“মাদক ব্যবসায়ীরা রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের টাকা দিয়ে মাদক ব্যবসা করে”
Published: 1st, April 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রাইজদিয়া গ্রামে বেড়েছে ডাকাত ও চোর, মাদক ব্যবসায়ীদের আনাগোনা। গ্রামবাসী অতিষ্ঠ হয়ে মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) বিকালে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্কুলের মাঠে মাদক, চুরি ও ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে গ্রাম পঞ্চায়েতের উদ্যোগে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এলাকাবাসীর দাবি, চুরি,ডাকাতি ও মাদক ব্যবসায় রাইজদিয়া গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দারা জড়িত রয়েছে। মাদক ব্যবসায়ীদের একটি মহল স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা কর্মীদের টাকা দিয়ে এই মাদক ব্যবসা করে।
এই অর্থ পেয়ে মাদক ব্যবসায়ীদের মাদক বিক্রয় সহযোগিতা করছেন বলে অভিযোগ উঠে। মাদক ব্যবসায়ীদের নির্মূল করা না গেলে এলাকায় চুরি-ডাকাতি বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
গ্রামের সুশীল সমাজের অভিযোগ, মাদক নির্মূলে পারিবারিক সচেতনতা জরুরি। রাইজদিয়া গ্রামে সর্বত্রই মাদকের ছড়াছড়ি। হাত বাড়ালেই সহজে মিলছে বিভিন্ন ধরণের মাদক। এর ফলে দিন দিন আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে মাদকসেবী ও মাদক কারবারির সংখ্যা।
এলাকার তরুণ সমাজ ক্রমেই ধাবিত হচ্ছে নেশার জগতের দিকে। নেশার টাকা সংগ্রহ করতে সমাজে বৃদ্ধি পাচ্ছে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধ প্রবণতা।
সভায় রাইজদিয়া গ্রামের স্থানীয় এলাকাবাসী মাদক নির্মূলে সবাই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়। মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়। মাদক ব্যবসায়ী এবং যারা মাদক গ্রহণ করে তাদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে মাদক নির্মূল করতে এলাকাবাসী মতামত প্রদান করেন।
প্রশাসনের কাছে গ্রামবাসী এই মহলটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স ন রগ ও ন র য়ণগঞ জ ছ নত ই অপর ধ র ইজদ য়
এছাড়াও পড়ুন:
‘অবৈধ অভিবাসন ও মানবপাচার দমনে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করবে ইতালি’
অবৈধ অভিবাসন ও মানবপাচার প্রতিরোধ এবং আন্তঃদেশীয় অপরাধ দমনসহ বাংলাদেশ পুলিশের দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ইতালি সহায়তা করবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিজ কার্যালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত ইতালির রাষ্ট্রদূত আন্তোনিও আলেসান্দ্রোর সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা জানান।
সাক্ষাতে আসন্ন ৫-৬ মে ইতালির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাতেও পিয়ান্তেদোসির বাংলাদেশ সফর, অবৈধ অভিবাসন ও মানবপাচার প্রতিরোধ, নিরাপত্তা খাতে পারস্পরিক সহায়তা; পুলিশ ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে উন্নত প্রশিক্ষণ প্রদান এবং জনশৃঙ্খলা রক্ষা ও আন্তঃদেশীয় অপরাধ দমনে পুলিশের দক্ষতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকের শুরুতে রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “ইতালি বাংলাদেশের পরীক্ষিত বন্ধু।” তিনি উল্লেখ করেন, ইতালিতে প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার বাংলাদেশি দক্ষ কর্মী কর্মরত আছেন, যারা রেমিট্যান্স প্রেরণের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন। উপদেষ্টা আশা প্রকাশ করেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরের মাধ্যমে এই সংখ্যাটি আরো বাড়বে এবং দুদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো দৃঢ় হবে।
রাষ্ট্রদূত জানান, সফরকালে ইতালির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এবং আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক ও প্রবাসী কল্যাণ এবং বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
এ সময় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, ৫ মে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সম্মানে ‘গার্ড অব অনার’ প্রদান করা হবে এবং একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এতে উভয় দেশের সম্মতিক্রমে অবৈধ অভিবাসন রোধ, আন্তঃদেশীয় অপরাধ দমন এবং পুলিশ বিভাগের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা নিয়ে ঘোষণা, সমঝোতা স্মারক বা চুক্তি স্বাক্ষর হতে পারে।
তিনি আরো বলেন, “বাংলাদেশ সব সময় আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে বৈধ চ্যানেলে জনশক্তি রপ্তানিতে আগ্রহী। আমরা অবৈধ অভিবাসনের বিপক্ষে এবং যারা দালালের মাধ্যমে বিদেশে যাওয়ার চেষ্টা করে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (নিরাপত্তা ও বহিরাগমন) মো. শামীম খান, জননিরাপত্তা বিভাগের যুগ্মসচিব (রাজনৈতিক-১) মো. জসীম উদ্দিন খান এবং ঢাকাস্থ ইতালি দূতাবাসের অভিবাসন সংযুক্ত কর্মকর্তা জিউসেপ্পে দি জিওভান্নি উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এনএইচ