লিওনেল মেসির দেহরক্ষী ইয়াসিন চুকোকে মাঠে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মেজর লিগ সকার (এমএলএস) কর্তৃপক্ষ। শুধু এমএলএস নয়, কনক্যাকাফ চ্যাম্পিয়ন্স কাপের ম্যাচগুলোর সাইডলাইনেও তার উপস্থিতি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। 

২০২৩ সালে মেসি যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে যোগ দেওয়ার পর তার ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য ৩৫ বছর বয়সী ইয়াসিন চুকোকে নিয়োগ দেওয়া হয়। পেশাদার দেহরক্ষী হিসেবে ২৪ ঘণ্টাই মেসি ও তার পরিবারের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন তিনি। তবে নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এখন থেকে তিনি শুধুমাত্র মাঠের বাইরেই দায়িত্ব পালন করতে পারবেন।  

নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে এক ভিডিও বার্তায় ইয়াসিন চুকো বলেন, ‘আমাকে আর মাঠে থাকার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। আমি ইউরোপে সাত বছর লিগ ওয়ান ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগে কাজ করেছি, সেখানে মাত্র ছয়জন দর্শক মাঠে ঢুকেছিল। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রে আসার পর গত ২০ মাসে এখানে ১৬ জন মাঠে প্রবেশ করেছে।’

যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর সাবেক নেভি সিল সদস্য ইয়াসিন চুকো মনে করেন, মেসির নিরাপত্তা নিশ্চিত করা তার অন্যতম দায়িত্ব। তিনি বলেন,  ‘এখানে একটি বিশাল সমস্যা রয়েছে, আমি কোনো সমস্যা নই। আমাকে লিওকে সাহায্য করতে দিন… আমি এমএলএস এবং কনক্যাকাফ ভালোবাসি, তবে আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’  

তিনি আরও দাবি করেন,  ‘আমি কাউকে ছোট করছি না, তবে ইউরোপ থেকে পাওয়া অভিজ্ঞতা অনুযায়ী বলছি, এখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নতি প্রয়োজন।’  

এমএলএস কর্তৃপক্ষের মতে, মাঠের ভেতরে দেহরক্ষীর উপস্থিতি নিয়মের বাইরে। যদিও মেসির মতো তারকার নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হয়, তবে নিয়ম ভঙ্গের কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: দ হরক ষ

এছাড়াও পড়ুন:

হকি দলের নেতৃত্বে মিমো

১৭ থেকে ২৭ এপ্রিল ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় অনুষ্ঠিত হবে এএইচএফ কাপ হকি। এই প্রতিযোগিতা এশিয়া কাপের বাছাইপর্বও। এএইচএফ কাপ হকি টুর্নামেন্টকে সামনে রেখে রোববার ১৮ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ হকি ফেডারেশন।

যে দলের অধিনায়ক করা হয়েছে পুস্কর ক্ষিসা মিমোকে। মূল স্কোয়াডে প্রথমবারের মতো জায়গা হয়েছে ওবায়দুল হোসেন ও আবেদ উদ্দিনের। স্ট্যান্ডবাই হিসেবে রাখা হয়েছে ছয় খেলোয়াড়কে।

নানান কারণে এবারের হকি দল ছিল আলোচনায়। জাতীয় দল চূড়ান্ত হয়েছে কয়েক ধাপে। মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামে কয়েক দিন ক্যাম্প করার পর ৫ মার্চ ৩৩ জনের প্রাথমিক স্কোয়াড ঘোষণা করা হয়। সেটা কমিয়ে ২৪ জনে আনা হয়। এরপর রোববার চূড়ান্ত স্কোয়াড দিয়েছেন কোচ আ ন ম মামুন উর রশিদ।

বাংলাদেশ দল: হুজাইফা হোসেন, রেজাউল করিম, সোহানুর রহমান, ফরহাদ আহমেদ, আশরাফুল ইসলাম, আমিরুল ইসলাম, আবেদ উদ্দিন, নাইম উদ্দিন, আল নাহিয়ান, রোমান সরকার, ফজলে হোসেন, পুস্কর ক্ষিসা মিমো (অধিনায়ক), আরশাদ হোসেন, ওবায়দুল হোসেন, রাকিবুল হাসান, মাহবুব হোসেন, বিপ্লব কুজুর ও আবু সাঈদ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ