মিয়ানমারে ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ২৭০০, নেই খাবার, আশ্রয়
Published: 1st, April 2025 GMT
মিয়ানমারে শক্তিশালী ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৭১৯ জনে। সহায়তা গোষ্ঠীগুলো বলছে, যারা বেঁচে আছেন, তাদের নেই কোনো আশ্রয়, খাদ্য ও পানি। দেশটিতে গৃহযুদ্ধের ফলে সহায়তা ঠিকমতো পৌঁছানো যাচ্ছে না। খবর রয়টার্সের
আজ মঙ্গলবার টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে মিয়ানমারের সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইং বলেন, শক্তিশালী ভূমিকম্পে এ পর্যন্ত ২ হাজার ৭১৯ জন মারা গেছেন। ধারণা করা হচ্ছে, এই সংখ্যা ৩ হাজার ছাড়িয়ে যাবে।
সেনাপ্রধান আরও বলেন, এই দুর্যোগে ৪ হাজার ৫২১ জন আহত হয়েছেন, নিখোঁজ রয়েছেন ৪৪১ জন।
গত ২৮ মার্চ (শুক্রবার) মিয়ানমারে শক্তিশালী দুটি ভূমিকম্প হয়। বাংলাদেশ, ভারতসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ছয়টি দেশে এর প্রভাব অনুভূত হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৭। এর উৎপত্তিস্থল মিয়ানমারের সাগাইং থেকে ১৬ কিলোমিটার উত্তর–উত্তরপশ্চিমে। ভূমিকম্পটির উৎপত্তি ১০ কিলোমিটার গভীরে। ইউএসজিএস জানিয়েছে, স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে আঘাত হানা ভূমিকম্পের প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশ, ভারত, লাওস, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড এবং চীনে।
ভূমিকম্পে পাশের দেশ থাইল্যান্ডও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দেশটির রাজধানী ব্যাংককে তিনটি বহুতল ভবন ধসে পরে কয়েকশ’ মানুষ নিখোঁজ হন। জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক সমন্বয় অফিস জানিয়েছে, মিয়ানমারের মান্দালয় এলাকার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ধসে গেছে, সেখানে ৫০ জন শিক্ষক ও দুইজন শিক্ষক ছিলেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ভ ম কম প
এছাড়াও পড়ুন:
মিয়ানমারে ভূমিকম্পে নিহত ২ হাজার ছাড়াল
ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে মিয়ানমারে উদ্ধারকাজ এখনও চলছে। সেই সঙ্গেই বৃদ্ধি পাচ্ছে ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা। ভূমিকম্পে দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২ হাজারের বেশি মানুষের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার পর্যন্ত ২ হাজার ৫৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন প্রায় ৩০০ জন। আহত হয়েছেন ৩ হাজার ৯০০ জন।
এক সপ্তাহ ধরে জাতীয় শোক পালনের কথা বিবৃতি দিয়ে ঘোষণা করে জান্তা সরকার। ভূমিকম্পে ভেঙে গেছে বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শের প্রায় ৬০টি মসজিদ। সোমবার কয়েকটি ভাঙা মসজিদের সামনেই ঈদের নামাজ আদায় করেন লোকজন।
ভূমিকম্পের কারণে ঘরছাড়া হাজার হাজার মানুষ। রাজধানীতে এখনও বহু মানুষ ত্রাণ শিবিরে রাত কাটাচ্ছেন। অনেকে আবার কোলের সন্তানকে নিয়ে রাস্তায় চাদর পেতে দিন পার করছেন।
শুক্রবার স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে মিয়ানমারে। এর কেন্দ্রস্থল ছিল দেশটির উত্তর-পশ্চিমের শহর সাগাইং থেকে ১৬ কিলোমিটার দূরে। এলাকাটি রাজধানী নেপিদো থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার উত্তরে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ এর স্বয়ংক্রিয় মূল্যায়নে বলা হয়েছে, মধ্য মিয়ানমারের সাগাইং শহরের উত্তর-পশ্চিমে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার অগভীর ভূমিকম্পটি কম্পনজনিত প্রাণহানি এবং অর্থনৈতিক ক্ষতির জন্য লাল সতর্কতা রয়েছে।
ইউএসজিএস এর বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, দেশটিতে সম্ভাব্য মৃত্যুর সম্ভাবনা ৩৫ শতাংশ, যা ১০ হাজার থেকে এক লাখ মানুষের মধ্যে হতে পারে।
ইউএসজিএস আরো জানিয়েছে, আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ হাজার হাজার মিলিয়ন ডলার হতে পারে। ক্ষতির পরিমাণ মিয়ানমারের জিডিপি ছাড়িয়ে যেতে পারে।
ঢাকা/ইভা