জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘ঈদুল ফিতরের দিন কয়েকটি শহীদ পরিবারের বাড়িতে গিয়ে তাঁদের স্বজনদের খোঁজ-খবর নিয়েছি। জানতে চেয়েছি, জাতির কাছে তাঁদের প্রত্যাশা কী? তাঁরা খুনিদের বিচার চেয়েছেন, আর তাঁদের স্বজনেরা যে দেশের জন্য জীবনদান করেছেন, সেই দেশ চেয়েছেন। শহীদ পরিবারের প্রত্যাশা অনুযায়ী, দুর্নীতি-দুঃশাসনমুক্ত দেশ গঠনে আমাদের লড়াই অব্যাহত থাকবে। আমরা মানবিক বাংলাদেশ চাই।’

মঙ্গলবার বিকেলে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া পৌর শহরের ডাকবাংলো মাঠে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জামায়াতে ইসলামীর কুলাউড়া উপজেলা কমিটি এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। উপজেলার ভাটেরা ইউনিয়নে শফিকুর রহমানের বাড়ি।

আওয়ামী লীগ সরকারের নানা অপকর্মের কথা উল্লেখ করে শফিকুর রহমান বলেন, তারা ২৬ লাখ কোটি টাকা দেশ থেকে লুট করে বিদেশে সরিয়ে নিয়ে গেছে। তারা নিজেদের দেশের মালিক আর জনগণকে প্রজা মনে করত।

অতীতের প্রতিকূল রাজনৈতিক পরিবেশের কথা উল্লেখ করে জামায়াতে ইসলামীর আমির বলেন, ‘দুঃশাসন-জুলুমের কারণে গত ২৪ বছর এখানে এসে সালাম দিতে পারিনি। আওয়ামী লীগ সরকার আমাকে যুদ্ধাপরাধের মামলায় জড়াতে নানাভাবে চেষ্টা করেছিল। কেউ মিথ্যা অভিযোগ, সাক্ষ্য দিতে চাননি। আল্লাহ রাব্বুল আল আমিন সে চেষ্টা ব্যর্থ করে দেন।’

একাত্তর সালে নিজের বয়স সাড়ে ১২ বছর ছিল উল্লেখ করে শফিকুর রহমান বলেন, ‘এ বয়সে কি মানুষ খুন করা যায়? এটা বিশ্বাসযোগ্য? তখন জামায়াতে ইসলামী বা ছাত্রশিবিরের রাজনীতি করতাম না। অন্য একটি সংগঠনের খুদে সমর্থক ছিলাম। এখন এ সংগঠনের নাম বলতেও লজ্জা লাগে।’

সুনীতি-সুবিচারের বাংলাদেশ গঠনে সবার দোয়া, ভালোবাসা, পরামর্শ ও সমালোচনা প্রত্যাশা করেন করেন জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান। বিকেল চারটার দিকে কুলাউড়া পৌর শহরের ডাকবাংলো মাঠে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির আবদুল মুন্তাজিম। সেক্রেটারি বেলাল আহমদ চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সংগঠনটির সিলেট মহানগরের আমির মো.

ফখরুল ইসলাম, সিলেট জেলা আমির মাওলানা হাবিবুর রহমান, খেলাফত আন্দোলনের মৌলভীবাজার জেলা সভাপতি মাওলানা আবদুল কুদ্দছ, মৌলভীবাজার জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মো. ইয়ামির আলী, ভারপ্রাপ্ত আমির মাওলানা আবদুর রহমান প্রমুখ।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ ন ইসল ম র র আম র

এছাড়াও পড়ুন:

এক বছর আগে সুইমিংপুলে ঢাবি শিক্ষার্থীর মৃত্যুর তদন্ত দাবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুইমিংপুলে শিক্ষার্থী সোয়াদ হকের মৃত্যুর ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছে শাখা গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ। গত বছরের ২২ এপ্রিল সোয়াদ হক মারা গিয়েছিলেন।

সোয়াদের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার বাদ আসর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে দোয়ার আয়োজন করা হয়। এরপর তাঁর মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিতের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি দেয় গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ। সোয়াদ হক বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন।

স্মারকলিপিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ ৫টি দাবি জানিয়েছে। দাবিগুলো হলো সোহাদের মৃত্যুর যথাযথ কারণ তদন্তপূর্বক নির্ণয় করা। সুইমিংপুলের সংস্কারকাজ দ্রুত শেষ করে তা পুনরায় চালু করা। সাঁতারসহ শরীরচর্চার বিভিন্ন বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আরও আন্তরিক হওয়া।

সুইমিংপুল এলাকার নিরাপত্তা জোরদার করা এবং পর্যাপ্ত ইকুইপমেন্ট সরবরাহ করা ও প্রশিক্ষক নিয়োগ দেওয়া।

দোয়া মাহফিলে দর্শন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।  

আরও পড়ুনঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুইমিংপুলে শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত কমিটি২৩ এপ্রিল ২০২৪

সম্পর্কিত নিবন্ধ