চট্টগ্রামের রাউজানে জমি-সংক্রান্ত বিরোধের জেরে নুরুল আলম বকুল নামে এক প্রকৌশলীকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে সৎ-মা-ভাই-বোনের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার দিকে উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের তিতাগাজীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। 

নিহত যুবকের নাম নুরুল আলম বকুল (৪১)। বাবার নাম নুরুল ইসলাম। নুরুল পেশায় প্রকৌশলী এবং চট্টগ্রাম শহরে বসবাস করতেন। ঈদের ছুটিতে তিনি গ্রামের বাড়িতে এসেছিলেন।

স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, জায়গা-জমি নিয়ে নুরুলের সঙ্গে তার সৎমা ও সৎভাই-বোনের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে চট্টগ্রাম আদালতে মামলা চলমান। মঙ্গলবার বিষয়টি নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে তর্কবিতর্ক এবং একপর্যায়ে হাতাহাতি হয়।

নুরুলের ছোট ভাইয়ের স্ত্রী নাসরিন আক্তার লিজা অভিযোগ করেন, ঝগড়ার একপর্যায়ে নুরুলকে তার সৎভাই নাজিম উদ্দিন ও মো.

দিদার দা দিয়ে কোপাতে থাকে। এ সময় সৎবোন মুন্নি এবং সৎমা সাহেদা বেগম তাকে লাঠি দিয়ে পেটাতে থাকে। মাথায় গুরুতর আঘাত পাওয়া নুরুলকে পরে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ‘ভাই, মা ও বোনের দায়ের কোপ ও লাঠির আঘাতে একজনের মৃত্যুর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসেছি। হত্যায় ব্যবহৃত দা, কুড়াল, লাঠিসোঁটা ও কিছু আলামত উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: হত য

এছাড়াও পড়ুন:

টিকটকে বিরোধ: যশোর থেকে কালীগঞ্জে গিয়ে ২ কিশোরকে ছুরিকাঘাত 

টিকটকে বিরোধের জেরে যশোর থেকে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে গিয়ে দুই কিশোরকে ছুরিকাঘাতে জখম করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায়  রিয়াজ হোসেন ও জিহাদ নামে দুইজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন এলাকাবাসী। 

বুধবার (২৩ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টার দিকে শহরের মোবারকগঞ্জ চিনিকল স্কুল মাঠে ঘটনাটি ঘটে। কালীগঞ্জ থানার ওসি শহিদুল ইসলাম হাওলাদার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

আহতরা হলেন- কালীগঞ্জ পৌরসভার বলিদাপাড়া এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে ইফতেখার আনোয়ার প্রেম (১৫) ও তার বন্ধু মোবারকগঞ্জ চিনিকলের সাবেক ব্যবস্থাপক (অর্থ ও প্রশাসন) মাসুদুর রহমানের ছেলে নাজমুস সাকিব হিমেল (১৫)। তারা এবার এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছেন। 

আরো পড়ুন:

সালিশে দাওয়াত না দেওয়ায় হামলার অভিযোগ যুবদল নেতার বিরুদ্ধে

নড়াইলে প্রতিপক্ষের হামলায় বিএনপি নেতার হাত বিচ্ছিন্ন

আটক রিয়াজ ওরফে ট্যাটু রিয়াজ যশোর পুলিশ লাইন এলাকার নান্নু মিয়ার ছেলে। অপর জনের নাম জিহাদ। ঘটনার সঙ্গে সম্পক্ত না থাকায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।   

এলাকাবাসী জানান, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টিকটকে কালীগঞ্জের হিমেল ও যশোরের রিয়াজ একে অপরকে হুমকি দিতেন। এরই জেরে যশোর থেকে রিয়াজ ও তার এক বন্ধু কালীগঞ্জের মোবারকগঞ্জ চিনিকল কলোনীতে যান। তারা এক আত্মীয়ের বাড়িতে ওঠেন। পরে তারা মোবারকগঞ্জ চিনিকল স্কুল মাঠে যান।

সেখানে রিয়াজ ও হিমেলের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এরই একপর্যায়ে পকেট থেকে ছুরি বের করে হিমেলকে জখম করেন রিয়াজ। ইফতেখার আনোয়ার প্রেম ঠেকাতে গেলে তাকেও ছুরিকাঘাত করা হয়। তাদের চিৎকারে এলাকার লোকজন রিয়াজকে ছুরিসহ আটক করে পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে নিজেদের হেফাজতে নেয়। 

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হৃদয় হোসেন বলেন, ‍“আজ বিকেলে ছোটভাইদের সঙ্গে স্কুল মাঠে বসে ছিলাম। এসময় হিমেল সেখানে আসে। যশোর থেকে আসা দুই যুবক এসে হিমেলের সঙ্গে কথা বলতে শুরু করেন। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। ঠেকিয়ে দিলে যশোর থেকে আসা যুবকরা মিলের মধ্যে এক আত্মীয়ের বাসায় যায়। এরপর আবার ফিরে এসে হিমেলকে বিভিন্নভাবে হুমকি দেন রিয়াজ। তখন তাদের মধ্যে মারামারি শুরু হয়। একপর্যায়ে রিয়াজ পকেট থেকে ছুরি বের করে চালাতে থাকেন। দেখি, হিমেল ও প্রেমের পায়ে ছুরির আঘাত লেগেছে। তাদের পা দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে। পরে তাদের কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান স্থানীয়রা।”

কালীগঞ্জ থানার ওসি শহিদুল ইসলাম হাওলাদার বলেন, “আটক রিয়াজের কাছ থেকে একটি চায়না ছুরি জব্দ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত না থাকায় আটক অপর যুবককে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।”

ঢাকা/শাহরিয়ার/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • স্ত্রীকে হত্যার পর সেপটিক ট্যাংকে লাশ ফেলে ইমামতি করতে যান মোমিন
  • মায়ের সেবাযত্ন না করায় স্ত্রীকে হত্যার পর লাশ ফেলেন সেপটিক ট্যাংকে
  • বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন পড়তে এসেছ, এলাকার কলেজে পড়লেই তো পারতে: শিক্ষার্থীকে রেজিস্ট্রার
  • জাহিদুল হত্যাকাণ্ডের সময় উপস্থিত দুই নারীর অবস্থান জানতে চান আদালত
  • টিকটকে বিরোধ: যশোর থেকে কালীগঞ্জে গিয়ে ২ কিশোরকে ছুরিকাঘাত 
  • জামালপুরে ভয় দেখিয়ে দুই শিশুকে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ