রাশিয়া-চীন কৌশলগত সহযোগিতা আরো জোরদারের আহ্বান পুতিনের
Published: 2nd, April 2025 GMT
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন চীন ও রাশিয়ার মধ্যে কৌশলগত সহযোগিতা আরো শক্তিশালী করার আহ্বান জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) ক্রেমলিনে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইর সঙ্গে বৈঠককালে এ আহ্বান জানান তিনি।
বৈঠকে ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, রাশিয়া-চীন সম্পর্ক বিকশিত হচ্ছে এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা গভীরতর হচ্ছে।
‘রাশিয়া-চীন সংস্কৃতি বর্ষ’ কর্মসূচি দুই দেশের জনগণের মধ্যে সম্পর্ক আরো দৃঢ় করছে বলেও দাবি করেন তিনি।
পুতিন উল্লেখ করেন, এ বছর সোভিয়েত ইউনিয়নের মহান দেশপ্রেমিক যুদ্ধের ৮০তম বার্ষিকী উপলক্ষে চীনের প্রতিনিধিদের রাশিয়ায় অনুষ্ঠেয় স্মরণসভায় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
তিনি বলেন, নাৎসি ও জাপানি সামরিকবাদের বিরুদ্ধে বিজয় উদযাপন দুই দেশের ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়।
ওয়াং ই চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিনপিংয়ের উষ্ণ শুভেচ্ছা পুতিনের কাছে পৌঁছে দেন। তিনি বলেন, দুই দেশের কৌশলগত অংশীদারিত্ব আরো গভীর হচ্ছে। রাশিয়া ও চীনের সহযোগিতা কোনো তৃতীয় পক্ষকে লক্ষ্য করে নয় এবং এটি বহিরাগত হস্তক্ষেপের ঊর্ধ্বে থাকবে।
ওয়াং ই আরো বলেন, উভয় দেশ একসঙ্গে বহুপাক্ষিক সহযোগিতা জোরদার এবং জাতিসংঘের ভূমিকা শক্তিশালী করার জন্য কাজ করবে।
ঢাকা/হাসান/রফিক
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
শিবগঞ্জ সীমান্তে পেট্রোল বোমা ও ককটেলের বড় চালান আটক
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ সীমান্তে বিস্ফোরকের একটি বড় চালান আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। দেশকে অস্থিতিশীল করতে চোরাইপথে ভারত থেকে আনা উপকরণ দিয়ে বানানো এসব সরঞ্জাম ব্যবহার করার পরিকল্পনা করা হচ্ছিল বলে জানিয়েছে বিজিবির।
সীমান্ত বাহিনীটির দাবি, বোমাগুলো দেশীয়ভাবে তৈরির পর তা বন্দর এলাকা থেকে বিভিন্ন পণ্যের আড়ালে পাচার হওয়ার আগেই গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তা আটকে দেওয়া হয়।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার চকপাড়া সীমান্ত এলাকা থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় ৯৯টি ককটেল এবং ৪০টি পেট্রোল বোমা উদ্ধার করে ৫৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের একটি আভিযানিক দল। রাত ৮টায় এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল গোলাম কিবরিয়া।
তিনি জানান, দুটি প্লাস্টিকের ক্যারেটসহ চকপাড়া সীমান্তের ১৮৪ মেইন পিলার হতে প্রায় এক কিলোমিটার দুরে কয়লাবাড়ি ট্রাক টার্মিনাল এলাকায় দুটি প্লাস্টিকের ক্যারেটসহ দুই ব্যক্তি দাঁড়িয়ে ছিল। এ সময় বিজিবির একটি অভিযানিক দল ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই তারা পালিয়ে গেলে একটি ক্যারেটে তল্লাশি চালিয়ে লাল স্কচটেপ দিয়ে মোড়ানো ৯৯টি ককটেল এবং অপর ক্যারেট থেকে ৪০টি পেট্রোল বোমা উদ্ধার করে।
তিনি আরও জানান, পেট্রোল বোমাগুলো কোকাকোলা বা এ ধরনের কাঁচের বোতলে বানানো হয়েছে এবং ককটেলগুলো জর্দ্দার কোটায় দেশীয় প্রযুক্তিতে বানানো হয়েছে।
অধিনায়কের দাবি, এসব বিস্ফোরক ভারত থেকে না আনলেও গান পাউডারসহ বিভিন্ন বিস্ফোরক উপকরণ সীমান্ত দিয়ে আনার পর সন্ত্রাসীরা সীমান্ত এলাকায় বোমা তৈরির পর সেগুলো সোনামসজিদ বন্দর রুট ব্যবসার করে বিভিন্ন পণ্যের আড়ালে ট্রাকে করে দেশের অভ্যন্তরে পাচারের চেষ্টা করছিল। তবে গোয়েন্দা নজরদারির কারণে সে পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। এসব কাজে জড়িতদের ধরতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তদন্ত করছে। এ ঘটনায় জব্দকৃত বোমাগুলো শিবগঞ্জ থানায় জমা দেওয়া হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।