গুজরাটে আতশবাজি কারখানায় বিস্ফোরণে নিহত ১৮
Published: 2nd, April 2025 GMT
ভারতের গুজরাটে আতশবাজি কারখানায় বিস্ফোরণে কমপক্ষে ১৮ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অনেকে।
মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) গুজরাটের বনাসকাণ্ঠা জেলার ডীসা শহরে আতশবাজির কারখানায় বিস্ফোরণ হয়।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবরে বলা হয়েছে, তীব্র বিস্ফোরণের ফলে ভবনের একাংশ ভেঙে পড়ে।
বনাসকাণ্ঠা জেলার পুলিশ সুপার অক্ষয়রাজ মাকওয়ানা বলেন, "বিস্ফোরণের পর পরই স্থানীয় প্রশাসন উদ্ধার কাজ শুরু করে। ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে এখন পর্যন্ত ১৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।”
পুলিশ জানিয়েছে, গোডাউনের একাংশেই শ্রমিকরা তাদের পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন। বিস্ফোরণের সময়ও কারখানার শ্রমিকরা ছাড়াও তাদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। মারা যাওয়া চার শিশুর মধ্যে দুই জনের বয়স এক বছরেরও নিচে।
এ ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন মধ্য প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মোহন ইয়াদভ। নিহতের পরিবারের জন্য ২ লাখ টাকা ও আহতদের জন্য ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
ঢাকা/ইভা
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
নির্বাচনে প্রতিটি কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা চায় জামায়াত
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রত্যেক ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা চায় জামায়াতে ইসলামী। সিসি ক্যামেরা বসাতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সহযোগিতা চেয়েছে দলটি।
রোববার রাজধানীর মগবাজারে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ঢাকা নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার। এ সময় ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা বসানোর জন্য সহযোগিতা চাওয়া হয়।
চলতি মাসের শুরুতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদরদপ্তর ব্রাসেলসে সফর করেন জামায়াত আমির এবং নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের। এরই ধারাবাহিকতায় রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডা. তাহারে।
তিনি বলেন, ব্রাসেলস সফরে ইউরোপীয় ইউনিয়ন নেতারা বাংলাদেশের গণতন্ত্র, নারী অধিকার, সংখ্যালঘু এবং প্রধান রপ্তানি খাত গার্মেন্টস বিষয়ে জামায়াতের অবস্থান জানতে চেয়েছিল। জামায়াত তাদের স্পষ্ট ধারণা দিতে সক্ষম হয়েছে।
রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে ডা. তাহের বলেছেন, আগামী নির্বাচনে পর্যবেক্ষক ইইউকে অনুরোধ করেছে জামায়াত। প্রত্যেক ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপনে সহযোগিতা চেয়েছে। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য সৃষ্টি এবং এক ব্যক্তি যেন দু’বারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন- এসব বিষয়ে জামায়াতের অবস্থান জানানো হয়েছে।
নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে জামায়াত। রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে ডা. তাহের বলেছেন, কমিশনের সুপারিশে যৌনকর্মীদের পেশাকে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা হয়েছে। যা নারীর মর্যাদা ও অধিকারের প্রতি চরম আঘাত। ইইউ রাষ্ট্রদূত জামায়াতের এই অবস্থানের সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন। জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ৪৩ শতাংশই নারী। এ বিষয়কেও ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন।
বৈঠকে বাংলাদেশ ও ইউরোপের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারে আলোচনা হয়েছে বলে জামায়াতের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন- জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, নির্বাহী পরিষদ সদস্য মতিউর রহমান আকন্দ, আমিরের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মাহমুদুল হাসান।