প্রবাসীর স্ত্রীর গোসলের ভিডিও ধারণ করে চাঁদা দাবি, গ্রেপ্তার ২
Published: 2nd, April 2025 GMT
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে প্রবাসীর স্ত্রীর (৩০) গোসলের ভিডিও ধারণ করে চাঁদা দাবির অভিযোগে দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার (২ এপ্রিল) সকালে উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের জয়নাবাদ চরপাড়া এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এছাড়াও ভিডিওসহ দুটি স্মার্টফোন জব্দ করেছে পুলিশ। দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.
পুলিশ জানায়, সোমবার নিজবাড়ি থেকে এক কাতার প্রবাসীর স্ত্রীর গোসলের ভিডিও ধারণ করে রেজাউল ও মারুফ। বুধবার (২ এপ্রিল) সকালে ওই নারীকে ধারণ করা ভিডিও দেখিয়ে চাঁদা দাবি করেন তারা। সকালে ওই নারী কুমারখালী থানায় পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা করেন এবং পুলিশ অভিযান চালিয়ে রেজাউল ও মারুফকে গ্রেপ্তার করেন।
আসামি ও মামলার বাদী সম্পর্কে আপন চাচি-ভাতিজা বলে জানা গেছে। মামলার বাদী ওই নারী বলেন, “রেজাউল ও মারুফ গোপনে ভিডিও ধারণ করে চাঁদা দাবি করেছিলে। সুষ্ঠু বিচারের আশায় থানায় মামলা করেছি।”
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) মো. সোলায়মান শেখ বলেন, “চাচির ভিডিও ধারণ করার অভিযোগে পর্নোগ্রাফি মামলায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাদী ও আসামি সম্পর্কে চাচি-ভাতিজা বলে জানা গেছে।”
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ র প ত র কর র জ উল
এছাড়াও পড়ুন:
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি: পেঁপে ছাড়া ৫০ টাকার নিচে নেই কোনো সবজি
সরবরাহ কমের অজুহাতে বাজারে সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে। অধিকাংশ সবজি কিনতে গুণতে হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা। সেই সঙ্গে দাম বেড়েছে মাছেরও। এতে অস্বস্তিতে পড়ছেন ক্রেতারা।
কয়েকজন ক্রেতা জানান, শীত মৌসুমের সবজি নিয়ে যে স্বস্তি ছিল, তা এখন আর নেই। বাজারে বেশিরভাগ সবজির দাম ৬০ টাকার ওপরে। কোনো কোনটির দাম একশো পেরিয়েছে।
শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতিকেজি পটল, ঢ্যাঁড়স, ঝিঙা, চিচিঙ্গা ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এর চেয়ে কমে শুধু পেঁপে পাওয়া যাচ্ছে, তাও ৫০ টাকা কেজিতে। এছাড়া, করলা, বেগুন, বরবটি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়।
সবচেয়ে বেশি দাম দেখা গেছে কাঁকরোলের। গ্রীষ্মকালীন এই সবজিটি বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ১০০ থেকে ১২০ টাকায়। সজনে ডাঁটা ১২০ থেকে ১৪০ টাকা।
তবে ব্রয়লার মুরগি, ডিম ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় মুদি পণ্যের দাম আগের মতোই আছে। পেঁয়াজের দামও কয়েক সপ্তাহ বেড়ে এখন ৫৫ থেকে ৬০ টাকায় আটকে আছে।
এদিকে, মাছের বাজারেও বাড়তি দাম দেখা গেছে। মা ইলিশ সংরক্ষণে নদীতে মাছ ধরা বন্ধ ও চাষের মাছের সরবরাহ কম থাকায় দাম কিছুটা বেড়েছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। এর মধ্যে, সবচেয়ে বেশি বেড়েছে ইলিশ ও চিংড়ির দাম।
মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশ প্রতি পিস ২ থেকে ৩ হাজার টাকা দাম হাঁকা হচ্ছে। অন্যদিকে, প্রতিকেজি চাষের চিংড়ি ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা, নদীর চিংড়ি ১০০০ থেকে ১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বিক্রেতারা জানান, স্বাভাবিক সময়ে এসব মাছের দাম কেজিতে ৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত কম থাকে। এছাড়া কই, শিং, শোল, ট্যাংরা, চাষের রুই, তেলাপিয়া,পাঙাশ ও পুঁটি মাছও আগের চেয়ে কেজিতে ২০ থেকে ৫০ টাকা বেড়েছে।
ঢাকা/সুকান্ত/রাজীব