জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রায় আট মাস পর প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে দেখা গেল আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদকে।

স্থানীয় সময় রবিবার লন্ডনে একটি ঈদের জামাতে নামাজ আদায় করতে দেখা যায় হাসান মাহমুদকে। লন্ডনের গ্যাংসহিল এলাকার আল-কালাম মসজিদে ঈদের নামাজ শেষে অনেকের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন তিনি।

৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আর প্রকাশ্যে দেখা যায়নি আলোচিত নেতা হাছান মাহমুদকে। তিনি দেশে নেই— এমন গুঞ্জন ছিল। অনেকে বলতেন, তিনি বেলজিয়ামে চলে গেছেন। কারণ, সেদেশটির নাগরিক তিনি। তবে এই আট মাসে কোথাও তার উপস্থিতি কেউ নিশ্চিত করতে পারেনি।

এবার লন্ডনে হাসান মাহমুদের উপস্থিতি ধরা পড়ল ছবিতে। ঈদের নামাজ শেষে পরিচিতদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন তিনি। সেখানে তার উপস্থিতির কয়েকটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছে।

ছড়িয়ে পড়া দুটি ছবির একটিতে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ফারুকের সঙ্গে কোলাকুলি করতে দেখা যায় হাছান মাহমুদকে। আরেকটি ছবিতে হাছান মাহমুদের সঙ্গে সাংবাদিক সৈয়দ আনাস পাশা, আনাস পাশার ছেলে ও আইটিভির সাংবাদিক মাহাথির পাশাকে দেখা যায়। আরো দুই কিশোরকে ওই ছবিতে দেখা যায়।

সাংবাদিক সৈয়দ আনাস পাশা প্রবাসী সাংবাদিক হিসেবে বাংলাদেশে বেশ পরিচিত। লন্ডনে বাঙালিদের মধ্যে তার নাম-যশ রয়েছে। গণমাধ্যমকে তিনি বলেছেন, ছবিতে হাছান মাহমুদের ডান পাশের দুজনের একজন খুব সম্ভবত ওনার ছেলে এবং অপরজন ভাতিজা।

রবিবার লন্ডনে ঈদের নামাজের পর যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ফারুকের সঙ্গে কোলাকুলি করেন হাছান মাহমুদ। ছবি: সংগৃহীত

আনাস পাশার তথ্য অনুযায়ী, হাছান মাহমুদ বেলজিয়ামেই থাকেন। লন্ডনে তার ছেলে পড়ালেখা করেন। ছেলের সঙ্গে ঈদ করতে তিনি লন্ডনে আসেন।

সৈয়দ আনাস পাশা বলেন, “যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ফারুক সম্পর্কে আমার চাচা এবং লন্ডনে আমরা একই এলাকায় বাস করি। নামাজ শেষে তিনি হাছান মাহমুদের সঙ্গে আমাদের পরিচয় করিয়ে দেন।”

ঢাকা/হাসান/রাসেল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

ফরিদপুরে শিশুকে ধর্ষণের দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন

ফরিদপুরে ৮ বছরের শিশুকে ধর্ষণের দায়ে যুবক আমিরুল মৃধাকে (৩২) যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে ৩ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) শামীমা পারভীন এ আদেশ দেন। সাজাপ্রাপ্ত আমিরুল ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার খরসূতি গ্রামের মৃত আনোয়ার মৃধার ছেলে।

এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ১৯ জুন ফরিদপুর পৌরসভার কমলাপুর পিয়ন কলোনিতে ধর্ষণের শিকার হয় শিশুটি। ওই দিন শিশুটি স্কুল থেকে বাসায় ফেরার পর তার মামার দোকানে চিপস কেনার জন্য যায়। ওই সময় আমিরুল দোকানে উপস্থিত ছিলেন। তিনি শিশুটিকে কলোনির একটি হোস্টেলের পিছনের জঙ্গলে নিয়ে ধর্ষণ করে পালিয়ে যান। পরে শিশুটির মা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে এবং মামলা করেন। 

এ বিষয়ে ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি আইনজীবী গোলাম রব্বানী ভূঁইয়া রতন জানান, আমরা রাষ্ট্রপক্ষ মামলার এ রায়ে সন্তুষ্ট। এই মামলা একটি উজ্জ্বল উদাহরণ হয়ে থাকবে ধর্ষকদের জন্য। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ