ঈদের দিন সকালে নতুন শাড়ি পরে পরিবারের জন্য রান্না করছিলেন গৃহবধূ ঊর্মি আক্তার (২৫)। হঠাৎ চুলা থেকে আগুন লেগে যায় শাড়িতে। গুরুতর দগ্ধ গৃহবধূ রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। গতকাল সোমবার ঈদুল ফিতরের দিন বেলা ১১টার দিকে চট্টগ্রামের আনোয়ারার হাইলধর ইউনিয়নের খাসখামা এলাকায় অগ্নিদগ্ধ হন গৃহবধূ ঊর্মি আক্তার। গতকাল রাত ১১টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

নিহত ঊর্মি আক্তার উপজেলার হাইলধর ইউনিয়নের খাসখামা এলাকায় মো.

নঈম উদ্দিনের স্ত্রী।

ঊর্মি আক্তারের পরিবারের সদস্যরা জানান, ঈদের দিন বেলা ১১টার দিকে রান্নাঘরে লাকড়ির চুলায় রান্না করছিলেন ঊর্মি। ওই সময় চুলা থেকে শাড়িতে আগুন লাগে। সঙ্গে সঙ্গে তিনি রান্নাঘর থেকে বের হয়ে চিৎকার শুরু করলে বাড়ির লোকজন এসে আগুন নেভান। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালের ভর্তি করা হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে তাঁর মৃত্যু হয়।

গৃহবধূর স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০২১ সালে ঊর্মি আক্তারের বিয়ে হয় উপজেলার হাইলধর ইউনিয়নের খাসখামা এলাকায় মো. নঈম উদ্দিনের সঙ্গে। তাঁদের সংসারে কোনো সন্তান হয়নি।

ঊর্মি আকারের মামা মোহাম্মদ ফরহাদুন্নবী বলেন, ‘সোমবার ঈদের দিন নতুন শাড়ি পরে রান্না করার সময় আগুন লেগে আমার ভাগনির মৃত্যু হয়। আগুন নেভাতে গিয়ে তার স্বামী ও চাচাতো দেবরও অগ্নিদগ্ধ হন।’

আনোয়ারা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. তৈয়বুর রহমান বলেন, ঈদের দিন রান্নাঘরে চুলার আগুনে দগ্ধ গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ঈদ র দ ন গ হবধ অবস থ

এছাড়াও পড়ুন:

গৃহকর নিয়ে প্রশাসকের সঙ্গে বাসিন্দাদের হট্টগোল

গৃহকর (হোল্ডিং ট্যাক্স) ধার্যের বিষয়টি নিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজের সঙ্গে হট্টগোল করেছেন অঞ্চল-৭-এর আওতাধীন বিভিন্ন ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে উত্তরার ৬ নম্বর সেক্টরে উত্তরা কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত গণশুনানির শেষের দিকে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গণশুনানি শেষ করে ওই অঞ্চলের চারটি ওয়ার্ডের প্রতিনিধিদের নিয়ে অঞ্চল-৭-এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তার কক্ষে আলোচনায় বসেন প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ। সেখানে গৃহকর কীভাবে আদায় হবে, কী ছাড় পাওয়া যাবে—এসব বিষয়ে বাসিন্দাদের বুঝিয়ে বলা হয়। হট্টগোলকারীরা বিষয়টি বুঝতে পেরে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য প্রশাসকের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন।

গণশুনানিতে দেখা যায়, নাগরিক সেবা নিয়ে চারটি ওয়ার্ডের বাসিন্দারা বিভিন্ন সংকট, সমস্যা ও অভিযোগ জানান। তাঁদের দাবি, তাঁরা ২০১৮ সাল থেকে নয়, ২০২৪ সাল থেকে গৃহকর পরিশোধ করবেন। প্রশাসক তাঁর বক্তব্যে বাসিন্দাদের বলা অভিযোগগুলোর সমাধান, পদক্ষেপ ও করপোরেশনের উদ্যোগ নিয়ে কথা বলেন। বক্তব্যের শেষ পর্যায়ে তিনি হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় নিয়ে বাসিন্দাদের দাবিদাওয়ার বিষয়ে কথা বলছিলেন।

প্রশাসকের বক্তব্য ছিল, আইন অনুযায়ী ২০১৮ সাল থেকেই গৃহকর পরিশোধ করতে হবে। তবে গৃহকরের সঙ্গে পরিচ্ছন্নতা ও সড়ক বাতি বাবদ যে কর আদায় করা হয়, সেই ৫ শতাংশ কর আপাতত আদায় বন্ধ থাকবে। এ ছাড়া বিধিমালা অনুযায়ী গৃহকরে একজন গ্রাহক যেসব ছাড় পান, সেসব ছাড়ের ব্যবস্থাও করা হবে বলেও জানান। সেই হিসেবে ২০২৪-২৫ অর্থবছর থেকে যে টাকা কর আসবে, ২০১৮ থেকে একই পরিমাণ কর দিতে হবে।

কিন্তু প্রশাসকের এই বক্তব্যের সঙ্গে একমত হননি শুনানিতে অংশ নেওয়া বাসিন্দারা। তাঁরা চিৎকার-চেঁচামেচি করে এর প্রতিবাদ করতে শুরু করেন। একপর্যায়ে সামনের সারিতে বসা কিছু ব্যক্তি উত্তেজিত হয়ে মঞ্চে থাকা প্রশাসকের সামনে গিয়ে বলতে থাকেন, তাঁরা এই সিদ্ধান্ত মানেন না। তাঁরা ২০২৪ সাল থেকেই কর দেবেন।

মিনিট পাঁচেক এমন হট্টগোল আর চেঁচামেচি চলে। ঢাকা উত্তর সিটির ওই অঞ্চলের কর্মকর্তা ও স্থানীয় বিএনপির নেতারা উত্তেজিত হওয়া ব্যক্তিদের শান্ত করেন।

ঢাকা উত্তর সিটির ওই অঞ্চলের কর্মকর্তা ও স্থানীয় বিএনপির নেতারা উত্তেজিত ব্যক্তিদের শান্ত করার চেষ্টা করেন

সম্পর্কিত নিবন্ধ