টিকিটের মূল্য বেশি রাখায় ৪ পরিবহন প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা
Published: 2nd, April 2025 GMT
খুলনায় বিআরটিএ’র অভিযানে টিকিটের মূল্য বেশি রাখা ও টিকিটের মূল্যতালিকা না থাকায় চার পরিবহন প্রতিষ্ঠানকে ২২ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ বুধবার দুপুরে নগরীর রয়েল মোড়ে এই অভিযান পরিচালনা করে বিআরটিএ।
বিআরটিএ কর্মকর্তারা জানান, টিকিটের মূল্য বেশি রাখায় টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেসকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। টিকিটের মূল্য তালিকা না থাকায় এম আর পরিবহনকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এক রুটের কথা বলে টিকিট বিক্রি করে অন্য রুটে গাড়ি চালানোর অভিযোগে সৌদিয়া পরিবহনকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মেজবাহ উদ্দিন নিজে বলেশ্বর পরিবহনের টিকিট কাটেন পরিচয় গোপন করে। খুলনা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে চট্টগ্রাম রুটে এক হাজার ২৬৬ টাকার টিকিট এক হাজার ৪০০ টাকা রাখা ও টিকিটের মূল্য বেশি রাখায় বলেশ্বর পরিবহনকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
বিআরটিএ’র ম্যাজিস্ট্রেট মেজবাহ উদ্দিন জানান, ঈদের পরে কিছু পরিবহন টিকিটের মূল্য বেশি রাখে। এটি বন্ধে আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে বিএনপি নেতার মামলা
পটুয়াখালীর দুই সাংবাদিকসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বরিশাল সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলাটি করেন পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক কামরুজ্জামান জুয়েল।
ট্রাইব্যুনালের বিচারক গোলাম ফারুক অভিযোগ তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে মির্জাগঞ্জ থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার বিবরণে কামরুজ্জামান জুয়েল নিজেকে মির্জাগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক দিনকাল পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি উল্লেখ করেছেন।
আসামিরা হলেন– দৈনিক সমকালের পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি মুফতী সালাহউদ্দিন, চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি এম কে রানা ও মির্জাগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম সুবিদখালী এলাকার বাসিন্দা মাসুম হাওলাদার।
গত ১৬ এপ্রিল দৈনিক সমকালে ‘চাঁদা না দেওয়ায় ব্যবসায়ীকে মারধর বিএনপি নেতার’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। একই দিন চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের অনলাইনে ‘মাসে ৫০ হাজার টাকা না দিলে ব্যবসা বন্ধের হুমকি বিএনপি নেতার’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। মাসুম হাওলাদার তাঁর ফেসবুকে প্রতিবেদনটি শেয়ার করায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, সংবাদগুলো ভিত্তিহীন, মনগড়া ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এগুলো বাদীর সামাজিক ও রাজনৈতিক মর্যাদা ক্ষুণ্ন করেছে।
এ ব্যাপারে মুফতী সালাহউদ্দিন ও এম কে রানা জানান, কারও মর্যাদা ক্ষুণ্ন নয়, তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে প্রতিবেদন করেছেন তারা। এমন কিছু না ঘটলে রাসেল মৃধা অভ্যন্তরীণভাবে বিরোধ নিষ্পত্তি হওয়ার দাবি করে অভিযোগ প্রত্যাহারে কেন থানায় আবেদন করেছেন?
এদিকে মামলাটি নিয়ে পটুয়াখালীর সাংবাদিক মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ এবং সাংবাদিকদের হয়রানি করতে এটি করা হয়েছে জানিয়ে দ্রুত মামলাটি প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে তারা।