Risingbd:
2025-04-25@04:31:08 GMT

চটেছেন পরীমণি

Published: 1st, April 2025 GMT

চটেছেন পরীমণি

মেহেদিরাঙা একটি হাত। একই হাতে স্যালাইনের ক্যানুলা পরানো। বাহারি ডিজাইনে মেহেদির রং নজরকাড়া। সেখানে ইংরেজি হরফে লেখা ‘এস’ বর্ণ। মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) চিত্রনায়িকা পরীমণি তার ফেসবুকে একটি ছবি পোস্ট করেন; তাতে এমন চিত্র দেখা যায়।

এ ছবির ক্যাপশনে পরীমণি লেখেন— “ঈদ মোবারক পরী! নিশ্চয়ই জীবনের উত্তম সময়ের জন্যে ধৈর্য্য ধরাটা জরুরি। আল্লাহ ভরসা।” ছবিটি দেখে আপাতদৃষ্টিতে মনে হয়, পরীমণি শারীরিকভাবে অসুস্থ। কিন্তু ছবিটি নিয়ে তৈরি হয় চর্চা। প্রশ্ন উঠে, পরীমণি তার হাতে কেন ‘এস’ বর্ণ লিখেছেন? টেনে আনা হয় গায়ক শেখ সাদীর নাম। এ নিয়ে কয়েকটি গণমাধ্যমও খবর প্রকাশ করে। 

দিনভর বিষয়টি নিয়ে বেশ চর্চা হয়েছে। এরই মধ্যে নীরবতা ভেঙেছেন পরীমণি। ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে বেশ খেপেছেন এই নায়িকা।   

আরো পড়ুন:

বর্ষাকে নিয়ে পরীমণির দীর্ঘ পোস্ট, অনেক প্রশ্ন

সে যেন দুঃখের কারণ না হয়, ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্টে পরীমণি

এ স্ট্যাটাসে পরীমণি লেখেন, “জীবনে ফকিরমকিররা যত ব্র্যান্ডিং পাইল জীবনে পরীর জন্যে! কিছু সংবাদের হেডলাইনে এই ‘বা* আআল ছাআআলদের’ এমন করে আমার ঘাড়ে উঠায়ে দেয়, যেন দেশে আর কোনো গুরুত্বপূর্ণ খবর নাই! ঈদের সিনেমাগুলো রমরমা চলতেছে ওইগুলো নিয়া লিখেন।”

হাতে ‘এস’ বর্ণ লেখার কারণ ব্যাখ্যা করে পরীমণি লেখেন “আমার হাতে ‘এস’ আমি ছোটকাল থেকেই লিখি। ব ল দ গুলা।” পরীমণির এই স্ট্যাটাসের সঙ্গে নেটিজেনদের অনেকে সহমত পোষণ করে মন্তব্য করেছেন। কেউ কেউ বলেছেন, “নতুন তো তাই পরীমণির আসল নামও (শামসুন্নাহার স্মৃতি) হয়তো জানেন না।”

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র

এছাড়াও পড়ুন:

নদী-খালের বুকে জেগে ওঠা এক মায়ার শহর খুলনা

‘ঘুরে এলাম খুলনা শহর রূপসা নদীর তীরে, রূপসা নদীর রূপের মায়া ডাকে ফিরে ফিরে, পুরোনো এই নগরী তো ইতিহাসে ভরা, যেমন তাহার গুণের বাহার রূপেতেও সে সেরা।’ খুলনা শহরকে নিয়ে এমন ছন্দে ছন্দে কবিতা লিখেছেন অবিরুদ্ধ মাহমুদ। কবিতার নাম দিয়েছেন ‘ঘুরে এলাম খুলনা’।

আসলেই খুলনা এক মায়ার শহর, সমৃদ্ধ শহর, কোলাহলমুক্ত নির্মল শ্বাস নেওয়ার শহর। যেখানে নদী গল্প বলে আর খাল গেয়ে ওঠে ইতিহাসের গান। বহুকাল আগে, যখন পদ্মা ও মেঘনার মিলিত স্রোতে দক্ষিণ বাংলার বুক চিরে বয়ে চলত রূপসা, ভৈরব আর আটরা খাল, তখন এই অঞ্চল ছিল নিবিড় বনভূমি ও জলাভূমির এক বিস্ময়কর মিশেল। ইতিহাস বলে, খুলনার গোড়াপত্তন হয়েছিল নদীপথকে ঘিরেই। স্থানীয় লোককথা, প্রত্নতত্ত্ব ও সাহিত্যিক দলিল মিলিয়ে খুলনার জন্মকথা যেন এক রূপকথারই প্রতিচ্ছবি।

‘খুলনা’ নামকরণটি নিয়েও অনেক কিংবদন্তি ও গল্প প্রচলিত আছে। অনেকের মতে, ‘খুলনা’ নামটি এসেছে ‘খুল্লতন নগর’ থেকে, যেখানে দেবতা শিবের পূজা–অর্চনা হতো। আবার কারও মতে, ‘খুল’ মানে জলপথ বা খাল, আর ‘না’ মানে নদীর প্রবাহ থামা। অর্থাৎ যেখানে খাল থেমে নদীতে মেশে, সেখান থেকেই নাম হয়েছে ‘খুলনা’।

খুলনার পুরাকীর্তি নামে একটি বই লিখেছেন মিজানুর রহমান। তিনি বর্তমানে ঢাকার সরকারি তিতুমীর কলেজের উপাধ্যক্ষ হিসেবে কর্মরত। তিনি বলেন, এক সওদাগরের দুই মেয়ে ছিল। এক মেয়ের নাম খুল্লনা ও আরেকজনের নাম ছিল অহনা। ধারণা করা হয়, ওই সওদাগর তাঁর মেয়ের নামানুসারে শহরের নাম রাখেন খুলনা। এ ছাড়া সপ্তদশ শতকে খুলনার ভৈরব নদ থেকে ডুবে যাওয়া জাহাজ উদ্ধার করা হয়। সেই জাহাজের গায়ে Culna শব্দটি লেখা ছিল। ব্রিটিশ আমলে যে মানচিত্র তৈরি করা হয়, সেখানেও খুলনাকে Culna লেখা হয়।

ইতিহাস থেকে জানা যায়, ১৫ শতকে সুফি সাধক খানজাহান আলী যখন দক্ষিণ বাংলায় আসেন, তখন তিনি সুন্দরবনের প্রান্তঘেঁষা এ অঞ্চলটিকে সভ্যতার আলোয় আলোকিত করেন। তাঁরই নেতৃত্বে খনন করা হয় নানা দিঘি, খাল ও রাস্তা। ‘ডাকাতদের জনপদ’ থেকে ‘আধ্যাত্মিক ও বাণিজ্যিক কেন্দ্র’—এই রূপান্তরের শুরু সেখান থেকেই।

অনেক পুরোনো শহর খুলনা। শহরের মিউনিসিপ্যাল বোর্ড গঠিত হয় ১৮৮৪ সালে। খুলনা শহরের রয়েল মোড়ে

সম্পর্কিত নিবন্ধ