃত্ব দিচ্ছে বিচার বিভাগ: প্রধান বিচারপতি

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানোত্তর বাংলাদেশে সংস্কার কার্যক্রমে বিচার বিভাগ নেতৃত্ব দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। আজ শনিবার সকালে রংপুরের একটি হোটেলে ‘জুডিশিয়াল ইনডিপেনডেন্স অ্যান্ড এফিশিয়েন্সি ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ও ইউএনডিপি যৌথভাবে এ সেমিনারের আয়োজন করে।

সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি জাফর আহমেদ। সেমিনারে বক্তব্য দেন ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার ও বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক।

প্রধান বিচারপতি তাঁর বক্তব্যে ন্যায়বিচার ও আইনের শাসন নিশ্চিতকরণে বিচার বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার প্রসঙ্গ এবং বিচারপ্রক্রিয়াকে আরও জনমুখী করতে তাঁর ঘোষিত বিচার বিভাগ সংস্কারের রোডম্যাপ বাস্তবায়নের অগ্রগতির বিবরণ তুলে ধরেন।

প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আমাদের যৌথ প্রচেষ্টায় ভবিষ্যতের সংস্কারপ্রক্রিয়ার গতিপথ নির্ধারণ করবে। এখন সময় এসেছে, এই রোডম্যাপ থেকে পাওয়া শিক্ষা কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যাওয়ার। বিচারিক সংস্কার শুধু বিভিন্ন খাতভিত্তিক সংস্কারের স্থায়িত্বের মূল চাবিকাঠি নয়। বরং এটি এখন নিজেই সংস্কার শব্দের প্রতীক হয়ে উঠেছে। জেলা বিচার বিভাগ ও ম্যাজিস্ট্রেসি সংস্কারের অগ্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে বলে আশা করি।’

সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেন, ‘গত আট মাসে এ প্রচেষ্টা অভূতপূর্ব গতি অর্জন করেছে। এখন লক্ষ্য হলো সেই উদ্দেশ্য পূরণ করা—যেন ভবিষ্যতেও টিকে থাকে তা নিশ্চিত করা। একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে আমরা কখনো ক্ষমতার পূর্ণ পৃথকীকরণের লক্ষ্যে এতটা কাছাকাছি আসিনি। যদি এই সুযোগ কোনোভাবে নষ্ট হয়, তবে তা বিচার বিভাগের মর্যাদা, অখণ্ডতা ও প্রাসঙ্গিকতায় জন্য চরম ক্ষতিকর হবে।’

সেমিনারে রংপুর জেলার জেলা ও দায়রা জজ আদালত, মহানগর দায়রা জজ আদালত, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, শ্রম আদালতে কর্মরত বিভিন্ন পর্যায়ের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন ট্রাইব্যুনালের বিচারক, কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাট জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা, রংপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, সরকারি কৌঁসুলিরা (পিপি) অংশ নেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ