হবিগঞ্জে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ৪০ জন আহত
Published: 1st, April 2025 GMT
হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলায় সালিশ বৈঠক চলাকালে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছে। মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার পূর্ব তেঘরিয়া দর্জিহাটি গ্রামে সংঘর্ষ হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, লাখাই উপজেলার পূর্ব তেঘরিয়া দর্জিহাটি এলাকার মজিদ মিয়া, ইকবাল মিয়া, হিরো মিয়া, কামাল মিয়া ব্যবসার কারণে ঢাকার মিরপুর এলাকায় বসবাস করেন। কয়েক দিন আগে সেখানে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে মজিদের সঙ্গে হিরো ও কামালের মধ্যে হাতাহাতি হয়। ঈদের ছুটিতে এলাকায় ফিরে আসার পর মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) ওই এলাকার মজিদ মিয়া, ইকবাল মিয়া এবং হিরো মিয়া, কামাল মিয়া নিজ নিজ পক্ষের লোকজনকে নিয়ে সালিশি বৈঠকের আয়োজন করা হয়। তবে বৈঠক চলাকালে উভয়পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে লাঠিসোঁটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে দুইপক্ষের অন্তত ৪০ জন আহত হয়।
গুরুতর আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সংঘর্ষের খবর পেয়ে লাখাই থানার পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আরো পড়ুন:
কিশোরগঞ্জে পাওনা টাকা নিয়ে সংঘর্ষে নিহত ১
নান্দাইলে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, ১৪৪ ধারা জারি
লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বন্দে আলী জানান, সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। বর্তমানে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। অভিযোগ সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঢাকা/মামুন/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ঘর ষ আহত স ঘর ষ
এছাড়াও পড়ুন:
ফরিদপুরে শিশুকে ধর্ষণের দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন
ফরিদপুরে ৮ বছরের শিশুকে ধর্ষণের দায়ে যুবক আমিরুল মৃধাকে (৩২) যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে ৩ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) শামীমা পারভীন এ আদেশ দেন। সাজাপ্রাপ্ত আমিরুল ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার খরসূতি গ্রামের মৃত আনোয়ার মৃধার ছেলে।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ১৯ জুন ফরিদপুর পৌরসভার কমলাপুর পিয়ন কলোনিতে ধর্ষণের শিকার হয় শিশুটি। ওই দিন শিশুটি স্কুল থেকে বাসায় ফেরার পর তার মামার দোকানে চিপস কেনার জন্য যায়। ওই সময় আমিরুল দোকানে উপস্থিত ছিলেন। তিনি শিশুটিকে কলোনির একটি হোস্টেলের পিছনের জঙ্গলে নিয়ে ধর্ষণ করে পালিয়ে যান। পরে শিশুটির মা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে এবং মামলা করেন।
এ বিষয়ে ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি আইনজীবী গোলাম রব্বানী ভূঁইয়া রতন জানান, আমরা রাষ্ট্রপক্ষ মামলার এ রায়ে সন্তুষ্ট। এই মামলা একটি উজ্জ্বল উদাহরণ হয়ে থাকবে ধর্ষকদের জন্য।