মিয়ানমারে গেছে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী দল
Published: 1st, April 2025 GMT
ভূমিকম্প-পরবর্তী অনুসন্ধান ও উদ্ধারকাজে সহায়তার জন্য ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের একটি উদ্ধারকারী দলকে মিয়ানমারে পাঠানো হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী দলে ১০ জন সদস্য আছেন। বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের পাঠানো সম্মিলিত সাহায্যকারী দলের সঙ্গে এই উদ্ধারকারী দলটি বিশেষ উড়োজাহাজে আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টা ৩৫ মিনিটে ঢাকা ত্যাগ করে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ঢাকা বিভাগের উপপরিচালক মো.
প্রসঙ্গত, এর আগেও ২০২৩ সালে তুরস্কে ভূমিকম্প-পরবর্তী উদ্ধারকাজে সহায়তার জন্য ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স থেকে একটি উদ্ধারকারী দল পাঠানো হয়েছিল।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বিভাগের নাম পরিবর্তনের দাবিতে ইবির প্রশাসন ভবনে তালা
বিভাগের নাম পরিবর্তন ও সেশনজট নিরসনের দাবিতে প্রশাসন ভবনে তালা দিয়ে আন্দোলন করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) জিওগ্রাফি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট বিভাগের একদল শিক্ষার্থী।
এদিকে বিভাগের নাম পরিবর্তন না করার দাবিতে প্রশাসন ভবনের অন্য অংশে অবস্থান নেন বিভাগটির আরেকদল শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে তারা এ অবরোধ কর্মসূচি শুরু করেন। দীর্ঘ ৩ ঘণ্টা পরে দুপুর ২টার দিকে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে আলোচনা হয়। আলোচনায় পরবর্তী সিন্ডিকেট সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আশ্বাস দিলে অবরোধ প্রত্যাহার করেন শিক্ষার্থীরা।
আরো পড়ুন:
ছাত্রশিবিরের শিক্ষাবৃত্তি পেলেন ইবির অর্ধশত শিক্ষার্থী
ইবি অর্থনীতি ক্লাবের কমিটি গঠন
শিক্ষার্থীরা বলেন, গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর বিভাগে দাবি উত্থাপন করা থেকে শুরু করে দীর্ঘ ৮ মাস যাবত আমরা দাবি আদায়ে আন্দোলন করে যাচ্ছি। বিভাগের প্রসেস অনুযায়ী আবেদন প্রেরণ থেকে শুরু করে প্রশাসনিক প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে আমরা নিয়ম মেনেই এ আন্দোলন শুরু করি। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলে আমাদের নাম পরিবর্তনের বিষয়টি উত্থাপিত হলে উপাচার্যের একটি এক্সপার্ট কমিটি গঠন করেন।
সেই একডেমিক কাউন্সিল পরবর্তী সিন্ডিকেটে আমাদের নাম পরিবর্তন সংক্রান্ত কোনো সিদ্ধান্ত প্রশাসন হতে আসেনি। আমরা প্রশাসনের তালবাহানা ছাড়া এখন পর্যন্ত কিছুই দেখতে পাইনি। আমরা নাম পরিবর্তন সংক্রান্ত কোনো আপডেট পাইনি এবং এক্সপার্ট কমিটির রিপোর্টের সিদ্ধান্তও আমরা পাইনি। আমাদের আন্দোলনরত শিক্ষার্থী এ প্রহসনের কড়া জবাব দিতে আজ প্রশাসন ভবনে তালা দিতে বাধ্য হয়েছে।
শিক্ষার্থীরা আরো বলেন, আমরা আজকে বিভাগের নাম পরিবর্তনের জন্যে গঠিত এক্সপার্ট কমিটির রিপোর্ট সাবমিট এবং নাম পরিবর্তন করে এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি করার চূড়ান্ত আপডেট নিয়েই এখান থেকে অবরোধ বন্ধ করবো।
তারা আরো বলেন, আমাদের বিভাগের পরীক্ষা কমিটির সদস্যদের মধ্যে মতনৈক্য ও ক্লাস পরীক্ষা নিতে স্বেচ্ছাচারিতা আমাদেরকে একাডেমিক জটে ফেলে দিচ্ছে। যেখানে আমরা চাচ্ছি দ্রুততম সময়ের মধ্যে আমাদের পরীক্ষা শেষ করতে সেখানে আমাদের পরীক্ষা কমিটির দুইজন সদস্য শিক্ষক মিটিংয়ে বসে সিদ্ধান্ত দিতে রাজি নন। আমাদের দাবি হচ্ছে আজকের মধ্যে বিভাগের পূর্বের পরীক্ষা কমিটি তাৎক্ষনিকভাবে বাতিল করে নতুন কমিটি দিয়ে আমাদের বিভাগের একাডেমিক কার্যক্রম সচল করা হোক।
এদিকে, বিভাগের নাম পরিবর্তন না করার দাবিতে প্রশাসন ভবনে অবস্থান গ্রহণ করেন বিভাগটির আরেকাংশের শিক্ষার্থীরা। তবে বিভাগের শিক্ষকরা তাদের বুঝালে তারা অবস্থান ছেড়ে চলে যায়।
তাদের দাবি হলো- বিভাগের পূর্ব নাম ছিল এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড জিওগ্রাফি। পরে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে মিলেয়ে বিভাগের নাম জিওগ্রাফি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট করার দাবি জানিয়েছি। সকল চাকরিতে জিওগ্রাফির গুরুত্ব একটু বেশি। আর জিওগ্রাফি মূল সাবজেক্ট। তাই আমরা কখনো মূল সাবজেক্ট হারাতে চাই না। তাই আমরা চাই আমাদের বিভাগের যেই নাম বর্তমানে আছে, সেটাই নামই বহাল থাকবে।
এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, “আমরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেছি। এ বিষয়ে গঠিত কমিটি আগামী মাসের ২০ তারিখের মধ্যে রিপোর্ট পেশ করবে। সেই অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
এর আগে, একই দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা দিয়ে বিক্ষোভ করেন বিভাগটির শিক্ষার্থীরা। পরে বিভাগীয় সভাপতি ও প্রক্টরিয়াল বডির আশ্বাসে তালা খুলে দেয় শিক্ষার্থীরা।
পরবর্তীতে এ বছরের ২৬ জানুয়ারি আবারো প্রশাসন ভবনের সামনে একই দাবিতে মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও বিভাগের নাম পরিবর্তন না করার দাবিতেও মানববন্ধন ও আন্দোলন করেছে বিভাগের আরেকদল শিক্ষার্থীরা।
ঢাকা/তানিম/মেহেদী