নোয়াখালীর সদর উপজেলায় বিএনপির এক নেতাকে কুপিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে যুবলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) প্রকাশ্যে দিনদুপুরে এ ঘটনা ঘটে।

হামলার শিকার বিএনপি নেতার নাম জাকির হোসেন আলো (৪৫)। তিনি উপজেলার নেয়াজপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এবং একই ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ধর্মপুর গ্রামের মনু বেপারী বাড়ির মনু মিয়ার ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার জেলা শহর থেকে বাড়ি ফিরছিলেন জাকির হোসেন। পথে উপজেলার নেয়াজপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের দেবীপুর ফিরিঙ্গি পোল এলাকায় যুবলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী তার পথরোধ করে। পরে জাকির হোসেনকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায় তারা। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।

নোয়াখালী সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জসীম বলেন, ‘‘যুবলীগ নেতা পিয়াস ও বাবুর নেতৃত্বে স্থানীয় যুবলীগের নেতাকর্মীরা এ হামলা চালিয়েছে। অবিলম্বে জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।’’

এ বিষয়ে জানতে যুবলীগ নেতা পিয়াস ও বাবুর মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের ব্যবহৃত নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়।

সুধারাম মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামরুল ইসলাম বলেন, ‘‘এ ঘটনায় মামলা দায়ের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।’’

ঢাকা/সুজন/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য বল গ র ন ত কর ম ব এনপ উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

সুনামগঞ্জে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু 

সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার হাওরে ধান আনতে গিয়ে বজ্রপাতে আবু আইয়ূব (১৫) নামে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) সন্ধ্যার আগে উপজেলার রফিনগর ইউনিয়নের সেচনী গ্রামের পাখনার হাওরে ঘটনাটি ঘটে।

মারা যাওয়া আবু আইয়ূব সিচনী গ্রামের মোহাম্মদ ইকবাল মিয়ার ছেলে।

আরো পড়ুন:

পঞ্চগড়ের সড়কে জিনেদিন জিদানের মৃত্যু

‘মুণ্ডুবিহীন লাশের পাশে পড়ে ছিল দুজন, পানি চাইলেও খাওয়ানোর আগে মৃত্যু’

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার সারাদিন পাখনার হাওরে ধান কাটেন আবু আইয়ুব। সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলে কাটা ধান নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। এসময় ঝড় বৃষ্টি শুরু হয়। বজ্রাপাতে মাটিতে পড়ে যান তিনি। পরে আহত অবস্থায় স্বজনরা তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানকার চিকিৎসকরা আবু আইয়ুবকে মৃত ঘোষণা করেন।

দিরাই থানার ওসি মুহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “হাওর থেকে ধান নিয়ে বাড়ি ফেরার সময় বজ্রপাতে একজনের মৃত্যুর খবর পেয়েছি। পুলিশ পাঠাচ্ছি।”

ঢাকা/মনোয়ার/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ