ভারতের গুজরাটের একটি আতশবাজির কারখানা ও গোডাউনে বিস্ফোরণের ঘটনায় অন্তত ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে তার ফলে ভবনের একাংশ ভেঙে পড়ে। সূত্র- বিবিসি বাংলা

গুজরাটের পুলিশ বলছে, মঙ্গলবার সকালে গুজরাটের বনাসকাণ্ঠা জেলার ডীসা শহরে আতশবাজির কারখানায় হঠাৎই বিস্ফোরণ হয়।

বনাসকাণ্ঠা জেলার পুলিশ সুপার অক্ষয়রাজ মাকওয়ানা বলেন, খবর পাওয়া মাত্রই স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে উদ্ধারের কাজ শুরু করা হয়। ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে এখনও পর্যন্ত ১৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, যে সময় ঘটনাটি ঘটে সে সময় ঘটনাস্থলে কারখানার শ্রমিকেরা ছাড়াও তাদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

গোডাউনের একাংশেই শ্রমিকেরা তাদের পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন। বিস্ফোরণে ভবনের একাংশ ভেঙে পড়ায় ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে যান উপস্থিতদের অনেকেই।

পুলিশের ওই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ভবনের একটি স্ল্যাব ধসে পড়ায় প্রাণ হারিয়েছেন বহু মানুষ। নিহতরা মধ্য প্রদেশের বাসিন্দা ছিলেন।

তিনি বলেন, এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। আমরা তদন্ত করছি, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ ঘটনায় শোক জানিয়েছেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভুপেন্দ্র প্যাটেল। নিহতের পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণেরও ঘোষণা করেছেন তিনি। 

বনাসকাণ্ঠা জেলার কালেক্টর মিহির প্যাটেল বলেন, তীব্র বিস্ফোরণে কারখানার আরসিসি স্ল্যাব ধসে পড়েছে। জেসিবি মেশিনের মাধ্যমে ধ্বংসাবশেষ সরানোর কাজ শুরু হয়।

প্রাথমিকভাবে খবর পাওয়া গেছে, বাজি তৈরির কাজ চলার সময়ই বিস্ফোরণ ঘটে।

স্থানীয়রা বাসিন্দারা জানিয়েছেন, যে সময় ঘটনাটি ঘটে সেই সময় কারখানায় কাজ হচ্ছিল।

হঠাৎ বিকট আওয়াজ শুনতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। মুহূর্তে ছোটাছুটি শুরু হয়ে যায়। চারিদিক থেকে চিৎকার শোনা যাচ্ছিল।

একজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, যে সময় ঘটনাটি ঘটে তখন ভেতরে কাজ চলছিল। কমপক্ষে ৩৫ জন ছিলেন সেখানে। ধ্বংসস্তূপের নিচে অনেকে আটকে থাকতে পারেন বলে আশঙ্কা করছি।

তবে ওই কারখানায় ঘটনার সময় ঠিক কতজন উপস্থিত ছিলেন, সে বিষয়ে নিশ্চিতভাবে কিছু বলতে পারেননি কর্মকর্তারা।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ন হত সময় ঘটন য় ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

ঈদের রাতে আতশবাজি ফোটানো নিয়ে সংঘর্ষে যুবক নিহত

ঈদের রাতে আতশবাজি ফাটানোকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষে এক যুবক নিহত হয়েছেন। সোমবার (৩১ মার্চ) রাত ৮টার দিকে যশোর সদর উপজেলার নওয়াপাড়া ইউনিয়নের পাগলাদাহ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত অনিক হাসান (২২) পাগলাদাহ গ্রামের হৃদয় হোসেনের ছেলে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো চারজন। এর মধ্যে, গুরুতর আহতাবস্থায় একজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

আহতরা হলেন- একই এলাকার বহর আলীর ছেলে আরিফ হোসেন (১৭), লুৎফর মোল্লা ছেলে রিপন হোসেন (৪০), তার ছেলে আপন (১৭) ও সাইদ হোসেনের ছেলে শামীম হোসেন (১৭)।

যশোর কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল হাসনাত বলেন, ‘‘সোমবার সন্ধ্যায় পাগলাদহ এলাকায় শিশুরা আতশবাজি ফোটাচ্ছিল। এসময় এক শিশুর শরীরে বাজি পড়াকে কেন্দ্র করে বিবাদে জড়ায় দুই পক্ষ। একপর্যায়ে দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও মারামারি হয়। এতে পাঁচজন আহত হন। দ্রুত তাদের উদ্ধার করে যশোর সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অনিক হাসান মারা যান। আহতদের মধ্যে একজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’’

ঢাকা/প্রিয়ব্রত/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পশ্চিমবঙ্গ-গুজরাটে আতশবাজি কারখানায় বিস্ফোরণে নিহত ২১
  • ঈদের রাতে আতশবাজি ফোটানো নিয়ে সংঘর্ষে যুবক নিহত
  • পশ্চিমবঙ্গে আতশবাজির কারখানায় বিস্ফোরণ, শিশুসহ নিহত ৭
  • আতশবাজির সময় বিস্ফোরণে শিশুর মৃত্যু, দুজনের হাত-চোখ ক্ষতিগ্রস্ত
  • আতশবাজি ফোটাতে গিয়ে শিক্ষার্থীর মৃত্যু, দুই কিশোরের হাত-চোখ ক্ষতিগ্রস্ত
  • শ্বাসনালিতে আতশবাজির আগুন, মুহূর্তে প্রাণ গেল শিশুর