সংস্কার ও নির্বাচন দুটি জিনিস না। সংস্কার সংস্কারের মত চলবে, নির্বাচন নির্বাচনের মত এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে ঠাকুরগাঁও তাতিপাড়ার নিজ বাসভবনে দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। 

মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার জনগণের সমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে। তারা রাষ্ট্র সংস্কারের কিছু কর্মসূচি সামনে নিয়ে এসেছে। তারা সংস্কার কমিশন গঠন করেছে। সেই সংস্কারের বিষয়গুলো আমরা যথাযথভাবে পর্যবেক্ষণ, পরীক্ষা করেছি। আমরা আমাদের দলের পক্ষ থেকে আমাদের যে মন্তব্য মতামত সেটা আমরা সংস্কার কমিশনগুলোকে দিয়ে দিয়েছি। এসব বিষয় নিয়ে তারা আগামীতে আমাদের সঙ্গে বসবে। অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গেও তারা বসবে। 

তিনি আরও বলেন, ছয়টা সংস্কার কমিশন হয়েছে। সব কমিশনের আমরা আমাদের মতামত দিয়েছি। এরপর সেগুলো নিয়ে আলোচনা হবে। যেটা কথা আছে, সেটা হলো- যেসব বিষয়ে ঐক্যমত হবে, সেসব বিষয় সামনে নিয়ে নির্বাচন হবে। এর আগে ‘চার্টার অব রিফর্ম’ তৈরি হবে। সেখানে সব রাজনৈতিক দল স্বাক্ষর করবে। যারা নির্বাচিত হবে, তারা এসব সংস্কার বাস্তবায়ন করবে। এই হচ্ছে রাজনৈতিক বোঝাপড়া।

ফখরুল বলেন, রাজনৈতিক দল হিসেবে আমরা অতীতে ৩১ দফার মাধ্যমেও কাজ করে এসেছি। বর্তমানে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ইফতার মাহফিলের মাধ্যমেও করেছি। প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন হবে। আমরাও সেভাবে কাজ করছি।

প্রধান উপদেষ্টার চীন সফর নিয়ে এক প্রশ্নে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এটি অন্তর্বর্তী সরকারের একটি বড় অর্জন। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় চীনের সঙ্গে একতরফাভাবে একটি সম্পর্ক ছিল। কিন্তু সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে চীন তাদের চিন্তাভাবনা পরিবর্তন করেছে। দেশের সব রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তারা কথা বলেছে। চীন কমিটেড, তারা উন্নয়নে বিনিয়োগ করবে, এটা নিঃসন্দেহে আমাদের জন্য আশাবাদের কথা।

শুভেচ্ছা বিনিময়কালে জেলা বিএনপির অর্থ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম শরিফ, যুগ্ম সম্পাদক পয়গাম আলী, প্রচার সম্পাদক মামুনুর রশীদসহ বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ম র জ ফখর ল ম র জ ফখর ল ইসল ম আলমগ র ব এনপ আম দ র সরক র ব এনপ ফখর ল

এছাড়াও পড়ুন:

ফরিদপুরে শিশুকে ধর্ষণের দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন

ফরিদপুরে ৮ বছরের শিশুকে ধর্ষণের দায়ে যুবক আমিরুল মৃধাকে (৩২) যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে ৩ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) শামীমা পারভীন এ আদেশ দেন। সাজাপ্রাপ্ত আমিরুল ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার খরসূতি গ্রামের মৃত আনোয়ার মৃধার ছেলে।

এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ১৯ জুন ফরিদপুর পৌরসভার কমলাপুর পিয়ন কলোনিতে ধর্ষণের শিকার হয় শিশুটি। ওই দিন শিশুটি স্কুল থেকে বাসায় ফেরার পর তার মামার দোকানে চিপস কেনার জন্য যায়। ওই সময় আমিরুল দোকানে উপস্থিত ছিলেন। তিনি শিশুটিকে কলোনির একটি হোস্টেলের পিছনের জঙ্গলে নিয়ে ধর্ষণ করে পালিয়ে যান। পরে শিশুটির মা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে এবং মামলা করেন। 

এ বিষয়ে ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি আইনজীবী গোলাম রব্বানী ভূঁইয়া রতন জানান, আমরা রাষ্ট্রপক্ষ মামলার এ রায়ে সন্তুষ্ট। এই মামলা একটি উজ্জ্বল উদাহরণ হয়ে থাকবে ধর্ষকদের জন্য। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ