Prothomalo:
2025-04-02@18:22:05 GMT

নতুন দাঁত গজাবে মানুষের

Published: 1st, April 2025 GMT

মানুষের হাড় ভেঙে গেলে তা পুনরায় বৃদ্ধি পায়, ঠিক হয়ে যায়। দাঁত সে ক্ষেত্রে মানবশরীরের ভিন্ন একটি অঙ্গ, যা একবার পড়ে গেলে আর ফিরিয়ে আনার সুযোগ নেই। এর ফলে বিশ্বব্যাপী লাখ লাখ মানুষ একধরনের ইডেন্টুলিজম বা দাঁতহীনতায় ভুগছেন। জাপানি গবেষকেরা একটি পুনরায় দাঁত-উত্পাদনকারী ওষুধ মানবশরীরে পরীক্ষা করবেন বলে জানা গেছে। যদি পরীক্ষা সফল হয়, তাহলে ওষুধটি ২০৩০ সালের কাছাকাছি সময়ে সব ধরনের দাঁতহীনতার সমস্যা দূর করতে পারে।

সাধারণভাবে প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের শরীরে ২০৬টি হাড় থাকে। ক্যালসিয়ামসহ বিভিন্ন খনিজ পদার্থ ও কোলাজেনের শক্ত মিশ্রণে তৈরি হয় দাঁত। দাঁত অবিশ্বাস্য রকমের স্থিতিস্থাপক একটি অঙ্গ। যদি একবার দাঁত ভেঙে যায়, তাহলে দাঁত নিজে থেকে বিকাশের সুযোগ নেই মানবশরীরে।

দাঁত মানবদেহের সবচেয়ে কঠিন উপাদান এনামেল দিয়ে তৈরি হয়। দাঁতের নিরাময় ও পুনরায় বৃদ্ধি করার ক্ষমতা নেই। জাপানি গবেষকেরা একটি পরীক্ষামূলক ওষুধ নিয়ে কাজ করছেন, যা মানুষের দাঁত পুনরায় বৃদ্ধি করার সুযোগ করে দিচ্ছে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে মানুষের ওপরে এই ওষুধের পরীক্ষা করা হয়। জাপানের ওসাকার কিতানো হাসপাতালের মেডিকেল রিসার্চ ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানী কাতসু তাকাহাশি বলেন, ‘যাঁরা দাঁতের ক্ষতি বা অনুপস্থিতিতে ভুগছেন, তাঁদের সাহায্য করার জন্য কিছু করতে চাই।’

নিরাময়ের চেয়ে দাঁতের বৃদ্ধির দিকে আগ্রহ বেশি মানুষের। ইউটারিন সেনসিটাইজেশন-সম্পর্কিত জিন-১ (ইউএসএজি-১) নামের একটি বিশেষ অ্যান্টিবডি নিয়ে কাজ করছেন বিজ্ঞানীরা। এই অ্যান্টিবডি ইঁদুরের দাঁতের বৃদ্ধিকে বাধা দেয়। ২০২১ সাল থেকে কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা মানুষের জন্য পরীক্ষা করতে কাজ শুরু করেন। মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি নামের একটি কৌশল আবিষ্কার করা হয় তখন। এটি জিন ও হাড়ের বোন মরফোজেনেটিক প্রোটিন বা বিএমটি নামে পরিচিত অণুর মধ্যে মিথস্ক্রিয়াকে ব্যাহত করে।

বিজ্ঞানীরা অ্যান্টিবডি দমন করে দাঁতের বৃদ্ধি নিয়ে পরীক্ষা করছেন এখন। ১১ মাস ধরে দাঁতের এই গবেষণায় ৩০ থেকে ৬৪ বছর বয়সী ৩০ জন পুরুষের ওপর নজর রাখা হয়। সব অংশগ্রহণকারীর অন্তত একটি দাঁত অনুপস্থিত ছিল। নতুন ওষুধটি শিরার মধ্য দিয়ে মানবশরীরে প্রেরণ করা হয়। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে কিটানো হাসপাতালে দুই থেকে সাত বছর বয়সী রোগীদের দাঁতের চিকিত্সায় এই ওষুধ ব্যবহার করা হবে। ২০৩০ সাল নাগাদ সবার জন্য এই ওষুধ উপলব্ধ করতে চান বিজ্ঞানীরা। জন্মগত দাঁতহীন অবস্থা থেকে দাঁতের সমস্যায় এই ওষুধ ব্যাপক আকারে ব্যবহার করতে চান বিজ্ঞানীরা।

সূত্র: পপুলার মেকানিকস

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: পর ক ষ

এছাড়াও পড়ুন:

নতুন দাঁত গজাবে মানুষের

মানুষের হাড় ভেঙে গেলে তা পুনরায় বৃদ্ধি পায়, ঠিক হয়ে যায়। দাঁত সে ক্ষেত্রে মানবশরীরের ভিন্ন একটি অঙ্গ, যা একবার পড়ে গেলে আর ফিরিয়ে আনার সুযোগ নেই। এর ফলে বিশ্বব্যাপী লাখ লাখ মানুষ একধরনের ইডেন্টুলিজম বা দাঁতহীনতায় ভুগছেন। জাপানি গবেষকেরা একটি পুনরায় দাঁত-উত্পাদনকারী ওষুধ মানবশরীরে পরীক্ষা করবেন বলে জানা গেছে। যদি পরীক্ষা সফল হয়, তাহলে ওষুধটি ২০৩০ সালের কাছাকাছি সময়ে সব ধরনের দাঁতহীনতার সমস্যা দূর করতে পারে।

সাধারণভাবে প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের শরীরে ২০৬টি হাড় থাকে। ক্যালসিয়ামসহ বিভিন্ন খনিজ পদার্থ ও কোলাজেনের শক্ত মিশ্রণে তৈরি হয় দাঁত। দাঁত অবিশ্বাস্য রকমের স্থিতিস্থাপক একটি অঙ্গ। যদি একবার দাঁত ভেঙে যায়, তাহলে দাঁত নিজে থেকে বিকাশের সুযোগ নেই মানবশরীরে।

দাঁত মানবদেহের সবচেয়ে কঠিন উপাদান এনামেল দিয়ে তৈরি হয়। দাঁতের নিরাময় ও পুনরায় বৃদ্ধি করার ক্ষমতা নেই। জাপানি গবেষকেরা একটি পরীক্ষামূলক ওষুধ নিয়ে কাজ করছেন, যা মানুষের দাঁত পুনরায় বৃদ্ধি করার সুযোগ করে দিচ্ছে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে মানুষের ওপরে এই ওষুধের পরীক্ষা করা হয়। জাপানের ওসাকার কিতানো হাসপাতালের মেডিকেল রিসার্চ ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানী কাতসু তাকাহাশি বলেন, ‘যাঁরা দাঁতের ক্ষতি বা অনুপস্থিতিতে ভুগছেন, তাঁদের সাহায্য করার জন্য কিছু করতে চাই।’

নিরাময়ের চেয়ে দাঁতের বৃদ্ধির দিকে আগ্রহ বেশি মানুষের। ইউটারিন সেনসিটাইজেশন-সম্পর্কিত জিন-১ (ইউএসএজি-১) নামের একটি বিশেষ অ্যান্টিবডি নিয়ে কাজ করছেন বিজ্ঞানীরা। এই অ্যান্টিবডি ইঁদুরের দাঁতের বৃদ্ধিকে বাধা দেয়। ২০২১ সাল থেকে কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা মানুষের জন্য পরীক্ষা করতে কাজ শুরু করেন। মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি নামের একটি কৌশল আবিষ্কার করা হয় তখন। এটি জিন ও হাড়ের বোন মরফোজেনেটিক প্রোটিন বা বিএমটি নামে পরিচিত অণুর মধ্যে মিথস্ক্রিয়াকে ব্যাহত করে।

বিজ্ঞানীরা অ্যান্টিবডি দমন করে দাঁতের বৃদ্ধি নিয়ে পরীক্ষা করছেন এখন। ১১ মাস ধরে দাঁতের এই গবেষণায় ৩০ থেকে ৬৪ বছর বয়সী ৩০ জন পুরুষের ওপর নজর রাখা হয়। সব অংশগ্রহণকারীর অন্তত একটি দাঁত অনুপস্থিত ছিল। নতুন ওষুধটি শিরার মধ্য দিয়ে মানবশরীরে প্রেরণ করা হয়। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে কিটানো হাসপাতালে দুই থেকে সাত বছর বয়সী রোগীদের দাঁতের চিকিত্সায় এই ওষুধ ব্যবহার করা হবে। ২০৩০ সাল নাগাদ সবার জন্য এই ওষুধ উপলব্ধ করতে চান বিজ্ঞানীরা। জন্মগত দাঁতহীন অবস্থা থেকে দাঁতের সমস্যায় এই ওষুধ ব্যাপক আকারে ব্যবহার করতে চান বিজ্ঞানীরা।

সূত্র: পপুলার মেকানিকস

সম্পর্কিত নিবন্ধ