কুমিল্লায় হাওয়ার মেশিন বিস্ফোরণে গ্যারেজ মালিক নিহত
Published: 2nd, April 2025 GMT
কুমিল্লায় গাড়িতে হাওয়া দেওয়ার মেশিন বিস্ফোরণে জামশেদ আলম (৫০) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এসময় আহত হয়েছেন আরও দুইজন। নিহত জামশেদ ওই গ্যারেজের মালিক ছিলেন।
বুধবার দুপুরে জেলার বুড়িচং উপজেলা সদর এলাকায় পেট্রোল পাম্প সংলগ্ন আগানগর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত জামশেদ ওই উপজেলার ষোলনল ইউনিয়নের আগানগর গ্রামের রহমত আলীর ছেলে।
আহতরা হলেন- খাড়াতাইয়া গাজীপুর গ্রামের আবদুল সোবহনের ছেলে মো.
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, দোকানের মালিক জামশেদ আলম গাড়ির চাকায় হাওয়া দেওয়ার জন্য মেশিনে হাওয়া লোড করছিলেন। এসময় হাওয়ার মেশিনটি বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়ে দোকানটি উড়ে যায়। এতে দোকানে থাকা জামশেদ আলম, মহসিন ও শাহ আলম আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে বুড়িচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক জামশেদ আলমকে মৃত ঘোষণা করেন।
বু্ড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুর রহমান বলেন, নিহতের পরিবার মরদেহের ময়নাতদন্ত করতে আগ্রহী নয়, তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ন হত
এছাড়াও পড়ুন:
সুনামগঞ্জ মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থীদের ‘শাটডাউন’ কর্মসূচি প্রত্যাহার
দাবি পূরণে কর্তৃপক্ষের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে শাটডাউন কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছেন সুনামগঞ্জ মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা। বুধবার সকাল ১০টায় ক্যাম্পাসে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা জানিয়েছেন, দ্রুতই তারা ক্লাসে ফিরবেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মৌনতা নাথ মিশি, চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মো. হারুন অর রশিদ, পিয়াস চন্দ্র দাস এবং দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী কায়েস আব্দুল্লাহ জামান।
এই ঘোষণায় সপ্তাহে ছয়দিন ওয়ার্ডের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা, ওয়ার্ড পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় সকল অবকাঠামোগত ও প্রশাসনিক পদক্ষেপ গ্রহণ, ক্লিনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট (ঈঅ) ও রেজিস্ট্রার নিয়োগ, সার্জারি, মেডিসিনসহ সকল ক্লিনিক্যাল বিষয়সমূহে যথাযথ ওয়ার্ড বাস্তবায়নের জন্য জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ, ট্রান্সপোর্টেশন ব্যবস্থার ঘাটতি দ্রুত সমাধান, হাসপাতালের কার্যক্রম ডিসেম্বর ২০২৫ এর মধ্যে চালু করা ও হাসপাতালের কার্যক্রম এই সময়ে চালু করতে যে রোডম্যাপ অনুসরণ করা হবে তা স্বচ্ছভাবে উপস্থাপনের দাবিতে টানা ৮দিনের আন্দোলনের সমাপ্তি হলো।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, ২২ এপ্রিল কলেজে এবং ঢাকায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনার মাধ্যমে আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা ওয়ার্ড ও হাসপাতাল এই দুই দাবির তাৎক্ষণিক সমাধান পাওয়া যায় এবং যেসব সমস্যার সমাধান সময়সাপেক্ষ তার রোডম্যাপ দেওযায় আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা কলেজ প্রশাসন ও উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাজে আশ্বস্ত হয়েছি। এজন্য আমরা সর্বসম্মতিতে আমাদের আন্দোলন কর্মসূচির প্রত্যাহার করার ঘোষণা দিচ্ছি। তবে ওয়ার্ড যদি রেগুলার মনিটর না হয় এবং হাসপাতালের রোডম্যাপ ফলো না করা হয় তবে আমরা পরবর্তীতে আরও কঠোর কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামব।
এসময় যৌক্তিক দাবির আন্দোলনে পাশে থাকার জন্য সাধারণ জনগণ, মেডিকেল কমিউনিটি ও মিডিয়াকে ধন্যবাদ জানান শিক্ষার্থীরা।