বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে বাসের ধাক্কা, প্রাণ গেল ৩ জনের
Published: 1st, April 2025 GMT
কুমিল্লায় যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খুঁটির সঙ্গে ধাক্কা লেগে দুমড়ে মুচড়ে যায়। এ ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও ৩০ জন। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের চান্দিনা পালকি সিনেমা হলের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানায়, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা কুমিল্লাগামী তিশা প্লাস নামের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে থাকা পল্লি বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে বাসটি দুমড়ে মুচড়ে গিয়ে ঘটনাস্থলেই তিনজন নিহত হন। এ সময় নারী শিশুসহ আহত হন আরও অন্তত ৩০ জন। খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ আহতদের উদ্ধার করে চান্দিনা, কুমিল্লা ও ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠায়।
চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা.
ইলিয়েটগঞ্জ হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক মনিরুল ইসলাম বলেন, নিহতদের পরিচয় শনাক্ত করার করার পাশাপাশি আমরা আহতদের চিকিৎসার বিষয়টি গুরুত্ব দিচ্ছি। এছাড়াও সড়কে যেন কোনো যানজট না হয়; সেজন্য রেকার দিয়ে দুর্ঘটনাকবলিত বাসটি উদ্ধার করা হয়েছে। এতে সড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক আছে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ক্রাচ হাতে, হুইলচেয়ারে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহতদের মানববন্ধন
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিরা সুচিকিৎসার দাবিতে ঢাকার জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের (পঙ্গু হাসপাতাল) সামনে দেড় ঘণ্টা মানববন্ধন করেছেন।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা থেকে বেলা দেড়টা পর্যন্ত শতাধিক আহত ব্যক্তি এই মানববন্ধনে অংশ নেন। তাঁরা বর্তমানে পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ওই মানববন্ধনে পাশের চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের চিকিৎসাধীন ব্যক্তিরাও অংশ নেন।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, পঙ্গু হাসপাতালে বিভিন্ন তলায় চিকিৎসাধীন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে গুলিতে আহত ব্যক্তিরা হুইল চেয়ার ও ক্রাচে ভর করে হাসপাতালের প্রধান ফটকের সামনে জড়ো হন। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে পাশের জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিরা এই মানববন্ধনে যোগ দেন।
মানববন্ধনে আহত ব্যক্তিরা বলেন, গুলিতে আহত হয়ে তাঁরা মাসের পর মাস পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। কিন্তু তাঁরা ঠিকমতো চিকিৎসা পাচ্ছেন না। সুচিকিৎসার অভাবে তাঁরা সুস্থ হচ্ছেন না। সুচিকিৎসা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা আগামী শনিবার থেকে প্রতিদিন পঙ্গু হাসপাতালের বিভিন্ন কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া মাদ্রাসা ছাত্র মো. রাফি হোসাইন বলেন, ১৮ জুলাই শ্যামলী এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর করা গুলির স্প্লিন্টার তাঁর ডান পায়ে লাগে। পরে ৫ আগস্ট সরকার পতনের আন্দোলনে মোহাম্মদপুরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর করা গুলি তাঁর দু হাতে লাগে। তাঁর দুই হাতেই ২৫০ স্প্লিন্টার বিদ্ধ হয়েছে। এরপর থেকে তিনি পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। স্প্লিন্টারের অসহনীয় যন্ত্রণা নিয়ে তাঁর দিন কাটছে। চিকিৎসকেরা ব্যথানাশক ট্যাবলেট দিয়ে যাচ্ছেন। তিনি আর কত দিন ব্যথানাশক ওষুধ খাবেন-এই প্রশ্ন রাখেন।
রাফি বলেন, সুচিকিৎসার দাবিতে আগামী শনিবার থেকে তাঁরা প্রতিদিন বিভিন্ন কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন।
এ ব্যাপারে পঙ্গু হাসপাতালের পরিচালক মো. আবুল কেনান আজ দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, তিনি ব্যস্ত আছেন। পরে কথা বলবেন।