প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ উদযাপন শেষে ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছেন লোকজন। অন্যদিকে, অনেকে আবার আজ ঢাকা ছাড়ছেন।
বুধবার (২ এপ্রিল) সকাল থেকেই ঢাকার অন্যতম প্রবেশপথ গুলিস্তান ও যাত্রাবাড়ী ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
ঈদযাত্রা নিয়ে একাধিক যাত্রী জানান, দীর্ঘ ছুটি থাকায় পরিবার নিয়ে সময় কাটাতে গ্রামের বাড়িতে ঘুরতে যাচ্ছেন। কেউ আবার ভোগান্তি এড়াতে আবার ঢাকায় ফিরছেন।
বাস টার্মিটালের বিভিন্ন পরিবহনের মালিক ও শ্রমিকরা বলেন, ঈদুল ফিতরের ছুটি দীর্ঘ হওয়ায় এখনও মানুষ ঢাকা ছাড়ছে। কেউ কেউ ঢাকায় ফিরছেন। আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে ঢাকায় ফেরা যাত্রীদের চাপ বাড়বে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঢাকা-বরিশাল, পটুয়াখালাী, ঝালকাঠী, পিরোজপুর, ঢাকা-খুলনা, যশোর রুটের বাসগুলো ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে ঢাকা আসা দূরপাল্লার বাসগুলো, কেরানীগঞ্জ, পোস্তাঘোলা, ধোলাইপাড়া, যাত্রাবাড়ী, সায়েদাবাদে যাত্রী নামাচ্ছে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক, ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক দিয়ে আসা বাসগুলো যাত্রীদের সাইনবোর্ড, মেডিকেল, রায়েরবাগ, শনিরআখড়া কাজলা, ডেমরা, কোনাপাড়া, জুরাইন, দোলাইপাড়সহ বিভিন্ন স্টপেজে যাত্রী নামছেন। বাড়তি ভাড়া দেওয়া ছাড়া ঢাকায় ফিরতে তেমন কোনো ভোগান্তিতে পড়তে হয়নি বলে জানান যাত্রীরা।
সপরিবারে গুলিস্তানে বাস থেকে নেমেছেন নুরুল ইসলাম। তিনি বলেন, “গ্রামে বাবা-মায়ের সঙ্গে ঈদ করতে গিয়েছিলাম। একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে বিপণন বিভাগে কাজ করি। বৃহস্পতিবার থেকে আমার অফিস খুলছে। তাই আজকেই চলে আসলাম। আসতে তেমন সমস্যা হয়নি। শুধু সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে ২৫০ টাকা বেশি নিয়েছে।”
এদিকে, গুলিস্তান-যাত্রাবাড়ীতে বিভিন্ন বাসের কাউন্টারগুলোতে যাত্রীদের ভিড় দেখা গেছে।
গুলিস্তানে আবিদ হোসেন নামের এক যাত্রী বলেন, “একটি বাসায় নিরাপত্তাকর্মীর কাজ করি। আজকে ছুটি পেলাম। পরিবারের সঙ্গে আনন্দ করতে বাড়ি যাচ্ছি। আজও বাড়তি ভাড়া নিচ্ছে।”
ঢাকা/এএএম/ইভা
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সুদানে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের ওপর হামলার ঘটনায় জাতিসংঘ মহাসচিবের তীব্র নিন্দা
সুদানে জাতিসংঘের এক ঘাঁটিতে ড্রোন হামলায় ছয় শান্তিরক্ষী নিহত হয়েছেন। তাঁরা সবাই বাংলাদেশের নাগরিক। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘আমি সুদানের কাদুগলিতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীর লজিস্টিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে নৃশংস ড্রোন হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীদের লক্ষ্য করে হামলা আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় যুদ্ধাপরাধ হিসেবে গণ্য হতে পারে।’
সুদানের কোরদোফান অঞ্চলের কাদুগলি শহরে অবস্থিত জাতিসংঘের ভবনটিতে গতকাল শনিবার এ হামলা হয়।
গুতেরেসের বিবৃতিতে বলা হয়, হামলায় আরও আট শান্তিরক্ষী আহত হয়েছেন। হতাহত ব্যক্তিদের সবাই বাংলাদেশের নাগরিক। তাঁরা ইউএন ইন্টারিম সিকিউরিটি ফোর্স ফর আবেইয়ের (ইউএনআইএসএফএ) হয়ে দায়িত্বরত ছিলেন।
গুতেরেস বলেন, ‘দক্ষিণ কোরদোফানে আজ (শনিবার) শান্তিরক্ষীদের ওপর যে হামলা হয়েছে, তা অগ্রহণযোগ্য। এর জন্য দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে।’
হামলায় নিহত শান্তিরক্ষীদের সবাই বাংলাদেশি। তাঁরা ইউএন ইন্টারিম সিকিউরিটি ফোর্স ফর আবেইয়ের (ইউএনআইএসএফএ) হয়ে দায়িত্বরত ছিলেন। হামলায় আরও আট শান্তিরক্ষী আহত হয়েছেন।সুদানের সেনাবাহিনী ওই হামলার দায় র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) নামে দেশটির আধা সামরিক বাহিনীর ওপর চাপিয়েছে।
সুদানে দুই বছরের বেশি সময় ধরে গৃহযুদ্ধ চলছে। দেশটির সেনাবাহিনী ও আরএসএফের মধ্যে এ লড়াই চলছে।
আরএসএফ তাৎক্ষণিকভাবে হামলার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
সুদানের সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, এ হামলা বিদ্রোহী মিলিশিয়া এবং এর পেছনে যাঁরা আছেন, তাঁদের ধ্বংসাত্মক কৌশলের স্পষ্ট প্রকাশ।
সুদান সেনাবাহিনী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও পোস্ট করেছে। ভিডিওতে একটি স্থান থেকে ঘন কালো ধোঁয়া আকাশে উঠতে দেখা যাচ্ছে। তারা বলেছে, এটি জাতিসংঘের স্থাপনা।
বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী হতাহত হওয়ার এ ঘটনায় গভীর শোক ও উদ্বেগ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
দক্ষিণ কোরদোফানে আজ (শনিবার) শান্তিরক্ষীদের ওপর যে হামলা হয়েছে, তা অগ্রহণযোগ্য। এর জন্য দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে।.আন্তোনিও গুতেরেস, জাতিসংঘ মহাসচিবযেখানে হামলা হয়েছে, সেই তেলসমৃদ্ধ অঞ্চল আবেই নিয়ে সুদান ও দক্ষিণ সুদানের মধ্যে বিরোধ রয়েছে। ২০১১ সালে সুদান থেকে আলাদা হয়ে দক্ষিণ সুদান একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। এর পর থেকে সেখানে জাতিসংঘের শান্তি রক্ষা মিশন মোতায়েন রয়েছে।
দুই দেশের সীমান্তে অবস্থিত আবেই বিশেষ প্রশাসনিক মর্যাদার অঞ্চল।
সুদানের আবেই অঞ্চলে একটি সড়কে দায়িত্ব পালন করছেন জাতিসংঘের একজন শান্তিরক্ষী