সিরাজগঞ্জে থানায় হামলা-অগ্নিসংযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার
Published: 2nd, April 2025 GMT
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলায় ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলা, থানায় অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের অভিযোগে করা মামলায় সলঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের এক নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সলঙ্গা থানার হাটিকুমরুল ইউনিয়নের চড়িয়াশিখা গ্রামে নিজ বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই নেতার নাম হেদায়েতুল আলম (৪৯)। তিনি সলঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও হাটিকুমরুল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলা, হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানায় অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতা হেদায়েতুল আলমের বিরুদ্ধে দুটি মামলা আছে। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এলাকা ছেড়ে তিনি আত্মগোপনে ছিলেন। পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদ্যাপন করতে তিনি বাড়িতে ফিরেছিলেন। আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাঁর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সলঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোখলেসুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ছাত্র-জনতার ওপর হামলা, হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানায় অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও লুটপাটের দুটি মামলায় হেদায়েতুল আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ তাঁকে আদালতে পাঠানো হবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
অনশন প্রত্যাহার করলেন কুয়েট শিক্ষার্থীরা
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ এবং উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শরিফুল ইসলামকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়ে সরকার।
এই সিদ্ধান্তের পর বুধবার দিবাগত রাত ১টায় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. তানজীম উদ্দিন খান শিক্ষার্থীদের জুস খাইয়ে অনশন ভঙ্গ করান। পরে শিক্ষার্থীরা অনশনস্থল থেকে নিজ নিজ হলে ফিরে যান।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. মামুন অর রশিদ জানান, কুয়েটের সাম্প্রতিক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে উদ্ভূত সংকট নিরসন এবং শিক্ষা কার্যক্রম দ্রুত শুরু করার লক্ষ্যে উপাচার্য এবং উপ-উপাচার্যকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদানের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। অবিলম্বে একটি সার্চ কমিটি গঠনের মাধ্যমে এ দুটি পদে নতুন নিয়োগ প্রদান করা হবে। অন্তর্বর্তীকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত কার্যক্রম চালু রাখার স্বার্থে জ্যেষ্ঠ অধ্যাপকদের মধ্য থেকে একজনকে সাময়িকভাবে উপাচার্যের দায়িত্ব অর্পণ করা হবে।
শিক্ষার্থীরা জানান, উপাচার্যের অপসারণের এক দফা দাবিতে গত ১৫ এপ্রিল থেকে তারা ক্যাম্পাসে আন্দোলন শুরু করেন। এরপর গত সোমবার থেকে ৩২ জন শিক্ষার্থী আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করেছিলেন।