বায়ার লেভারকুসেন বোধহয় কল্পনাও করেনি এভাবে তাদের বিদায় নিতে হবে! যে আর্মিনিয়া বিলেফেল্ডকে বলেকয়ে হারানোর কথা তাদের, গত রাতে জার্মান কাপে সেই বিলেফেল্ডই কিনা বুন্দেসলিগার চ্যাম্পিয়নদের বিদায় করে লিখল নতুন এক ইতিহাস।

ঘরের মাঠে সেমিফাইনালে লেভারকুসেনকে ২-১ গোলে হারিয়ে প্রথমবার জার্মান কাপের ফাইনালের টিকিট কেটেছে ডাউ ব্লাউয়েনরা। জার্মানির তৃতীয় স্তরের এই ক্লাব ফাইনালের এই পথে শুধু লেভারকুসেনকেই হারায়নি, এর আগে এক এক করে বিদায় করেছে বুন্দেসলিগার চার ক্লাবকে।

আরও পড়ুনগোল যতই হোক, যখনই হোক, শেষ পর্যন্ত রিয়ালই জেতে২৮ মিনিট আগে

এবার শেষ চমকের অপেক্ষায় বিলেফেল্ড, ফাইনালে আরও বড় কিছুর আশা তারা করতেই পারে। আজ রাতে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে স্টুটগার্ট ও লাইপজিগ। ম্যাচে যে দল জিতবে, তারাই হবে শিরোপার লড়াইয়ে বিলেফেল্ডের প্রতিপক্ষ।

লিগ চ্যাম্পিয়ন লেভারকুসেনকে জার্মান কাপ থেকে ছিটকে দিয়ে উল্লাসিত রোমাঞ্চিত বিলেফেল্ডের কোচ মিশেল নিয়াত, ‘সত্যি এই দলটা নিয়ে আমি গর্বিত। পুরো অঞ্চলের মানুষও নিশ্চয়ই আমার মতোই অনুভব করছে। আজ রাতে (মঙ্গলবার) কেউ ঘুমাবে না।’

শেষ বাঁশি বাজার পর এভাবেই জয় উদ্‌যাপন করেন বিলেফেল্ডের খেলোয়াড়েরা.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ফ ইন ল

এছাড়াও পড়ুন:

বাবরকে ছাড়িয়ে গেলেন কোহলি

এই মৌসুমটা দারুণ কাটছিল রইয়্যাল চ্যালেঞ্জার বেঙ্গালুরুর। তবে একটাই খুঁত ছিল, ঘরের মাঠে জিততে পারছিল না বিরাট কোহলিরা। নিজেদের ডেরায় টানা তিন ম্যাচ হারে দলটি। হতাশাজনক ব্যাটিং পারফরম্যান্সের পর অবশেষে বেঙ্গালুরু চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে দুইশর বেশি রান করতে সক্ষম হয় এবং এক রোমাঞ্চকর জয় পায় রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে।

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেটের বিনিময়ে পায় ২০৫ রানের পুঁজি। সেই রান তাড়া করতে নেমে সুবিধাজনক জায়গা থেকেও ১১ রানে ম্যাচ হারে রাজস্থান। ম্যাচে ৭০ রানের ইনিংস খেলা কোহলি এই রাতে ছাড়িয়ে গেলেন বাবর আজমের একটি রেকর্ড।

বিরাট কোহলি খেলেন ৪২ বলে ৭০ রানের ইনিংস। ৩২তম বলে ফিফটি ছুঁয়ে কোহলি গড়েন নতুন রেকর্ড। আন্তর্জাতিক ম্যাচ ও ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগসহ সব ধরনের স্বীকৃত টি–টোয়েন্টিতে আগে ব্যাট করে সবচেয়ে বেশি ৬২টি পঞ্চাশোর্ধ ইনিংস খেলেছেন কোহলি। এতদিন ৬১টি পঞ্চাশোর্ধ ইনিংস খেলে এই রেকর্ড ছিল বাবরের।

আরো পড়ুন:

বেঙ্গালুরুর জন্য ঘরের মাঠ বিভীষিকা

‘ভাবিনি ১৫ বছর একসাথে খেলব’

ম্যাচ শেষে কোহলি, “আমরা ঘরের মাঠে তিনটি গড়পড়তা ম্যাচ খেলেছি এবং ব্যাটিং ইউনিটে কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি যে, আমাদের কী কী ঠিক করতে হবে। আজ আমরা বোর্ডে ভালো রান তুলতে পেরেছি। আমরা অনুভব করছিলাম যে পিচটা স্কোরবোর্ডে যেরকম দেখা যাচ্ছিল, ততটা সহজ ছিল না।”

ঢাকা/নাভিদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ