ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন বলেছেন, খালেদা জিয়ার নাম কেউ অপচেষ্টা করে মুছে দিতে পারেনি। তিনি বলেন, সুবর্ণচর উপজেলার নামকরণ করেছিলেন খালেদা জিয়া। একটি গোষ্ঠী তাঁর নাম মুছে ফেলার অপচেষ্টা করেছে। কিন্তু তারা তা পারেনি।

আজ মঙ্গলবার নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় নাগরিক সমাজের আয়োজনে ‘আলোকিত কুইজ অনলাইন প্রতিযোগিতা-২০২৫’–এর সনদপত্র ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথাগুলো বলেন নাছির উদ্দীন।

স্থানীয় নেতা–কর্মীদের উদ্দেশে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এ ধরনের প্রোগ্রাম আয়োজন করলে শিক্ষার্থীরা উৎসাহিত হয়। মাদক গ্রহণসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকতে যুবকেরা উৎসাহিত হয়। যেকোনো আন্দোলন–সংগ্রামের স্বার্থে, সুবর্ণচরের উন্নয়নের স্বার্থে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। কোনো ধরনের বিভক্তি আমি চাই না।’

নাছির উদ্দীন আরও বলেন, ‘২০১৮ সালের নির্বাচনে ধানের শীষে ভোটদানকে কেন্দ্র করে আমাদের বোন সুবর্ণচরের পারুলকে আওয়ামী লীগের গুন্ডারা গণধর্ষণ করেছে। এ ঘটনায় আমরা বিচার চেয়েও এখনো যথাযথ বিচার পাইনি। আমরা আজকের এ মঞ্চ থেকে বোন পারুল ধর্ষণের বিচারের দাবি জানাই।’

আলোকিত প্রজন্ম কুইজ প্রতিযোগিতা পরিচালনা কমিটির সদস্যসচিব এম আবদুল্লাহর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন নোয়াখালী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহবুব আলমগীর, জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এ বি এম জাকারিয়া, চর জব্বর ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ জামশেদুর রহমান, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ও অনলাইন কুইজ প্রতিযোগিতার পরীক্ষানিয়ন্ত্রক আবদুল আলিম, সুবর্ণচর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এনায়েত উল্যাহ, নোয়াখালী জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসাধারণ সম্পাদক সালাহ উদ্দিন প্রমুখ।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব এনপ র

এছাড়াও পড়ুন:

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে সরকার একা সিদ্ধান্ত নিতে পারে না: তথ্য উপদেষ্টা 

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে পরামর্শ ছাড়া, দেশি-বিদেশি যারা আমাদের সহযোগী ও স্টেকহোল্ডার রয়েছে, তাদের পরামর্শ ছাড়া এ বিষয়ে সরকার একা সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। জনগণ বারবার বলছে, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করতে। আমরা মনে করি, সরকার সবার সঙ্গে পরামর্শ-পর্যালোচনা করেই এ সিদ্ধান্ত নেবে।

বুধবার লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার ইছাপুর ইউনিয়নের নারায়ণপুর গ্রামের পূর্ব নারায়ণপুর ইসলামিয়া জুনিয়র দাখিল মাদ্রাসা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে বাড়িতে পৌঁছে মা-বাবাসহ স্বজনদের সঙ্গে দেখা করার পর দাদা-দাদির কবর জিয়ারত করেন।

নির্বাচনের জন্য ডিসেম্বর এবং জুন দুটি টাইমলাইন আছে। এই টাইমলাইনের ভেতরেই  নির্বাচন হয়ে যাবে বলে জানান তথ্য উপদেষ্টা। তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে ২০২৬-এর জুনের মধ্যে নির্বাচন দেবেন। এটি হচ্ছে সংস্কার কতটুকু হবে, কীভাবে হবে, তার ওপর নির্ভর করে। এর ভেতরেই নির্বাচন আমরা সীমিত রাখি। এর বেশি উচ্চাশা সরকারের ভেতর থেকেও নেই। আর এটা নিয়ে ধোঁয়াশারও কিছু নেই যে, কবে নির্বাচন হবে। নির্বাচন দিবে কি, দিবে না। অবশ্যই নির্বাচন হবে। রাজনৈতিক দলগুলো প্রস্তুতি নিক।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন মাহফুজ আলমের বাবা ও ইছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুর রহমান বাচ্চু মোল্লা, জাতীয় নাগরিক কমিটির (এনসিপি) সংগঠক হামজা মাহবুব, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের লক্ষ্মীপুর জেলা কমিটির আহ্বায়ক আরমান হোসেন, মুখপাত্র বায়েজীদ হোসেন ও মুখ্য সংগঠক সাইফুল ইসলাম মুরাদ।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ