Samakal:
2025-04-23@17:22:47 GMT

হল থেকে হলে ছুটছেন তারকারা

Published: 2nd, April 2025 GMT

হল থেকে হলে ছুটছেন তারকারা

সারা বছর দর্শকখরা গেলেও ঈদে সিনেমা হলে থাকে উপচে পড়া ভিড়। এবার ঈদের দিন থেকে প্রেক্ষাগৃহে ৬টি সিনেমার প্রদর্শনী হচ্ছে। সিনেমাগুলো হলো- ‘বরবাদ’, ‘দাগি’, ‘জংলি’ ‘জ্বীন-৩’, ‘চক্কর’, ও ‘অন্তরাত্মা’। এবার দুই একটি ছাড়া প্রতিটি সিনেমাই তীব্র প্রতিযোগিতার মুখে পড়েছে। তাই নিজেদের সিনেমার দিকে দর্শক টানতে তারকাদের দৌড়ঝাঁপটাও এবার বেশি।

ঈদের দিন থেকেই বিভিন্ন হলে ছুটে যাচ্ছেন আফরান নিশো, সিয়াম আহমেদ, তমা মির্জা, শবনম বুবলী, প্রার্থনা ফারদিন দিঘীরা। রাজধানীর বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে ঘুরে তাঁরা দর্শকদের সঙ্গে মতবিনিময় করছেন তারা। 

ঈদের দিন রাজধানীর বসুন্ধরা স্টার সিনেপ্লেক্সে দর্শকের সঙ্গে ‘জংলি’ সিনেমা উপভোগ করেন সিয়াম আহমেদ, বুবলী ও দিঘী। সিনেমাটি নিয়ে দর্শকদের প্রতিক্রিয়া দেখে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন তাঁরা। ঈদের দ্বিতীয় দিন পরিবার নিয়ে সিনেমাটি দেখেছেন তিনি। আজ বিকেলে যমুনা ব্লকবাস্টার সিনেমাসে দর্শকের সঙ্গে সিনেমাটি দেখবেন ‘জংলি’ টিম।

একই দিন বসুন্ধরা স্টার সিনেপ্লেক্সে দর্শকের সঙ্গে নিজের ‘দাগি’ সিনেমা দেখেছে আফরান নিশোসহ সিনেমাটির কলাকুশলীরা। দ্বিতীয় দিন সনি স্কয়ারে ছিলেন আফরান নিশো ও তমা মির্জারা। আজ সন্ধ্যায় যমুনা ব্লকবাস্টার সিনেমাসে দর্শকের মতবিনিময় করবে ‘দাগি’ টিম।

এছাড়া নিজেদের সিনেমায় দর্শক টানতে থেমে নেই ‘চক্কর’ সিনেমার কলাকুশলীরা। পায়ের অস্ত্রোপচারের কারণে প্রথম দুইদিন হলে উপস্থিত থাকতে পারেননি অভিনেতা মোশাররফ করিম। তবে তার হয়ে হলে হলে ঘুরছেন ‘চক্কর’ সিনেমার পরিচালক শরাফ আহমেদ জীবন, অভিনেতা রওনক হাসান ও শাশ্বত দত্তরা। আজ পায়ের সমস্যা নিয়ে রাজধানীর বসুন্ধরা স্টার সিনেপ্লেক্সে উপস্থিত হন তিনি। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন, অভিনেত্রী সুমন আয়োয়ারসহ সিনেমার কলাকুশলীরা।

এছাড়া সিনেমার প্রচারে ব্যস্ত সময় পার করছেন আব্দুন নুর সজলসহ ‘জ্বীন ৩’ সিনেমা কলাকুশলীরা। হল থেকে হলে ছুটছেন তিনি। তবে এই সিনেমার প্রচারে এখন পর্যন্ত অংশ নিতে দেখা যায়নি নায়িকা নুসরাত ফারিয়াকে।

এদিকে গত ঈদের দিন থেকে এখন পর্যন্ত দেখা যায়নি শাকিব খানের ‘দরবাদ’ সিনেমার তারকাদের। তবে এই সিনেমার পরিচালক ও প্রযোজক ছুটে বেড়াচ্ছেন রাজধানীর বিভিন্ন হলে। তবে শোনা যাচ্ছে, পরিবারের সবাইকে নিয়ে দর্শকের সঙ্গে সিনেমাটি উপভোগ করবেন তিনি।  

এবারের ঈদে তেমন কেনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ও বেফাঁস কথা বলতে দেখা যায়নি কাউকেই। তবে গতকাল পাইরেসির অভিযোগে গুলশান থানায় হাজির হয়েছিলেন সিনেমাটির পরিচালক মেহেদি হাসান হৃদয় ও প্রযোজক শাহরিন আক্তার সুমি।

বরবাদের পরিচালক মেহেদি হাসান হৃদয় বলেন, একজন প্রযোজক এতো টাকা বিনিয়োগ করে সিনেমা করেন আর পাইরেসি করায় সব শেষ হয়ে যায়। এভাবে তো চলতে পারে না। সিনেমা হল মালিকদের বলতে চাই আপনারা একটু দেখবেন সিনেমা পাইরেসি হয় কিনা। শো চলার সময় কেউ যেন ফোন ব্যবহার করে কপি না করে সে দিকে নজর দেন। যারা পাইরেসি করছেন তাদের দ্রুত সময়ের ব্যবধানে গ্রেপ্তার করা হবে এটা আমাদের বলা হয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স য় ম আহম দ আফর ন ন শ ঈদ র দ ন

এছাড়াও পড়ুন:

পঞ্চগড়ে মামলার রায় শুনে আদালত চত্বরে বিক্ষোভের ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ

পঞ্চগড়ে হত্যা মামলার রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে আদালত চত্বরে বাদীপক্ষের লোকজনের বিক্ষোভ, আদালতের বিষয়ে সম্মানহানি ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য এবং গণমাধ্যমকর্মীদের মিথ্যা তথ্য দেওয়ার বিষয়ে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে জেলা আইনজীবী সমিতি। বুধবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে পঞ্চগড় জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মো. আদম সুফি তাঁর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ প্রতিবাদ জানান।

এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার সকালে আইনজীবী সমিতির জরুরি সভা আহ্বান করা হয়েছিল। মো. আদম সুফির সভাপতিত্বে ওই সভায় জেলা জজ আদালতের আইনজীবী আইবুল আলম আঙ্গুরকে প্রধান করে চারজন আইনজীবীর সমন্বয়ে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিকে আগামী পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে জেলা জজ আদালতের গভর্নমেন্ট প্লিডার (জিপি) আব্দুল বারী, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) খলিলুর রহমান, পঞ্চগড় জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি মির্জা নাজমুল ইসলাম কাজলসহ অন্য আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন। লিখিত বক্তব্যে মো. আদম সুফি বলেন, গত ২০ মার্চ পঞ্চগড় জেলা ও দায়রা জজ আদালতে একটি মামলার রায় প্রকাশের পর উচ্ছৃঙ্খল কিছু ব্যক্তি আদালতের বিষয়ে সম্মানহানিকর ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দেন। ওই বক্তব্যে পঞ্চগড় জেলা আইনজীবী সমিতি দুঃখ প্রকাশসহ তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে। অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটি বস্তুনিষ্ঠ নয়। কিছু উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি আদালত ও আইনজীবীদের সম্মান ক্ষুণ্ন করার হীন উদ্দেশ্যে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন।

গত রোববার দুপুরে পঞ্চগড় জেলা জজ আদালত চত্বরে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে মারামারির ঘটনায় পক্ষে-বিপক্ষে করা দুটি মামলার আসামিদের বেকসুর খালাসের রায় শুনে আদালত চত্বরে বিক্ষোভ করেন হত্যা মামলার বাদীপক্ষের লোকজন। বিক্ষোভে হত্যা মামলার বাদীপক্ষের লোকজন ন্যায়বিচার পাননি দাবি করে আদালতের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় আদালতে আসা উৎসুক লোকজন সেখানে ভিড় করেন। বেশ কিছুক্ষণ চেষ্টার পর পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

সংবাদ সম্মেলনে মো. আদম সুফি আরও বলেন, রায় ঘোষণার পর আদালতের উদ্দেশে বিক্ষোভকারী যে ধরনের স্লোগান দিয়েছেন, তা আদালতকে অসম্মান করার শামিল। এ ছাড়া বিভিন্ন সাংবাদিকদের কাছে যেভাবে টাকাপয়সা লেনদেনের কথা বলছিলেন, তা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। পঞ্চগড়ে বিচারকেরা সুশৃঙ্খল পরিবেশে তাঁদের বিচারকার্য পরিচালনা করবেন এবং জেলার মানুষ ন্যায়বিচার পাবেন এমনটাই তাঁদের কামনা। কিন্তু কেউ যদি এই সম্মান আর আস্থার জায়গাটিতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করে, তা খুবই দুঃখজনক। এ ব্যাপারে তিনি গণমাধ্যমকর্মীদেরও সহায়তা চান।

আদালত-সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালের ৩০ মার্চ জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার দেবনগর ইউনিয়নের ঝালিঙ্গিগছ এলাকায় কসির উদ্দিনের পরিবারের সঙ্গে প্রতিবেশী সামসুল হকের পরিবারের লোকজনের জমি নিয়ে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অনেকে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। পরদিন সকালে কসির উদ্দিনের ছেলে মো. এরশাদ রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। ওই দিনই রাতে এরশাদের বাবা কসির উদ্দিন বাদী হয়ে তেঁতুলিয়া থানায় ওই ঘটনায় সামসুল হক পক্ষের ২১ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।

ঘটনার প্রায় আড়াই মাস পর ২০১১ সালের ১৪ জুন অপর পক্ষ সামসুল হকের স্ত্রী রনজিনা বেগম পঞ্চগড় আদালতে কসির উদ্দিন পক্ষের ১৯ জনকে আসামি করে একই ঘটনায় একটি পাল্টা মামলা করেন। দুটি মামলার কার্যক্রম একই আদালতে চলছিল। দীর্ঘদিন আইনি প্রক্রিয়া শেষে কোনো পক্ষই অভিযোগ প্রমাণ করতে না পারায় গত রোববার দুপুরে পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এস এম রেজাউল বারী দুটি মামলার সব আসামিকেই বেকসুর খালাসের রায় দেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ