নওগাঁর মান্দায় আব্দুল জব্বার (৫০) নামের এক ব্যক্তির গলা কাটা অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার দুপুর ১টার দিকে উপজেলার কশব ইউনিয়নের ভোলাগাড়ি গ্রামের একটি ইটভাটা সংলগ্ন তালপুকুড়িয়া বিলের একটি ধানক্ষেত থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।

নিহত জব্বার পার্শ্ববর্তী এলাঙ্গা গ্রামের প্রয়াত ফজর আলীর ছেলে। অর্ধগলিত লাশের সঙ্গে থাকা জুতা এবং জামা দেখে শনাক্ত করে নিহত জব্বারের ছোট ভাই আজহারুল ইসলাম। 

তিনি জানান, তার ভাই গত শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে ভোলাগাড়ি গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে বুলবুলের কাছে পাওনা ৫০ হাজার টাকা নেওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে এসেছিল। এরপর থেকে তার কোনো খোঁজখবর পাওয়া যাচ্ছিল না। তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন বন্ধ ছিল। তিনি সন্দেহ করেন, টাকার জন্যই তার ভাই খুন হয়ে থাকতে পারেন। 

এ ব্যাপারে মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.

মনসুর রহমান জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে লাশটি উদ্ধার করার জন্য ঘটনাস্থলে আছি। লাশ অর্ধগলিত এবং গলা কাটা হওয়ায় সিআইডি এবং পিবিআইকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তারা এলে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে। ময়নাতদন্তের পর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: নওগ মরদ হ

এছাড়াও পড়ুন:

গৃহকর নিয়ে প্রশাসকের সঙ্গে বাসিন্দাদের হট্টগোল

গৃহকর (হোল্ডিং ট্যাক্স) ধার্যের বিষয়টি নিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজের সঙ্গে হট্টগোল করেছেন অঞ্চল-৭-এর আওতাধীন বিভিন্ন ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে উত্তরার ৬ নম্বর সেক্টরে উত্তরা কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত গণশুনানির শেষের দিকে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গণশুনানি শেষ করে ওই অঞ্চলের চারটি ওয়ার্ডের প্রতিনিধিদের নিয়ে অঞ্চল-৭-এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তার কক্ষে আলোচনায় বসেন প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ। সেখানে গৃহকর কীভাবে আদায় হবে, কী ছাড় পাওয়া যাবে—এসব বিষয়ে বাসিন্দাদের বুঝিয়ে বলা হয়। হট্টগোলকারীরা বিষয়টি বুঝতে পেরে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য প্রশাসকের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন।

গণশুনানিতে দেখা যায়, নাগরিক সেবা নিয়ে চারটি ওয়ার্ডের বাসিন্দারা বিভিন্ন সংকট, সমস্যা ও অভিযোগ জানান। তাঁদের দাবি, তাঁরা ২০১৮ সাল থেকে নয়, ২০২৪ সাল থেকে গৃহকর পরিশোধ করবেন। প্রশাসক তাঁর বক্তব্যে বাসিন্দাদের বলা অভিযোগগুলোর সমাধান, পদক্ষেপ ও করপোরেশনের উদ্যোগ নিয়ে কথা বলেন। বক্তব্যের শেষ পর্যায়ে তিনি হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় নিয়ে বাসিন্দাদের দাবিদাওয়ার বিষয়ে কথা বলছিলেন।

প্রশাসকের বক্তব্য ছিল, আইন অনুযায়ী ২০১৮ সাল থেকেই গৃহকর পরিশোধ করতে হবে। তবে গৃহকরের সঙ্গে পরিচ্ছন্নতা ও সড়ক বাতি বাবদ যে কর আদায় করা হয়, সেই ৫ শতাংশ কর আপাতত আদায় বন্ধ থাকবে। এ ছাড়া বিধিমালা অনুযায়ী গৃহকরে একজন গ্রাহক যেসব ছাড় পান, সেসব ছাড়ের ব্যবস্থাও করা হবে বলেও জানান। সেই হিসেবে ২০২৪-২৫ অর্থবছর থেকে যে টাকা কর আসবে, ২০১৮ থেকে একই পরিমাণ কর দিতে হবে।

কিন্তু প্রশাসকের এই বক্তব্যের সঙ্গে একমত হননি শুনানিতে অংশ নেওয়া বাসিন্দারা। তাঁরা চিৎকার-চেঁচামেচি করে এর প্রতিবাদ করতে শুরু করেন। একপর্যায়ে সামনের সারিতে বসা কিছু ব্যক্তি উত্তেজিত হয়ে মঞ্চে থাকা প্রশাসকের সামনে গিয়ে বলতে থাকেন, তাঁরা এই সিদ্ধান্ত মানেন না। তাঁরা ২০২৪ সাল থেকেই কর দেবেন।

মিনিট পাঁচেক এমন হট্টগোল আর চেঁচামেচি চলে। ঢাকা উত্তর সিটির ওই অঞ্চলের কর্মকর্তা ও স্থানীয় বিএনপির নেতারা উত্তেজিত হওয়া ব্যক্তিদের শান্ত করেন।

ঢাকা উত্তর সিটির ওই অঞ্চলের কর্মকর্তা ও স্থানীয় বিএনপির নেতারা উত্তেজিত ব্যক্তিদের শান্ত করার চেষ্টা করেন

সম্পর্কিত নিবন্ধ