নিউজিল্যান্ডের ৮ উইকেটে ২৯২ রান তাড়া করতে নেমে ম্যাচটি পাকিস্তান হেরেছে আসলে ১২ ওভারের মধ্যে। ১১.৪ ওভারেই পাকিস্তানের স্কোর ৫ উইকেটে ৩২। এখান থেকে পাকিস্তান যে শেষ পর্যন্ত দুই শ ছুঁইছুঁই স্কোর পেয়েছে সেটাই তো সৌভাগ্য!

বাকিটা নিউজিল্যান্ডের সিরিজ জয়ের গল্প। নেপিয়ারে প্রথম ম্যাচ ৭৩ রানে জেতার পর আজ হ্যামিল্টনে দ্বিতীয় ম্যাচেও ৮৪ রানের জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজও নিজেদের করে নিয়েছে নিউজিল্যান্ড। মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে শনিবার সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ।

দ্বিতীয় ম্যাচে পাকিস্তান অলআউট হয়েছে ৪১.

২ ওভারে ২০৮ রানে। প্রথম পাঁচ ব্যাটসম্যানের কেউ দুই অঙ্কেও পৌঁছাতে পারেননি। এই পাঁচ ব্যাটসম্যানের মোট সংগ্রহ ১৯ রান। ৮০ বলে ৭৩ রান এসেছে সাতে নামা বোলিং অলরাউন্ডার ফাহিম আশরাফের ব্যাট থেকে। হারিস রউফের কনকাশন সাব হিসেবে এগারোয় নামা নাসিম শাহর ব্যাট থেকে এসেছে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৪ বলে ৫১। বাকিরা ব্যর্থ আর সেই দায় টপ অর্ডারের ওপরই বেশি বর্তায়।

আব্দুল্লাহ শফিক (১), বাবর আজম (১) ও ইমাম–উল–হক ফিরেছেন ছয় ওভারের মধ্যে। ইমাম ও বাবর জ্যাকব ডাফির শিকার, শফিকের উইকেটটি উইল ও’রুর্কের। অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ান (৫) ও সালমান আগাও (৯) বেশিক্ষণ টিকতে না পারায় রান তাড়া ভালোভাবে শুরুর আগেই আসলে ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে পাকিস্তান। পরের লড়াই ছিল স্কোর যতটা সম্ভব ভদ্রস্ত করার। তাইব তাহিরের সঙ্গে ষষ্ঠ উইকেটে ৫৫ বলে ৩৩ রানের জুটিতে সেটা করার চেষ্টা করেন ফাহিম। তবে পাকিস্তানের ইনিংসে সেরা জুটিটি এসেছে দশম উইকেটে, যা দেখে লজ্জা পেতে পারেন টপ অর্ডারের ব্যাটসম্যানরা। ৩৮তম ওভারে বেন শিয়ার্সের বলে ফাহিম আউট হওয়ার আগে নাসিমের সঙ্গে গড়েন ৫৬ বলে ৬০ রানের জুটি।

সেডন পার্কে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নামা নিউজিল্যান্ডের হয়ে ৭৮ বলে ৯৯ রানে অপরাজিত ছিলেন মিচেল হে। শেষ ওভারে পাকিস্তানি পেসার মোহাম্মদ ওয়াসিমের মুখোমুখি হওয়ার আগে ৭২ বলে ৭৭ রানে অপরাজিত ছিলেন হে। শেষ ওভারে একাই ব্যাট করে একটি বল ডট দিয়েও দুই ছক্কা ও দুই চারে সব মিলিয়ে ২২ রান তুলতে পারেন। মাত্র একটি রানের জন্য সেঞ্চুরিটা তাঁর হলো না! পাকিস্তানে জন্ম নেওয়া মুহাম্মদ আব্বাস খেলেন ৬৬ বলে ৪১ রানের ইনিংস। ওপেনার নিক কেলি করেন ২৩ বলে ৩১।

বিস্তারিত আসছে...।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব য টসম য ন উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

অনশন প্রত্যাহার করলেন কুয়েট শিক্ষার্থীরা  

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ এবং উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শরিফুল ইসলামকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়ে সরকার। 

এই সিদ্ধান্তের পর বুধবার দিবাগত রাত ১টায় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. তানজীম উদ্দিন খান শিক্ষার্থীদের জুস খাইয়ে অনশন ভঙ্গ করান। পরে শিক্ষার্থীরা অনশনস্থল থেকে নিজ নিজ হলে ফিরে যান।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. মামুন অর রশিদ জানান, কুয়েটের সাম্প্রতিক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে উদ্ভূত সংকট নিরসন এবং শিক্ষা কার্যক্রম দ্রুত শুরু করার লক্ষ্যে উপাচার্য এবং উপ-উপাচার্যকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদানের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। অবিলম্বে একটি সার্চ কমিটি গঠনের মাধ্যমে এ দুটি পদে নতুন নিয়োগ প্রদান করা হবে। অন্তর্বর্তীকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত কার্যক্রম চালু রাখার স্বার্থে জ্যেষ্ঠ অধ্যাপকদের মধ্য থেকে একজনকে সাময়িকভাবে উপাচার্যের দায়িত্ব অর্পণ করা হবে। 

শিক্ষার্থীরা জানান, উপাচার্যের অপসারণের এক দফা দাবিতে গত ১৫ এপ্রিল থেকে তারা ক্যাম্পাসে আন্দোলন শুরু করেন। এরপর গত সোমবার থেকে ৩২ জন শিক্ষার্থী আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করেছিলেন। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ