‘নোটবুক উদযাপন’ করেই শাস্তি পেলেন লখনৌ সুপার জায়ান্টসের তরুণ পেসার দিগ্বেশ সিং রাঠি। পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে ম্যাচে ব্যাটসম্যানকে আউট করার পর বিশেষ ভঙ্গিতে উদযাপন করায় তার ম্যাচ ফির ২৫ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে একটি ডিমেরিট পয়েন্টও যোগ হয়েছে তার নামের পাশে।

ম্যাচের তৃতীয় ওভারের শেষ বলটি ছিল শর্ট এবং ওয়াইড। পাঞ্জাবের ব্যাটার প্রিয়াংশ আর্য সেটি পুল করতে গিয়ে ব্যাটের কানায় লেগে শার্দুল ঠাকুরের তালুবন্দি হন। মাত্র ৯ বলে ৮ রান করে ফিরে যেতে হয় প্রিয়াংশকে।

উইকেট পাওয়ার পর দিগ্বেশ নোটবুকে নাম লেখার ভঙ্গিতে উদযাপন করেন, যা আম্পায়ারদের নজরে আসে। সঙ্গে সঙ্গেই তাকে সতর্ক করা হয়। ম্যাচ শেষে আম্পায়ারদের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আইপিএল আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে শাস্তি দেওয়া হয় এই তরুণ পেসারকে।

বিসিসিআই এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘লখনৌ সুপার জায়ান্টসের বোলার দিগ্বেশ সিং রাঠিকে আইপিএল আচরণবিধি লঙ্ঘনের কারণে ম্যাচ ফির ২৫ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে এবং তার নামের পাশে একটি ডিমেরিট পয়েন্ট যোগ হয়েছে।’

দিগ্বেশ আর্টিকেল ২.

৫-এর অধীনে লেভেল ১ অপরাধ স্বীকার করেছেন এবং ম্যাচ রেফারির সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন, ফলে আলাদা শুনানির প্রয়োজন পড়েনি।

দিগ্বেশের এমন উদযাপন ভালোভাবে নেননি ভারতের কিংবদন্তি ব্যাটার সুনীল গাভাস্কার। তিনি সরাসরি বলেছিলেন, ‘আমি বুঝতে পারি, যদি ব্যাটসম্যান টানা ছক্কা বা বাউন্ডারি মারার পর বোলার উইকেট নিয়ে সেলিব্রেশন করে। কিন্তু একজন বোলারের তো ছয়টি বল থাকে।’

তিনি আরও যোগ করেন, ‘যদি পাঁচটি ডট বলের পর ষষ্ঠ বলে উইকেট পান, আর তখন এমন কিছু করেন, সেটি অপ্রয়োজনীয় মনে হয়। এটি দেখায় যে বোলার উইকেট পাওয়ার ব্যাপারে খুব একটা আত্মবিশ্বাসী ছিলেন না, তাই পেয়ে এমনভাবে উদযাপন করছেন।’

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

অনশন প্রত্যাহার করলেন কুয়েট শিক্ষার্থীরা  

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ এবং উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শরিফুল ইসলামকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়ে সরকার। 

এই সিদ্ধান্তের পর বুধবার দিবাগত রাত ১টায় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. তানজীম উদ্দিন খান শিক্ষার্থীদের জুস খাইয়ে অনশন ভঙ্গ করান। পরে শিক্ষার্থীরা অনশনস্থল থেকে নিজ নিজ হলে ফিরে যান।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. মামুন অর রশিদ জানান, কুয়েটের সাম্প্রতিক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে উদ্ভূত সংকট নিরসন এবং শিক্ষা কার্যক্রম দ্রুত শুরু করার লক্ষ্যে উপাচার্য এবং উপ-উপাচার্যকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদানের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। অবিলম্বে একটি সার্চ কমিটি গঠনের মাধ্যমে এ দুটি পদে নতুন নিয়োগ প্রদান করা হবে। অন্তর্বর্তীকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত কার্যক্রম চালু রাখার স্বার্থে জ্যেষ্ঠ অধ্যাপকদের মধ্য থেকে একজনকে সাময়িকভাবে উপাচার্যের দায়িত্ব অর্পণ করা হবে। 

শিক্ষার্থীরা জানান, উপাচার্যের অপসারণের এক দফা দাবিতে গত ১৫ এপ্রিল থেকে তারা ক্যাম্পাসে আন্দোলন শুরু করেন। এরপর গত সোমবার থেকে ৩২ জন শিক্ষার্থী আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করেছিলেন। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ