দুটি টাইমলাইন আছে, এর ভেতরেই নির্বাচন হবে
Published: 2nd, April 2025 GMT
অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আগামী ডিসেম্বর থেকে জুন ২০২৬–এর মধ্যে নির্বাচন দেবেন। সংস্কার কতটুকু হবে, কীভাবে হবে, তার ওপর নির্ভর করবে। এর ভেতরেই নির্বাচন আমরা সীমিত রাখি। এর বেশি উচ্চাশা সরকারের ভেতর থেকেও নেই। আর এটা নিয়ে ধোঁয়াশারও কিছু নেই যে কবে নির্বাচন হবে। নির্বাচন দেবে কি দেবে না। অবশ্যই নির্বাচন হবে। ডিসেম্বর অথবা জুন দুটি টাইমলাইন আছে, এই টাইমলাইনের ভেতরেই হয়ে যাবে। এ কথার বাইরে সরকার হয়তো যাবে না। রাজনৈতিক দলগুলো প্রস্তুতি নিক, নির্বাচন হবে।’
আজ বুধবার বেলা দুইটার দিকে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার ইছাপুর ইউনিয়নের নারায়ণপুর গ্রামের পূর্ব নারায়ণপুর ইসলামিয়া জুনিয়র দাখিল মাদ্রাসা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মাহফুজ আলম এ কথা বলেন। এর আগে তিনি বাড়িতে পৌঁছে মা-বাবাসহ স্বজনদের সঙ্গে দেখা করে তাঁর দাদা-দাদির কবর জিয়ারত করেন।
সাংবাদিকদের জবাবে মাহফুজ আলম আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের ব্যাপারে সরকার মনে করছে যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে পরামর্শ ছাড়া আর দেশি-বিদেশি যারা আমাদের সহযোগী ও স্টেকহোল্ডার রয়েছে, তাদের পরামর্শ ছাড়া সরকার একা এই সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। জনগণ বারবার বলছে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করতে। আমরা মনে করছি, সরকার সবার সঙ্গে পরামর্শ-পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে।’
তথ্য উপদেষ্টা হওয়ার পর মাহফুজ আলম আজ প্রথম নিজের গ্রামের বাড়িতে আসেন। এর আগে গত ২৫ জানুয়ারি রামগঞ্জে এলেও তখন গ্রামের বাড়িতে যাননি।
এদিকে গত রোববার রাতে মাহফুজ আলমের বাবা আজিজুর রহমানের (বাচ্চু) ওপর হামলার ঘটনা ঘটে গ্রামের বাড়িতে। মাহফুজ আলমের পরিবারের অভিযোগ, সাবেক ছাত্রদল নেতা ও বর্তমানে ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সম্ভাব্য সভাপতি প্রার্থী শুক্কুর আলীর নেতৃত্বে হামলার ঘটনা ঘটে।
উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের বড় ভাই মাহবুব আলম প্রথম আলোকে বলেন, বাবার ওপর হামলার পর তাঁর মা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। এ জন্য তাঁর ছোট ভাই মাহফুজ মা-বাবার সঙ্গে দেখা করতে এলাকায় আসার আগ্রহ প্রকাশ করেন। এ ছাড়া দুপুরে পারিবারিক একটি কুলখানির আয়োজন রয়েছে বাড়িতে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, এক ছাত্রলীগ নেতাকে আটক করা নিয়ে ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক হয়। একপর্যায়ে তাঁদের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। তখন আজিজুর রহমান উভয় পক্ষকে শান্ত করার চেষ্টা করেন। সংঘর্ষ থামাতে গেলে তাঁর ওপর হামলা করেন ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা-কর্মীরা। এতে ইটের আঘাতে তিনি আঘাতপ্রাপ্ত আহত হন। এ সময় তাঁর একজন আত্মীয়ও আহত হয়েছেন। আজিজুর রহমান ইছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক।
এদিকে গত মঙ্গলবার তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের বাবা আজিজুর রহমানকে দেখতে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী, এলডিপির মহাসচিব ও ১২–দলীয় জোটের মুখপাত্র শাহাদাত হোসেন এবং লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপির সদস্যসচিব সাহাবুদ্দিন তাঁর বাড়িতে যান। এ সময় তাঁরা বলেন, একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ঘটনাটি ঘটানো হয়নি।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আজ জ র রহম ন ব এনপ র উপদ ষ ট সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
মেজর সিনহা হত্যা মামলার আপিলের শুনানি শুরু
সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের করা আপিলের শুনানি শুরু হয়েছে। বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও বিচারপতি মো. সগীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে গতকাল বুধবার এ শুনানি শুরু হয়।
মামলার পেপারবুক (রায়সহ যাবতীয় বৃত্তান্ত) থেকে এফআইআর ও জব্দ তালিকা আদালতে পড়ে শোনান রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হুমায়ুন কবির মঞ্জু। তিনি শুনানিতে বলেন, এটি আলোচিত মামলা। সারাদেশের মানুষ তাকিয়ে আছে। আজ বৃহস্পতিবার ফের শুনানির দিন ধার্য রাখা হয়েছে।
আদালতে আসামিপক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এসএম শাহাজাহান। এর আগে গত সপ্তাহে প্রধান বিচারপতি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে মেজর সিনহা হত্যা মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য হাইকোর্টের এই বেঞ্চকে নির্ধারণ করে দেন।
২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের শামলাপুর চেকপোস্টে গুলি করে হত্যা করা হয় সিনহা মো. রাশেদ খানকে। তিনি কয়েকজন তরুণকে সঙ্গে নিয়ে ভ্রমণবিষয়ক তথ্যচিত্র বানানোর জন্য কক্সবাজারে গিয়েছিলেন। ২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি এ মামলায় রায় দেন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল। রায়ে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের সাবেক পরিদর্শক লিয়াকত আলীর ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়।